গত সপ্তাহেই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তারপর মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে।
বেশি বলো না?', বিধানসভার মধ্যেই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ধমক মমতার
হুমায়ুন কবীরকে ধমক মমতার
শোকজ করা হয়েছিল আগেই। নিরাপত্তাতেও হয়েছে কাটছাঁট। এবার বিধানসভায় দলেরই বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ধমক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে মমতা বলেন, ‘শোকজের জবাব তাড়াতাড়ি দিতে হবে।’ দৃশ্যত বিরক্তি প্রকাশ করে কবীরের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এত কথা কেন বলো? বেশি বলো না?’ পরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান কবীর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দেখা মাত্রই বলেন, ‘আগে শোকজের উত্তর দাও…’
প্রসঙ্গত, এদিন অধিবেশনের পর মুখ্যমন্ত্রী দলের বিধায়কদের দেখা করার নির্দেশ দেন। সব বিধায়করাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। এলাকা ভিত্তিক কাজকর্ম নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁকে দেখা মাত্রই মমতা বলেন, ‘আগে শোকজের জবাব দাও।’
গত সপ্তাহেই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তারপর মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। হুমায়ুকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে মুখ্যমন্ত্রী ছবি ছাড়া জিতে দেখান হুমায়ুন।
সোমবার কালীঘাটের বৈঠকের পর আরও বিস্ফোরক কথা বলেন হুমায়ুন। তিনি অভিযোগ করেন, দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা চলছে। আর সেটা কেউ করলে মেনে নেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতি দলে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এই ধরনের মন্তব্যের পরই দেখা যায়, দলের তরফ থেকে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। শোকজের পর হুমায়ুনের নিরাপত্তাতেও পড়ল কোপ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours