প্রসঙ্গত, দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুন। সাফ বলেছিলেন, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন দলেরই বেশ কিছু প্রবীণ নেতাকে। যা নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক।


প্রেমপত্র’ থেকে ‘গর্বের বিষয়’! শোকজ নোটিস পেয়ে হুমায়ুনের গলায় কুণালের সুর?
জোরদার চর্চায় হুমায়ুন


 বিতর্ক, চাপানউতোর, অস্বস্তির মধ্যে শোকেজ করেছে দল। তিন দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে উত্তর। তবু যেন নিজের আগের অবস্থানেই অনড় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। স্পষ্ট বললেন, “যা বলেছি তার জন্য আমি বিচলিত নই, চিন্তিত নই, অনুতপ্ত নই। চিঠি দিয়ে শোকজ করা তো গর্বের বিষয়।” সঙ্গে এও জানালেন শোকজের যথাযথ উত্তরও যথাস্থানেই পৌঁছে যাবে। তাঁর মুখে ‘গর্বের’ কথা শুনে অনেকেই আবার মনে করছেন কুণাল ঘোষকে। চলতি বছরের শুরুতে আর এক বিতর্কের আবহে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুলে দলের বিড়ম্বনা বেশ খানিকটা বাড়িয়েছিলেন কুণাল। সেই আবহে সাফ বলেছিলেন, “আমাকে যদি শোকজ করা হয়, তা প্রেমপত্রের মতো গ্রহণ করব।” এবার হুমায়ুন বললেন, “আমাকে এর আগেও ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তখন তো চিঠিও পাইনি। তবু এটা আমার কাছে গর্বের যে এবার চিঠি দিয়ে শোকজ করা হচ্ছে।” 

তবে এই ঘটনা প্রবাহের মধ্যে খানিকটা আক্ষেপের সুরও শোনা গেল হুমায়ুনের গলায়। বললেন, “মমতা-অভিষেক আমাদের আবেগ। সেই অভিষেকের হয়ে কথা বলার জন্য আমাকে শো কজ করা হল।” প্রসঙ্গত, দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুনকে।

সাফ বলেছিলেন, দলে অভিষেককে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন দলেরই বেশ কিছু প্রবীণ নেতাকে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর বিতর্কও হয়। চাপানউতোরও হয় ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। এদিনই আবার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকও করেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষের মতো বরিষ্ঠ নেতারা। সেখানেই নেওয়া হয় শোকজ নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours