বাঁকুড়ার ট্যাব কেলেঙ্কারির টাকা পঞ্জাবের অ্যাকাউন্টে, রাজ্যজোড়া জন্য রাজ্যের শাসকদলকেই দূষলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অভিযোগ উড়িয়ে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল তৃণমূলের।


বিহারের পর ট্যাবের টাকা যাচ্ছে পঞ্জাবেও?
বাড়ছে চাপানউতোর

একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেলেঙ্কারির জাল কী শুধু উত্তরবঙ্গ ও বিহারেই বিস্তৃত? নাকি সেই জাল ছড়িয়ে রয়েছে পঞ্জাবেও? বাঁকুড়া জেলার ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে পাঞ্জাব যোগের কথাও উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই কেলেঙ্কারির জন্য রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। শাসক যোগের অভিযোগ অস্বীকার করে এই কেলেঙ্কারিতে যুক্তদের কঠোর সাজার দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। 

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ট্যাব কেলেঙ্কারির বিষয় সামনে আসতেই বাঁকুড়া জেলার ক্ষেত্রেই একই কেলেঙ্কারির হদিশ পায় স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক ভাবে বাঁকুড়া জেলার ১০ টি স্কুলের মোট ৫৩ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে ট্যাবের জন্য বরাদ্দ টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার প্রমাণ হাতে আসে শিক্ষা দফতরের। দ্রুত সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৬ জনের টাকা ফিরিয়ে আনে শিক্ষা দফতর। কিন্তু এখনও ৪৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে বাঁকুড়ার সাইবার থানা। 

তদন্তের শুরুতেই তদন্তকারীরা দেখেন সিমলাপাল ব্লকের মঙ্গলময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের যে ১৭ জন পড়ুয়ার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে তাদের মধ্যে একাংশের টাকা প্রথমে এ রাজ্যের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। পরে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে পঞ্জাবের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আদালতের নির্দেশে আপাতত পঞ্জাবের ওই অ্যাকাউন্ট-সহ মোট আটটি অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ ও বিহারের পাশাপাশি এবার এই কেলেঙ্কারিতে পাঞ্জাব যোগ মেলায় চিন্তা বেড়েছে শিক্ষা দফতরের। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours