কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলি-সহ বাকি ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে ৩০১৩টি ক্যামেরা বসানোর বরাত পেয়েছে পূর্ত বিভাগ। তথ্য বলছে, ওয়েবেলের তত্ত্বাবধানে সিসি ক্যামেরা পিছু খরচ লক্ষাধিক। পূর্ত বিভাগের দরপত্রে সেই খরচই ষাট হাজার!
কোথাও ২-৩ লাখ, কোথাও আবার ৬০ থেকে ১২ হাজার, CCTV-র দামে লাখ-হাজারের ফারাকে প্রশ্ন ওয়েবেল-পূর্ত দফতরের ভূমিকা
বাড়ছে বিতর্ক
সিসি ক্যমেরা দাম বিতর্কে ফের সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। একই প্রকল্পে ভিন্ন দরে সিসি ক্যামেরার বরাত দুই সরকারি দফতরের! ওয়েবেলের দরপত্রকে কাঠগড়ায় তুলল পূর্ত বিভাগের দরপত্র। এদিকে এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজে ৬১৭৮টি ক্যমেরা বসিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জেলার ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে ৩১৬৫টি সিসি ক্যামেরার বরাত পেয়েছে ওয়েবেল।
কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলি-সহ বাকি ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে ৩০১৩টি ক্যামেরা বসানোর বরাত পেয়েছে পূর্ত বিভাগ। তথ্য বলছে, ওয়েবেলের তত্ত্বাবধানে সিসি ক্যামেরা পিছু খরচ লক্ষাধিক। পূর্ত বিভাগের দরপত্রে সেই খরচই ষাট হাজার! অন্যদিকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে সিসি ক্যামেরা পিছু খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪ টাকা। ঝাড়গ্রামে সিসি ক্যামেরা পিছু খরচ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। এসএসকেএমে সেখানে ক্যমেরা পিছু খরচ ৬১ হাজার ৩৯৩ টাকা।
আরামবাগ-ঝাড়গ্রামে ওয়েবেলের তত্ত্বাবধানে বরাত বণ্টন হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এসএসকেএমে দরপত্রের দায়িত্বে আবার পূর্ত বিভাগ। দুই সরকারি সংস্থার দরপত্রের দামে এত ফারাক কেন? কেন পূর্ত বিভাগের দর দেখে পিছু হটল না ওয়েবেল? লাখ-হাজারের ফারাকের পরও কোটি কোটি টাকার বরাত কোন অঙ্কে সম্ভব? টিভি নাইনের হাতে থাকা নথি ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক।
পূর্ত বিভাগের দরই প্রমাণ করছে দুর্নীতির অভিযোগ। টিভি নাইনের হাতে থাকা নথি দেখে সরব বিরোধীরা। এসএসকেএমের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার দর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও। প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর সিসি ক্যামেরার জন্য আলাদা করে কলকাতার কলেজগুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকায় ৪০টি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। খরচ হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা। প্রতি সিসি ক্যামেরা পিছু খরচ ১২ হাজার টাকা! তাহলে আরামবাগে কেন খরচ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours