২১৫ নম্বর রুটের দু'টি বাসের রেষারেষি, মায়ের স্কুটি থেকে পড়ে সল্টলেকে মৃত্যু চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার
সল্টলেকে দুর্ঘটনা
সুপ্রিয়ো গুহ, সিজার মণ্ডল ও রঞ্জিত ধরের রিপোর্ট
কলকাতা: দুর্ঘটনায় ফের মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। সল্টলেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। আশঙ্কাজনক আরও দু’জন। জানা গিয়েছে, দু’টি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ গিয়েছে ওই শিশুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেপরোয়া গতিতে রেষারেষি করছিল ২১৫এ নম্বর রুটের দু’টি বাস। সেই সময় জোরে ধাক্কা মারে একটি স্কুটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা সল্টলেক চত্বরে। এর এর আগে বেহালায় লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তারপর সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রর। অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নজরদারির। সল্টলেকের ঘটনাও আরও একবার সেই প্রশ্ন উস্কে দিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল ছুটির পর দুই ভাইকে নিয়ে কেষ্টপুর থেকে স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন তাঁদের মা। সেই সময় দুটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটিতে। ছিটকে পড়েন তিনজন। তার মধ্যে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মৃতের মা ও ভাই। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আয়ুস পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশি নজরদারির গাফিলতি তুলে সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও কাজ করেন না। বসে বসে ফোন দেখেন। সঠিকভাবে গাড়ি চলাচল হচ্ছে কি না তা তাঁরা দেখেন না। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বাস যখন ধাক্কা মেরেছে সেই সময় তখন কোনও পুলিশ ওদের উদ্ধারে আসেনি। পুলিশের কর্তব্য কী ছিল? একটা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা। তা না করে বাসের পিছনে দৌড়চ্ছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours