ধনেখালিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ষষ্ঠী কোবা, মুস্তাক আলী, অরূপ পাখিরা, শেখ সাবির, শেখ কাদের মণ্ডল। এদের বাড়ি হুগলির গুড়াপ, পোলবা এবং দাদপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ভোজলি, সাটার কাটার ব্লেড-সহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।




গোপন সূত্রেই বাজিমাত পুলিশের, ধনেখালি-রায়গঞ্জে ভেস্তে গেল বড়সড় ডাকাতির ছক
পুলিশের জালে ৯ দুষ্কৃতী

 প্ল্যান ছিল বড়সড় ডাকাতির। আর সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্যের দুই প্রান্তে জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, গোপন সূত্রে সেই খবর আগেই এসে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। শুরু অ্যাকশন। আর তাতেই মাঠে নেমে বেকায়দায় ডাকাত দল। এদিনই হুগলির দশগড়ায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া পাঁচ দুষ্কৃতীকে অস্ত্র-সহ ধরল ধনেখালি থানার পুলিশ। অন্যদিকে একই প্রতিচ্ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও। রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া এলাকায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক বানচাল করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেফতার ৪। 

ধনেখালিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ষষ্ঠী কোবা, মুস্তাক আলী, অরূপ পাখিরা, শেখ সাবির, শেখ কাদের মণ্ডল। এদের বাড়ি হুগলির গুড়াপ, পোলবা এবং দাদপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ভোজলি, সাটার কাটার ব্লেড-সহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এদিনই ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে চারচাকায় চড়ে দশঘড়ায় এসেছিল ৫ জন। সেখানেই ডাকাতির প্ল্যান ছিল। কিন্তু পুলিশ দেখেই চম্পট দেয়। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।

অন্যদিকে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ বাজার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ সমেত ধরা পড়েছে চার দুষ্কৃতী। তালিকায় সুমন সরকার (৩৪)। বাড়ি রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লী এলাকায়। এছাড়াও গৌরব সরকার (২৫), সুজয় দাস (২৮) এবং রাকেশ পাসোয়ান (২৪)। এই তিনজনের বাড়ি রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর,মঙ্গলবার গভীর রাতে ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতীর একটি দল রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকায় একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির করার পরিকল্পনা নিয়ে জড়ো হয়। কিন্তু, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিলে সকলেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় ৪ জন। বুধবার সকলকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours