পুলিশ সূত্রে খবর, জালিয়াতির জাল ছড়িয়েছে প্রায় ১৫ জেলায়। তবে জালিয়াতদের আঁতুড়ঘর হিসাবে বারবার উঠে আসছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নাম। যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়েছে সেগুলির বেশিরভাগই চোপড়ার একাধিক ব্যক্তির অ্য়াকাউন্টে জমা পড়েছে বলে খবর।
কেলেঙ্কারির মধ্যে গায়েব হয়ে যাওয়া ট্যাবের টাকা আর পাওয়া যাবে তো? প্রথম মুখ খুললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ জেলায় ছড়িয়েছে জালিয়াতদের জাল! শিকার প্রায় ৮০০ পড়ুয়া। ট্যাবকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ, চলছে ধরপাকড়। এমতাবস্থায় এবার প্রথম এই ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে বাংলার পাশাপাশি মমতা তুললেন অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গও। বললেন, “মহারাষ্ট্র, রাজস্থানেও ওরা হাইজ্যাক করেছে। এই গ্রুপকে কিন্তু আমরাই ধরতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই সিট তৈরি হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে। আর যাঁরা ট্যাবের টাকা পায়নি তাঁদের শীঘ্রই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জালিয়াতির জাল ছড়িয়েছে প্রায় ১৫ জেলায়। তবে জালিয়াতদের আঁতুড়ঘর হিসাবে বারবার উঠে আসছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নাম। যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়েছে সেগুলির বেশিরভাগই চোপড়ার একাধিক ব্যক্তির অ্য়াকাউন্টে জমা পড়েছে বলে খবর। তিনশো থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় খাটানো সেই সব অ্যাকাউন্ট। ইতিমধ্যেই একাধিক সাইবার ক্যাফের মালিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৈরি হয়েছে স্পেশ্যাল তদন্তকারী দল। কিন্তু প্রশাসনিক স্তর থেকে কোনও জালিয়াতি হয়নি তো? তদন্তে নেমেছেন লালবাজারের কর্তারা।
ট্যাবের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে স্কুল, DI অফিস, বিকাশ ভবন ও অর্থ দফতরের কোন কোন কর্মী যুক্ত তা জানতে এবার তালিকা চাইতে চলেছে লালবাজার। যেভাবে রাজ্যজুড়ে জালিয়াতির জাল ছড়িয়েছে তা দেখে দানা বাঁধছে নতুন সন্দেহ। লালবাজার মনে করছে কেন্দ্রীয়ভাবেই অ্যাকাউন্ট নম্বর বদল করা হয়েছে। বর্তমানে ট্যাব তদন্তে ফরেন আইপি অ্যাড্রেসের খোঁজ করছে লালবাজার। অর্থ দফতর থেকে স্কুল পর্যন্ত যে ফ্লো চার্টের মাধ্যমে টাকা যেত তার মধ্যে বাইরের আইপি’র খোঁজ চলছে। ফরেন্সিক অডিটেই প্রমান মিলবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours