November 2024

এরপরই দেখা যায় ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটা শুরু করেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ইঞ্জিন বদলানোর কাজ চলছে যার ফলেই দীর্ঘক্ষণ যাত্রী ভোগান্তি।

স্টেশনে দাঁড়িয়ে গেল একের পর এক লোকাল, কী হল হাওড়ায়?
হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে গেল একের পর এক লোকাল


হাওড়া: বুধবার। কর্মব্যস্ত দিন। মূলত, অফিসের জন্য প্রচুর মানুষের ভরসা লোকাল ট্রেন। কিংবা অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজে আসেন হাওড়া স্টেশনে। তবে আজ হল বিপত্তি। ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় লাইন দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লোকাল ট্রেন। প্রায় চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।

রেলসূত্রে খবর, এ দিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল লোকাল ট্রেন। জানা যায়, বর্ধমান থেকে হাওড়া ঢোকার মুখে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। ফলে একের পর এক লোকাল দাঁড়িয়ে থাকে। জানা যায়, হাওড়া স্টেশনের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনগুলি। এ দিকে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার খানিকটা বিরক্ত হন যাত্রীরা।

এরপরই দেখা যায় ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটা শুরু করেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ইঞ্জিন বদলানোর কাজ চলছে যার ফলেই দীর্ঘক্ষণ যাত্রী ভোগান্তি।
পরিবর্তে লোকেশ রাহুল ওপেন করতে পারেন। এ-দলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এ দলের প্রথম ম্যাচটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অ্যাপে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি টেলিভিশনেও সম্প্রচার হবে

এমসিজি-তে মহড়ায় লোকেশ রাহুল, টিভিতে দেখা যাবে ম্যাচ


বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরু ২২ নভেম্বর। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্লিনসুইপের পরই লোকেশ রাহুল এবং ধ্রুব জুরেলকে অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া যাবে ১০ নভেম্বর। কাল থেকে শুরু হতে চলা ভারত এ বনাম অস্ট্রেলিয়া এ দলের ম্যাচে রাহুল ও জুরেলকে খেলানোর উদ্দেশেই পাঠানো হয়েছিল। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তাই হতে চলেছে। সম্ভবত, পারথ টেস্টের ওপেনিং কম্বিনেশনের মহড়াও। ব্যক্তিগত কারণে প্রথম টেস্টে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ রোহিত শর্মাকে। পরিবর্তে লোকেশ রাহুল ওপেন করতে পারেন। এ-দলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এ দলের প্রথম ম্যাচটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অ্যাপে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি টেলিভিশনেও সম্প্রচার হবে।

অস্ট্রেলিয়া টিমও ওপেনার নিয়ে সমস্যায় রয়েছে। উসমান খোয়াজার সঙ্গী কে হবেন, তা নিশ্চিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার এ দলের ক্যাপ্টেন নাথান ম্যাকসোয়েনি সহ চার জন দৌড়ে রয়েছেন। ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট, মার্কাস হ্যারিস এবং ১৯-এর তরুণ স্যাম কন্টাস। বেশ কিছুদিন আগে থেকে স্যাম কন্টাসকে ওপেন করানোর পক্ষে ছিলেন অজি কিংবদন্তিরাও। অনভিজ্ঞ কন্টাসকে সরাসরি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে নামিয়ে দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতও পাওয়া গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে এ দলের ক্যাপ্টেন ম্যাকসোয়েনির পারফরম্যান্সের পর তাঁরই পাল্লা ভারী।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, জাতীয় মহিলা কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

'আমাকে যে ভাষায়...', রেখা পাত্রকে কী এমন বললেন ফিরহাদ হাকিম, মুখ খুলল মহিলা কমিশনও
ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

 ‘রেখা পাত্রকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমের। একজন মহিলা সম্পর্কে ওই শব্দ ব্যবহার করা উচিত হয়নি।’ রেখা পাত্র সম্পর্কে করা মন্তব্যের জেরে ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুমন্তব্যের জন্য ফিরহাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তার জবাবে ফিরহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলল জাতীয় মহিলা কমিশনও।

বুধবার হাড়োয়ায় দলীয় প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম। সেখানে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের পরাজয় নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।



এদিন বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া যায় জন বার্লাকে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী।

 বিজেপিতে দিন ঘনিয়ে আসছে জন বার্লার? তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুখ খুললেন প্রাক্তন সাংসদ
তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে জন বার্লা



 বিজেপি কি ছাড়ছেন তিনি? বেশ কিছুদিন ধরেই এই জল্পনা চলছে। মাদারিহাট-সহ রাজ্যের ৬ আসনে উপনির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, সেই জল্পনা আরও বাড়ছে। তৃণমূল নেতাদের পর এবার তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লাকে। এমনকি, রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। যদিও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের দাবি, এখনও পর্যন্ত দল পরিবর্তনের কথা ভাবেননি তিনি। কিন্তু, বিজেপির জেলা নেতৃত্বের কাজে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, সেকথা গোপন করেননি।

সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদক বৈঠক করেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লার সঙ্গে। সেই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছিল দুই পক্ষই। আর বুধবার প্রকাশ্যে বিন্নাগুড়ি বাজারে তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া গেল জন বার্লাকে। ভাইরাল সেই ছবি আর ভিডিয়ো।

এদিন বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া যায় জন বার্লাকে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী। রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রভা কুজুর লাকরার বাড়িতে বৈঠকেও দেখা যায় জন বার্লাকে। এই নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, তিনি জন বার্লাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।

 শারদ উৎসব শেষ। দীপাবলী ,কালীপুজো, ভাতৃদ্বিতীয়া পার হলেও পর্যটন নগরী দিঘায় পর্যটকের অভাব নেই। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবও পড়েনি তেমন, ফলে সহজেই ছন্দে ফিরেছে দিঘা।


 হুডখোলা বাস, 7D শো, ডিসেম্বরে দিঘা গেলে তো আর চিনতেই পারবেন না
দিঘায় পর্যটকের ভিড়

 দোলনায় দুলছেন, আর নীচে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র। স্বপ্ন নয়, এটাই সত্যি হচ্ছে। দিঘায় গেলেই এই দোলনায় চড়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করা যাবে এবার থেকে। তবে এই ‘জায়ান্ট সুইং’ শুধু নয়, দিঘার পর্যটকদের জন্য একাধিক আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে দিঘায়। আগামী ডিসেম্বরে দিঘা গেলে হয়ত চিনতেই পারবেন না। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের অভাব হয় না কখনও। আর নতুন সব আকর্ষণ যে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়াবে, তা নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

শারদ উৎসব শেষ। দীপাবলী ,কালীপুজো, ভাতৃদ্বিতীয়া পার হলেও পর্যটন নগরী দিঘায় পর্যটকের অভাব নেই। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবও পড়েনি তেমন, ফলে সহজেই ছন্দে ফিরেছে দিঘা। এরই মধ্যে দিঘাকে একেবারে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। স্পিডবোটে সমুদ্রে ঘোরার ব্যবস্থা ছিল আগেই, প্যারাসেলিংও চলছে বেসরকারি উদ্যোগে। আর এবার নতুন আকর্ষণ জায়ান্ট সুইং, টয়ট্রেন, হুডখোলা বাস, সেভেন ডি শো সহ আরও অনেক কিছু।

ঢেউ সাগর কমপ্লেক্সে গিয়ে খুশি পর্যটকেরা। বিশেষত সন্ধ্যার পর গেলে নানা ধরনের বিনোদন উপভোগ করা যাবে। বিশেষত শিশুদের খুবই ভাল লাগছে বলে জানাচ্ছেন পর্যটকেরা। জায়ান্ট সুইং বা দোলনার ভাড়া আপাতত ১০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। বাকিগুলি কবে চালু হবে, তা জানা যায়নি। এদিকে, পাড় বাঁধানোর কাজও চলছে।

এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'ভুল ভুলাইয়া থ্রি'। মুক্তির কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে কার্তিকের ছবি।
'মায়ের বারণ! মদ ছুঁইয়েও দেখিনি', কার্তিকের মন্তব্য শুনে শুরু সমালোচনা


এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’। মুক্তির কয়েক দিন কাটতে না কাটতেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে কার্তিকের ছবি। ছবির প্রচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে তাঁকে। সেখানেই নিজের সম্পর্কে এক বড় তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা।

কী বলেছেন কার্তিক? কার্তিকের কথায়, ‘আমি মদ ছুঁয়েও দেখি নি কখনও। কারণ, মায়ের নিষেধ রয়েছে। আর এটা নিয়ে আমার কোনও আগ্রহও নেই। কখনও খাওয়ার ইচ্ছেও হয়নি।’ তবে মদ্যপান না করলেও নিজের অন্য একটি নেশার কথা প্রকাশ্যে আনলেন নায়ক। তাতেও কিন্তু মায়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নায়কের কথা শুনে অনেকে লিখেছেন, “মাম্মাজ বয় কার্তিক। বিয়ের পর তাহলে খুবই সমস্যা হবে।”

যদিও এ প্রসঙ্গে অভিনেতা কিছু বলেননি। কার্তিক বলেন, “তবে আমার একটা নেশা আছে। সেটা হল গাড়ি আর বাইকের। তবে তাতেও মায়ের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দামি গাড়ির প্রতি আমার বিশেষ ঝোঁক রয়েছে।’ কার্তিক বলেন, রয়্যাল এনফিল্ড থেকে স্পোর্টস বাইক ডুকাটি স্ক্রাম্বলারও রয়েছে তাঁর। তাঁর কথায়, ‘আমার দামি দামি বাইক আছে, তবে মায়ের বারণ বলে চালাই না। ওগুলো পড়েই রয়েছে।” উল্লেখ্য,এই মুহূর্তে সাফল্যের মধ্যগগনে অভিনেতা। তাঁকে আরও নতুন নতুন চরিত্রে দেখার জন্য অপেক্ষায় দর্শক।

তাঁদের ১৬ বছরের দাম্পত্য নাকি ভাঙতে বসেছে। এমনটাই আলোচনা টিনসেল টাউনে। শোনা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্কের টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্য়ে প্রকাশ্যে আরও এক নতুন তথ্য। অভিষেককে সটান প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বর্যর কোন গুণ তাঁর একদম পছন্দ নয়।


আমার জঘন্য লাগে', ঐশ্বর্যর কোন অভ্যাস ঘেন্না করেন অভিষেক?


তাঁদের ১৬ বছরের দাম্পত্য নাকি ভাঙতে বসেছে। এমনটাই আলোচনা টিনসেল টাউনে। শোনা যাচ্ছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্কের টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্য়ে প্রকাশ্যে আরও এক নতুন তথ্য। অভিষেককে সটান প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বর্যর কোন গুণ তাঁর একদম পছন্দ নয়। তিনি ঘেন্না করেন। তিনিও কোনও কুণ্ঠাবোধ না করে সটান বলে দেন।

অভিনেতা বলেন, “ঐশ্বর্যর এই অভ্যাসটা আমার অসহ্য লাগে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ঐশ্বর্য যে ভাবে নিজের সুটকেস গোছায় আমার তা একেবারেই পছন্দ নয়। আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না পুরো বিষয়টা।” পুরো আলোচনাটাই হয়েছিল ‘কফি উইথ করণ’-এর একটি পর্বে। যেখানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন অভিষেক এবং তাঁর দিদি শ্বেতা বচ্চন। তখনই মজার ছলে অভিষেক নিজের সংসারের কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, শোনা যায় ‘দসভি’ ছবিতে অভিনয় করার সময়ই অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নিমরত। তবে সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। আচমকা কেন নিমরতের সঙ্গে অভিষেকের নাম জড়িয়েছে !তা শুনে নাকি খুবই বিরক্ত বচ্চন পরিবার। অন্তত বচ্চন পরিবারের ঘনিষ্ঠর দাবি এমনটাই। সত্যি যদিও এখনও অধরা। এ দিকে আরও একটি তথ্য এসেছে প্রকাশ্যে। শোনা যাচ্ছে,ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়েও বিস্তর ঝামেলা বেঁধেছে বচ্চনদের। মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্যই নাকি যত ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে।



নিম্নমানের খাবার, মাঝে মাঝে খাবার না দেওয়ার অভিযোগে আইসিডিএস কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ।। 





দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৫ নম্বর ICDS -এর দুর্গারানী সামন্তকে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেছে এলাকার মানুষ । 

দিদিমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিদিন নিম্নমানের খাবার দেওয়া এবং মাঝে মাঝে খাবার বন্ধ করে দেওয়ার।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন বিয়ের পর থেকে বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন জামাই। কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিবাদ। এলাকার লোকজনের সন্দেহ, ঝামেলার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক।

 ঘরে অচৈতন্য স্ত্রী, টালি খুলে শাশুড়ির ঘরে ঢুকে যাচ্ছেতাই কাণ্ড জামাইয়ের, ধরা পড়তেই ছুট
ব্যাপক শোরগোল এলাকায়

স্ত্রীকে অচেতন করে শাশুড়িকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল ফারাক্কার খোদাবন্দপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই জামাইয়ের বিরুদ্ধে ফারাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্বাশুড়ি। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে ফারাক্কার অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদাবন্দপুর গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রতিবেশী যুবক সমির শেখের (২৫)।

এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন বিয়ের পর থেকে বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন জামাই। কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিবাদ। এলাকার লোকজনের সন্দেহ, ঝামেলার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবক। অভিযুক্তের স্ত্রী জানাচ্ছেন, গভীর রাতে তাঁকে অচৈতন্য করে দেয় স্বামী। আর তখনই তাঁর মায়ের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকায় বেগ পায়। তখন ঘরের টালি খুলে ঘরে ঢোকে। 

অভিযুক্তের শাশুড়ি জানাচ্ছেন, সোনার গয়না চুরির করার উদ্দেশ্য়েই জামাই ঘরে ঢুকেছিল। কিন্তু আমি দেখতে পেয়ে যাওয়ায় ধারল অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এঁটে উঠতে না পেরে পালিয়ে যায়। এদিকে ততক্ষণে শাশুড়ির চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবেশীদের। উত্তেজনার খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফারাক্কা থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর দীর্ঘ সময় খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। 

আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী বলেন, "জামিনের আবেদন করছি।"


যদি বলি ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ...', আদালতে কেন বললেন আইনজীবী
সন্দীপ ঘোষ

 আরজি কর মামলার চার্জশিট গঠন হল আজ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ধারায় গঠিত হয় চার্জ। রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে বিচার প্রক্রিয়া। বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে চীৎকার করেন অভিযুক্ত। অন্যদিকে, ওই মামলায় জামিন চেয়ে বিচারকের কাছে আর্জি জানান সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে, তার কোনও প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।


আরজি কর খুন ও ধর্ষণ মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী বলেন, “জামিনের আবেদন করছি। প্রথম চার্জশিটে শুধুই ধর্ষণ ও খুনের কথা বলা হয়েছে। এখন প্রমাণ লোপাটের কথা বলা হচ্ছে। একটা প্রমাণ দেখাক।” সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে যে সিবিআই আপাতত ক্লিনচিট দিচ্ছে না, সে কথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এদিন।

সন্দীপের আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় নাম জড়ানোর পর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাঁর মক্কেলের। আইনজীবী জোয়েব রউফ বলেন, “সংবাদমাধ্যম আমার মক্কেলের (সন্দীপ ঘোষ) যা ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, তাতে যদি বলা হয় যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ, বাংলার মানুষ সেটাই বিশ্বাস করবে।”

সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, "আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই দু'জন (সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল) একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন ঘটনার পর।"


আমরা বলিনি সিভিক ভলান্টিয়ার একাই যুক্ত', আরজি কর মামলায় বলল সিবিআই
মুখ খুললেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে আজ, সোমবার আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জ গঠন হল শিয়ালদহ আদালতে। এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, চার্জ গঠন হলেও তদন্ত এখনও চলছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম চার্জশিটে থাকলেও, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কি না তারও তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, “আমরা কিছু প্রমাণ পেয়েছি, যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এই দু’জন (সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল) একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন ঘটনার পর। কেন ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেটার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।”

তবে কি আরজি কর মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার পথে? এই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই এদিন বলে, চার্জশিটে আমরা বলিনি ওই সিভিক ভলান্টিয়ার একাই যুক্ত। ওঁর বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে, তাই ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা মেনে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তার তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ক্লিনচিট দিচ্ছে না সিবিআই।

কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। ফাইনালে একটা অনবদ্য ইনিংসে সব ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে লজ্জার সিরিজ হারের ক্ষত কত তাড়াতাড়ি মিটবে, বলা কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা, জন্মদিনটা কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন বিরাট কোহলি?


 কিউয়ি সিরিজে লজ্জা, বিরাট কোহলি যে ভাবে জন্মদিন পালন করলেন...


বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আজ শুধু একটাই প্রসঙ্গ। কিং কোহলির জন্মদিন। তাঁর নানা অনবদ্য় ইনিংসের ভিডিয়ো যেমন সামনে আসছে, তেমনই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁর কেরিয়ারের খারাপ সময়গুলোও। এর মধ্যেই একটা হতাশার সিরিজ কেটেছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। তুলনামূলক অনভিজ্ঞ স্পিনারদের কাছে ধরাশায়ী। টিম ইন্ডিয়ার এই ব্যর্থতার অন্যতম অংশ বিরাট কোহলিও। ব্যাট হাতে লাগাতার হতাশ করছেন। কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শুরু থেকে রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। ফাইনালে একটা অনবদ্য ইনিংসে সব ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কিউয়িদের বিরুদ্ধে লজ্জার সিরিজ হারের ক্ষত কত তাড়াতাড়ি মিটবে, বলা কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা, জন্মদিনটা কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন বিরাট কোহলি?

গত এক বছর ধরেই একটা গুঞ্জন চলছে, বিরাট কোহলি হয়তো পাকাপাকি ভাবে লন্ডনে থেকে যাবেন। দেশে-বিদেশে নানা সিরিজ শেষেই লন্ডন উড়ে গিয়েছেন বিরাট। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তবে কিউয়ি সিরিজে হারের পর আপাতত বিরাট কোহলি দেশেই। ১০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া যাবে ভারতীয় দল। সেখানে পাঁচ ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। সূত্রের খবর, বিরাট কোহলি তাঁর ৩৬তম জন্মদিন দেশেই কাটিয়েছেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে।



সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কিছু ছবি, ভিডিয়োও এসেছে জন্মদিন পালনের। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, তাঁর নিজস্ব রেস্তোরাঁতেই জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন বিরাট কোহলি। সঙ্গী স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। জন্মদিনের সেলিব্রেশনের মাঝেও ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে যা শেষ সুযোগ। তেমনই বিরাটের মতো সিনিয়রের কাছেও এটাই হয়তো শেষ সুযোগ। সাফল্য পেলে কোনও সমস্যা নেই, ব্যর্থ হলে এটাই শেষ সিরিজ হতে পারে জাতীয় দলের জার্সিতে।

সোমবার দিনভর মোট ৫ টি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হীতেন্দ্র নাথ বর্মন, জনার্দন বর্মন, সম্পদ রায়, কমল চন্দ্র বর্মন ও দেবব্রত রায়। আজ মোট ৫ জন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 এখনও পর্যন্ত মোট ৬৩ লক্ষ! নিশীথ প্রামাণিকের 'আপ্ত সহায়ক' পরিমলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ



অভিযোগের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে নিশীথের আপ্ত সহায়ক পরিচয় দেওয়া কুখ্যাত আসামী পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে। এর আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর গুলি চালানো, বিস্ফোরক-সহ আরও বিভিন্ন অভিযোগের মামলা রয়েছে। বিধানসভা ভোটের টিকিট ও চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল পরিমলের বিরুদ্ধে। এবার ওই তালিকায় নতুন সংযোজন হল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া-সহ আরও একগুচ্ছ অভিযোগ।


অমিত শাহর প্রাক্তন ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। অভিযোগ, তার পিএ পরিচয় দিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বনাথ শীলকে বিধানসভার টিকিট ও যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল পরিমল রায়। এই বিপুল পরিমাণ টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করেছিলেন বলে দাবি বিশ্বনাথ শীলের। কিন্তু বিধানসভার টিকিট বা কারোর চাকরি না হবার পর তিনি পরিমল রায়ের কাছে টাকা ফেরতের দাবি করেন। লাগাতার প্রতিশ্রুতির পর সেই টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বনাথ শীল।

রবিবার রাতে টিভি নাইন বাংলায় সেই খবর সবার আগে প্রচারিত হয়। আর এরপর সেই খবর প্রকাশিত হতেই সোমবার দফায় দফায় ময়নাগুড়ি থানায় পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত একের পর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।

সোমবার দিনভর মোট ৫ টি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হীতেন্দ্র নাথ বর্মন, জনার্দন বর্মন, সম্পদ রায়, কমল চন্দ্র বর্মন ও দেবব্রত রায়। আজ মোট ৫ জন নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবার সবাই কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। আজ মোট আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি। অর্থাৎ দুদিন মিলিয়ে প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল ময়নাগুড়ি থানায়।

মেখলিগঞ্জের উছল পুকুরি এলাকার বাসিন্দা হিতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, “আমার মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে পরিমল রায়। আমরা তাঁকে নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়ক বলে জানতাম। মন্ত্রীর সাথে কর্মসূচিতে দেখেছি। তাই বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরি না হলে আমি টাকা ফেরত চাই। দিয়ে দেবে বলে দু বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। আজ সংবাদ মাধ্যমে পরিমল রায়ের প্রতারণার খবর দেখলাম। তাই ময়নাগুড়ি থানায় ছুটে এসে অভিযোগ দায়ের করলাম।”

প্রতারিত হয়েছেন কমল চন্দ্র বর্মন। বিজেপি নেতা বিশ্বনাথ শীল বলেন, “মন্ত্রী থাকা কালীন নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে অভিযুক্ত পরিমল রায় কে দেখেছেন।এমনকি খোদ মন্ত্রীর বাড়িতে পরিমলের সাথে মন্ত্রীর সাথে তার আত্মীয়ের চাকরির ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। ওই সময় পরিমলকে মন্ত্রীর সাথেই দেখা যেতো। টাকা ফেরত দেবার জন্য ও আমার সামনেই নিশীথ প্রামানিককে ফোন করেছিল বলে দাবী তার।

পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহাল বলেন, “মঙ্গলবার নতুন করে ৫ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। অপরদিকে পরিমল রায় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।” তিনি আরও বলেন, “পরিমল রায় একজন কুখ্যাত অপরাধী। ২০১৮ সালে তিনি যখন কোচবিহার জেলায় SDPO পদে আসীন ছিলেন সেই সময় একটি অভিযান চলাকালীন পরিমল রায় পুলিশের উপর গুলি চালায়। ওই ঘটনায় তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে আজও মামলা চলছে।” পরিমল রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। অপরদিকে নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, এই নামে তাঁর কোনও পিএ নেই।




জন বার্লা আরও বলেছেন, "সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন আমার বাড়িতে, আমি বলেছি এই লিডারশিপ থাকলে কাজ করা যাবে না। সব ভেঙে দিয়েছে।" তবে  দল বদলের কোনও চিন্তা তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন।




জলপাইগুড়ি: মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা। তৃণমূলের যোগ দিতে পারেন জন বার্লা। ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহলে এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মাদারিহাট উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন-বার্লাকে।

এই পরিস্থিতিতে জন বার্লার ডুয়ার্সের বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে হঠাৎই উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জন বার্লা কি তৃণমূলে যেতে চলেছেন?

এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আগামী ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের দুটো গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।  বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাকোয়াঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েত।

জন বার্লা নাম না করে মনোজ টিজ্ঞার উদ্দেশে বলেন, “এখানে ওয়ান আর্মি হিসাবে সব কিছু চলছে। কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলে। মাদারিহাটের উপ-নির্বাচনে আমার দুদিকে দুই ভাই, একদিকে গোর্খা একদিকে আদিবাসী।  আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসী রাগ করবে।”

জন বার্লার বক্তব্য, “‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসাবে কেউ যদি জেলা চালায় তাহলে কি চলবে? তাই ওয়ান ম্যান এর জন্য কোনও লিডারশিপ নামছে না এইভাবে তো চলবে না, আপনারা বুঝবেন কাকে বলছি, এখন আমাকে ছাড়া জিতলে ভালো, চা বাগানের মানুষকে নিয়ে না চললে কেন বিশ্বাস করবে?”

জন বার্লা আরও বলেছেন, “সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন আমার বাড়িতে, আমি বলেছি এই লিডারশিপ থাকলে কাজ করা যাবে না। সব ভেঙে দিয়েছে।” তবে  দল বদলের কোনও চিন্তা তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, “আমাদের কোনও সেটিংয়ের দরকার পড়ে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন-আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি জন বার্লা মনে করেন, তৃণমূলে আসবেন, তাহলে আসবেন।”

বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, “যাঁরা বলছেন, তাঁদের কাছেই এই উত্তর রয়েছে। এই উপনির্বাচনে মাদারিহাট, সিতাইয়ে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছে। রাজনৈতিকভাবে কে কার বাড়িতে যাবে, তা ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জন বার্লার বোন মেরিনা কুজু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন মেরিনা। ভাল ব্যবধানেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। তারপরই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।


এদিনের কর্মশালায় নারী নিরাপত্তার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত, সে বিষয়ে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, "আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্য়মন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।"

চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে', বাংলায় নতুন রীতি আনার বার্তা সুকান্তর
কালনায় সুকান্ত মজুমদার

সুকান্তর মুখে বাংলায় এবার বুলডোজার নীতি! বিজেপি সরকার এলে মেয়ের বাবা-মায়ের হাতে চেক ধরাতে হবে না। ধর্ষকদের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে। কালনায় বিজেপি সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা থেকে ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্য় সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সোমবার কালনায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ কর্মশালা ছিল। সেখান থেকে বাংলার মহিলাদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রজেক্টের কথা বলেন সুকান্ত। এই প্রকল্পে বাংলার মহিলাদের তিন হাজার টাকা করে দেবে বিজেপি। তা করতে কীভাবে ফর্মপূরণ করতে হবে, তাও বলে দেন সুকান্ত। এদিনের কর্মশালায় নারী নিরাপত্তার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত, সে বিষয়ে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্য়মন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” তিনি বলেন, “বাংলার বিজেপি সরকার তৈরি হলে ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে।” ‘বুলডোজার’ শব্দটি এতদিন যোগীরাজ্যের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত প্রযোজিত ছিল। এবার নারী নিগ্রহ রুখতে সেই রীতিই বাংলায় চালু করার বার্তা দিলেন সুকান্ত।

গত কয়েক মাসে বাংলার একের পর এক ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ উঠছে। বাংলার নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখ খুলছেন বিশিষ্টজনেরাও। সেই পরিস্থিতিতে বুলডোজার নীতির কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার।

 ১৮০০ সালের ওই নির্বাচনে থমাস জেফারসন ও জন অ্যাডামসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, সেই সময় আসরে নামতে হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসকে। শেষ পর্যন্ত জেফারসনকে বেছে নেওয়া হয়।

 যদি ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে 'টাই' হয়, তাহলে কে হবেন প্রেসিডেন্ট?
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকার নির্বাচনে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। সমীক্ষা অন্তত তাই বলছে। মূল ভোটপর্বের আগে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তফাৎ খুব বেশি নেই। তাই ভোটের ফল প্রকাশের আগে বলা যাচ্ছে না, আমেরিকার মসনদে কার বসার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে ট্রাম্প বা হ্যারিস কেউই পেলেন না সংখ্যাগরিষ্ঠতা? কী হবে তখন?


২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। আর পরবর্তীতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস। কোনও কোনও প্রদেশে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেশি, তবে কমলা হ্যারিসের সমর্থকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই ‘টাই’ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেকে।

আধুনিক আমেরিকায় এমন কোনও নজির না থাকলেও ২০০ বছর আগে ১৮০০ সালের নির্বাচনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, তাহলে প্রেসিডেন্ট বাছাই করবে মার্কিন কংগ্রেস। জনপ্রতিনিধিরাই প্রেসিডেন্ট বাছবেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছবে সেনেট।



ভারতের কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর, শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওডিআই সিরিজ হেরেছিল টিম। এ বার দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারতীয় টিম। পাকিস্তানের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন গৌতমের আইপিএলের কৌশল টেস্ট সিরিজে সমস্যা তৈরি করেছে।

টেস্টকে টি-২০ ভাবা বন্ধ হোক, গৌতম গম্ভীরকে বিঁধলেন পাকিস্তানের প্রাক্তনী

টেস্টকে টি-২০ ভাবা বন্ধ হোক, গৌতম গম্ভীরকে বিঁধলেন পাকিস্তানের প্রাক্তনী

গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) ভাবনাতেই রয়েছে গলদ! এ কথা জোর গলায় বলছেন পাকিস্তানের এক প্রাক্তনী। ভারতের মাটিতে দীর্ঘদিন টেস্টে অপরাজিত ছিল টিম ইন্ডিয়া। সে রেকর্ড এখন অতীত। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট টিম সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিয়েছে। ভারতের কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর, শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওডিআই সিরিজ হেরেছিল টিম। এ বার দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছে ভারতীয় টিম। পাকিস্তানের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করছেন গৌতমের আইপিএলের কৌশল টেস্ট সিরিজে সমস্যা তৈরি করেছে। টেস্ট ক্রিকেটকে টি-২০ ভাবা বন্ধ করা দরকার। মত সেই প্রাক্তনীর।


গৌতমের আগে ভারতের হেড কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় টিম তাঁর কোচিংয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। দেশের মাটিতে এ বার ৩ টেস্টের সিরিজে ক্লিনসুইপের লজ্জার সময় পাক প্রাক্তনী বসিত আলি বলেছেন, ‘আজ ভারতীয় টিমের রাহুল দ্রাবিড়কে হয়তো মনে পড়বে। তিনি ৪ দিনের পরিকল্পনা করতেন। আর এখন তো দেখছি এদের পরিকল্পনা ২ দিনের বা আড়াই দিনের।’

গম্ভীর কেকেআরের মেন্টর ছিলেন ১৭তম আইপিএলে। সেই মরসুমে নাইটরা আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। তারপরই গৌতমকে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ করা হয়। বসিত মনে করছেন আইপিএল জিতে টেস্ট টিমের দায়িত্ব নেওয়ার ফলে গম্ভীরের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটকেও টি-২০ স্টাইলে খেলার একটা প্রবণতা রয়েছে। গৌতমের এই ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনকার কোচদের সাক্ষাৎকারে শোনা যায় টেস্ট ম্যাচে তাঁরা ড্র চায় না। এটা ঠিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আইপিএল জিতে এসেছো বলে টেস্ট ম্যাচও একই স্টাইলে খেলবে। টি-২০ অন্য ধরণের খেলা। তার মতো করে টেস্ট খেললে সত্যিই খেলাটা নষ্ট হয়ে যাবে।’



২৪.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে গত মরসুমে স্টার্ককে কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি যে দর পেয়েছিলেন, তার মতো আইপিএলে পারফর্ম করতে পারেননি। যে কারণে প্রবল সমালোচিতও হয়েছেন। এ বার তাঁকে আইপিএলের মেগা নিলামের আগে রিটেন করেনি কেকেআর।


আইপিএলের রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হতেই অনেকে খুঁজছিলেন একটা নাম। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মিচেল স্টার্ককে (Mitchell Starc) কি ধরে রাখল কেকেআর (KKR)? ২৪.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে গত মরসুমে স্টার্ককে কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনি যে দর পেয়েছিলেন, তার মতো আইপিএলে পারফর্ম করতে পারেননি। যে কারণে প্রবল সমালোচিতও হয়েছেন। এ বার তাঁকে আইপিএলের মেগা নিলামের আগে রিটেন করেনি কেকেআর। নাইট শিবির তাঁর উপর ভরসা রাখেনি ঠিকই, কিন্তু তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে বল হাতে জ্বলে উঠলেন। একইসঙ্গে কেকেআর তাঁকে রিটেন করেনি বলে প্রথম প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।


এমসিজিতে চলছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের প্রথম একদিনের ম্যাচ। সেখানে টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স। ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রান তুলে অল আউট হয় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে মিচেল স্টার্ক ৩ ওভার বলে করে ৩টি মেডেন সহ ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর তিন শিকার দুই ওপেনার আবদুল্লা (১২), সাইম আয়ুব (১) ও শাহিন আফ্রিদি (২৪)। স্টার্কের আগুন ঝরানো পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা চলছে।



জাতীয় দলে শ্রেয়স ব্রাত্য। আইপিএলেও আপাতত দলহীন। যেহেতু গত আইপিএলে নাইটদের চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন, তাই কেকেআরের অনুরাগীরা ভেবেছিলেন পঁচিশের আইপিএলেও তাঁকে নাইট জার্সিতে দেখা যাবে। 

কিন্তু তা আপাতত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রঞ্জি ট্রফিই যেন সিঁড়ি!


শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) বর্তমান সময়টা কেমন কাটছে? বিগত কয়েকদিন ধরে তিনি আলোচনায়। ৩১ অক্টোবর আইপিএল (IPL) রিটেনশন তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেখানে কেকেআরের রিটেনশন তালিকায় ছিল না তাঁর নাম। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটে মহলে প্রবল চর্চা হয়েছে শ্রেয়সকে নিয়ে। ফের একবার তিনি আলোচনায়। এ বার কারণ মুম্বই। না না, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সম্পর্কিত কোনও কারণ নয়। জানা গিয়েছে, রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) জন্য মুম্বই ক্রিকেট টিমের স্কোয়াডে আবার ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার।


সম্প্রতি শ্রেয়স আইয়ারকে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে দেখা যাচ্ছিল। যদিও তিনি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলেননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে জানা যায়, তাঁর কাঁধে চোট ছিল। এ বার শোনা গিয়েছে, সেই চোট সেরেছে। তা হলে কি আবার রঞ্জি ট্রফিতে ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স? খবর তেমনটাই। ওড়িশার বিরুদ্ধে ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের ম্যাচ। সব ঠিকঠাক থাকলে সেখানেই মুম্বইয়ের স্কোয়াডে ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স।


ভারতীয় ক্রিকেট মহলে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। টিম ইন্ডিয়ায় গম্ভীর জমানা কি শেষের পথে? জানা গিয়েছে, দেশের মাঠে লজ্জার নজিরের পর নড়েচড়ে বসছে BCCI।

চরম পরীক্ষার মুখে গৌতম গম্ভীর, অস্ট্রেলিয়ায় হারলে ছাঁটাই হতে পারেন ভারতের নতুন কোচ?
চরম পরীক্ষার মুখে গৌতম গম্ভীর, অস্ট্রেলিয়ায় হারলে ছাঁটাই হতে পারেন ভারতের নতুন কোচ?

 ক্রিকেটার হিসেবে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ভারতকে যা দিয়েছেন, তা কোচ হিসেবে কি দিতে পারছেন? শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে হিসেব নিকেশ। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ টেস্টের সিরিজে ক্লিনসুইপ হয়েছে ভারত। তারপর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, টিম ইন্ডিয়ায় কি এ বার গৌতম গম্ভীরের জমানা শেষ হতে চলেছে? এ মাসেই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতীয় টিম। সেটাই কি কোচ হিসেবে গৌতমের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হবে? এই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে।

ভারতীয় টিম দীর্ঘদিন দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে অপরাজিত ছিল। কিউয়িরা এ বার ভারত সফরে এসে সেই রেকর্ড ভেঙে দিল। ৩৬ বছর পর টিম ইন্ডিয়াকে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় নিউজিল্যান্ডের। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে কোনও টেস্ট সিরিজ হারল টিম ইন্ডিয়া। যে কারণে, গৌতম গম্ভীরকেও অনেকে দায়ী মনে করছেন। তাঁর দল চালনার ধরন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে কিউয়িরা ভারতকে ৩ টেস্টের সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৫ রানে হারায়। ওই ম্যাচের পর জিও সিনেমার সম্প্রচারে দেখা যায় মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভারতীয় টিমের নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর ও হেড কোচ গৌতম গম্ভীর দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন। সেই সময় তাঁদের সামনেই ছিলেন গম্ভীরের ডেপুটি অভিষেক নায়ারও। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠান যখন দেখানো হচ্ছিল, সেই সময় মাঠে অজিত-গৌতমের আলোচনার ফুটেজ চালানো হয়। তাঁদের কথোপকথন শোনা যায়নি। কিন্তু ওই সময় অজিত-গৌতমদের চোখ-মুখ বলে দিচ্ছিল তাঁরা গভীর আলোচনাই করছেন।

মন্দিরের ভিতর একটি হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল পড়ছে। বাঁকে বিহারী মন্দিরের ভিতর হাতির শুঁড় থেকে জল পড়ছে, এটা ভগবান কৃষ্ণের 'চরণামৃত' ছাড়া আর কি বা হতে পারে? কাজেই, অন্ধ বিশ্বাসে সেই জল পান করা শুরু করেছিল ভক্তকুল।



 হাতির মুখ থেকে পড়ছিল ফোঁটা ফোঁটা..., চরণামৃত ভেবে এটা কী খেল ভক্তকুল!
বাঁকে বিহারী মন্দিরের গায়ের হাতির মূর্তি থেকে চুঁইয়ে পড়া জলই চরমামৃত ভেবে খেলেন ভক্তরা


মথুরার বিখ্যাত বাঁকে বিহারী মন্দির। মন্দিরের ভিতর একটি হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল পড়ছিল। বাঁকে বিহারী মন্দিরের ভিতর হাতির শুঁড় থেকে জল পড়ছে, এটা ভগবান কৃষ্ণের ‘চরণামৃত’ ছাড়া আর কি বা হতে পারে? অন্ধ বিশ্বাসে সেই জল পান করা শুরু করেছিল ভক্তকুল। কেউ কেউ কাগজের কাপ এনে তা ভরে নিচ্ছিল, তারপর পান করছিল। কেউ কেউ এই ‘পবিত্র জলে’র ফোঁটা সরাসরি আঁজলা করেই পান করে নিচ্ছিল। কেউ কেউ তা মাথায় ছিটিয়ে প্রণাম করছিল। তারপর জানা গেল, ওটা মোটেই চরণামৃত নয়। ওই জল আসলে মন্দিরের একটি এয়ারকন্ডিশন যন্ত্র থেকে গড়িয়ে পড়া জল। আমাদের অনেকের বাড়ির এসি যন্ত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। আর যে জল যথেষ্ট দূষিতও বটে।


এই অন্ধ বিশ্বাসের ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরের এক দর্শনার্থীই সেটি রেকর্ড করেছেন। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এসি থেকে চুঁইয়ে পড়া ওই জল যারা খাচ্ছিলেন, ভিডিয়ো রেকর্ড করা ব্যক্তি তাঁদের ভুল ধরিয়েও দিচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দিদি, এটা এসি থেকে পড়া জল, ঠাকুরের চরণামৃত নয়। মন্দিরের পুরোহিতরাও এটা বলেছেন। তবে, তাঁর কথায় কে কান দেয়, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু…। তাই, তিনি সতর্ক করার পরও অসংখ্য ভক্ত ওই জল পান করেছেন, মাথায় ছিটিয়েছেন, বোতলে সংগ্রহ করে গিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি পোস্ট করে সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘শিক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজন। মানুষ ঈশ্বরের চরণামৃত মনে করে এসির জল পান করছে!’


এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ ভক্তদের সারল্যের কথা বলে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা বলেছে, হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে চরণামৃত পড়ার বদলে এসির জল পড়ছে, তা তারা বুঝবে কীকরে? তবে অধিকাংশ ব্যক্তিই বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্ধের মতো অন্যদের অনুসরণ না করে, কেউ নিজের মাথা খাটায় না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ভারতে কুসংস্কার ও অজ্ঞতার মাত্রা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন সেখানে কোনও সতর্কতার ব্যবস্থা করেনি, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ছত্রাক-সহ অনেক ধরণের সংক্রমণের প্রজনন ক্ষেত্র। বিশেষ করে, এয়ার কন্ডিশনারের ঘনীভূত জল থেকে লেজিওনারিস নামে এক ভয়ঙ্কর রোগ হতে পারে। যা থেকে নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই, এয়ার কন্ডিশনিংয়ের জল পান করা একেবারেই উচিত নয়।

এ বছরের শেষে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজ খেলবে রোহিত ব্রিগেড। তা শুরুর আগে একটা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।


ভারতীয় ক্রিকেট টিম এ মাসেই অজি সফরে যাবে। পারথে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia) প্রথম টেস্ট ম্যাচ। তার আগে ভারতীয় টিম নিয়ে চিন্তিত দেশের কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজ খেলবে রোহিত ব্রিগেড। তা শুরুর আগে একটা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, টিম ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত ভালো ভাবে নিচ্ছেন সানি। নিজের দুটো যুক্তি তুলে ধরেছেন গাভাসকর। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ভারতীয় টিমের জন্য অশনি সংকেতও দেখছেন সানি।


অজি-ভূমে প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করে ঠিক করেনি টিম ইন্ডিয়া। এমনটাই মনে করেন সানি। সিনিয়রদের জন্য না হলেও, তরুণদের জন্য এই সিদ্ধান্ত ঠিক হল না। বলছেন গাভাসকর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘আমি মনে করি ওদের (টিম ইন্ডিয়ার) ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। টেস্ট ম্যাচের মধ্যে বিরতি থাকবে। সিনিয়র প্লেয়ারদের যে খেলতেই হবে, তেমনটা নয়। কিন্তু জুনিয়র প্লেয়ারদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। যে জুনিয়র প্লেয়াররা এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কখনও খেলেনি যেমন – যশস্বী জয়সওয়াল, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেলরা। সকলেই তরুণ ব্যাটার। তাই আমার মনে হয় টেস্ট সিরিজটা শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলা প্রয়োজন ছিল। অস্ট্রেলিয়া এ টিম কিংবা কুইন্সল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ হলেও চলত। অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের সুযোগ দেওয়া দরকার ছিল।’

অজি সফরের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ভারতীয় ব্যাটারদের এক বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর মতে ভারতীয় ব্যাটারদের নিয়মিত বোলারদের বিরুদ্ধে নেটে বেশি সময় কাটানো উচিত। থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টরা ক্রিকেটারদের নেটে বোলিং করেন। কিন্তু তাতে অনুশীলনে ফাঁক ফোকর থেকে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি দেখছেন গাভাসকর। তিনি বলেন, ‘নিজেদের উপর ভরসা রাখতে হবে। যত বেশি সম্ভব অনুশীলন করতে হবে। থ্রো ডাউনের মুখোমুখি হওয়া ঠিকই আছে। কিন্তু রেগুলার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে নেটে অনুশীলন করা প্রয়োজন। জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস করা দরকার। জসপ্রীত বুমরার কথা আমি বলছি না। কারণ ও মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু অন্য বোলারদের বলা যেতে পারে ২২ গজের পরিবর্তে ২০ গজ থেকে বল করতে। তা হলে ব্যাটে তাড়াতাড়ি বল আসবে।’

নিউ দিঘায় বর্তমানে রয়েছে আরও অনেক বিনোদনের ব্যবস্থা। স্পিডবোটে সমুদ্র বিহার করতে পারেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে প্যারাসেলিং-এরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এবার আরও এক নতুন অ্যাডভেঞ্চারের ব্যবস্থা।

 দিঘায় এবার নতুন আকর্ষণ, জায়ান্ট সুইং-এ বসে নীচে দেখুন সমুদ্রের ঢেউ, ভাড়া সাধ্যের মধ্যেই
দিঘায় নতুন আকর্ষণ

নতুন নতুন পর্যটনস্থল তৈরি হয়েছে বাংলায়। কোথাও পাহাড়ের বুকে নির্জন হোমস্টে, কোথাও আবার অ্যাডভেঞ্চারের অফুরন্ত ব্যবস্থা। কিন্তু বাঙালির কাছে দিঘার আকর্ষণ কমেনি কোনওদিনই। ছুটি হোক বা উইকেন্ড- বাঙালির পছন্দের গন্তব্যের তালিকায় দিঘার জায়গা একই রকম আছে। সদ্য উৎসবের মরশুমেও ভিড় ছিল দিঘায়। সাইক্লোনের আশঙ্কা কেটে যাওয়ার পর আবার সৈকত ভরে যায় পর্যটকে। সেই দিঘায় এবার নতুন ‘অ্যাডভেঞ্চার’।

দিঘা সহ সামগ্রিক এলাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ওল্ড দিঘায় নতুন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলে পাড় বাঁধাই করার কাজ চলছে। সমুদ্রের ধারে বসে সময় কাটানোর জন্য একাধিক বসার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিউ দিঘাতেও রয়েছে আরও অনেক বিনোদনের ব্যবস্থা। স্পিডবোটে সমুদ্র বিহার করতে পারেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে প্যারাসেলিং-এরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

এবার আরও এক বিশেষ আকর্ষণ। দোলনায় চেপে সমুদ্রের উপরে দোল খেতে পারবেন পর্যটকরা। ইন্দোনেশিয়ার বালি-তে অনেকেই দেখেছেন জায়ান্ট সুইং। অনেক উঁচুতে থাকা সেই দোলনা বহু পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ। উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে এমন দোলনা বা জায়ান্ট সুইং। সেরকম দোলনাই এবার থাকবে দিঘায়। বেসরকারি উদ্যোগে শুরু হল সেই সমুদ্র-দোলনা যা পর্যটকদের কাছে চমকপ্রদ হয়ে উঠছে।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, টিউশন পড়ে ফেরার সময় হঠাৎ দুই যুবক গিয়ে হাজির হয় তার কাছে। সঙ্গে ছিল তার এক বান্ধবীও। আপাতত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।


'টান মেরে পাশের ঝোপে নিয়ে গিয়ে মুখ বেঁধে দেয় ওরা... ', ভরসন্ধ্যায় যা ঘটল দুবরাজপুরে
দুবরাজপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

আবারও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল রাজ্যে। টিউশন বাড়ি ফিরছিল এক নাবালিকা। পিছন থেকে টেনে, মুখে কাপড় বেঁধে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বীরভূমের দুবরাজপুরের ঘটনা। দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। সোমবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ ওই নাবালিকা ফিরছিলেন। দুই যুবক ছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।


নাবালিকার পরিবারের দাবি, টিউশন পড়ে ফেরার সময় হঠাৎ দুই যুবক গিয়ে হাজির হয় তার কাছে। সঙ্গে ছিল তার এক বান্ধবীও। শুধু গণধর্ষণের চেষ্টাই নয়, ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। নাবালিকার অভিযোগ, টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পণ্ডিতপুর গ্রামের কাছে দু’জন যুবক তার পথ আটকায়। তাকে জোর করে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে যায় পাশে একটি ঝোপের মধ্যে। সেখানে কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধা হয় এবং গণধর্ষণের চেষ্টা করে


গত এপ্রিলে অভিনেতার বান্দ্রার বাড়ির সামনে গুলি চালানো হয়। সেই ঘটনাতেও লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। আর গত অক্টোবরে সেই গ্যাং-এর হাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাবা সিদ্দিকির।

সলমন খানকে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, নাহলে...', আবার এল মেসেজ

বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিনেতা সলমন খানকে। এর আগে ২ কোটি টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল সলমনকে। এবার ফের মুম্বই পুলিশের কাছে এল মেসেজ। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে যুক্ত থাকা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর তরফেই এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এবার চাওয়া হল পাঁচ কোটি টাকা। অন্যথায় ক্ষমা চাইতে হবে সলমনকে। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুবার হুমকি দেওয়া হল সলমন খানকে।

মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে যে মেসেজ এসেছে, তাতে লেখা রয়েছে, “লরেন্স বিষ্ণোই-র ভাই বলছি। যদি সলমন খান জীবিত থাকতে চান,তাহলে আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে অথবা পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। এগুলো না করলে, আমরা মেরে ফেলব। আমাদের গ্যাং এখনও সক্রিয় আছে।”

গত এপ্রিলে অভিনেতার বান্দ্রার বাড়ির সামনে গুলি চালানো হয়। সেই ঘটনাতেও লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। আর গত অক্টোবরে সেই গ্যাং-এর হাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাবা সিদ্দিকির। এরপর সলন খানের নিরাপত্তা নিয়ে আরও বড় প্রশ্ন ওঠে।



তাঁরা যখন গাড়ি থেকে নেমে জানতে চান, কী কারণে এই হামলা, তখন মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে ময়দান থানায় যান আন্দোলনকারীরা, পরে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়।


আন্দোলনকারীরা এবার 'টার্গেট'? প্রথমে গাড়ি 'ফলো' করে, পরে কাচ ভেঙে হামলা এক্সাইড মোড়ে
ভাঙা হয় গাড়ির কাচ

আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার পর প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত। তবে আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেনি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবারও একাধিক কর্মসূচি ছিল কলকাতায়। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হতে হল কয়েকজন মহিলাকে। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়ার পর গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রথমে ময়দান থানায় যান এবং পরে শেক্সপিয়র সরণি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

সোমবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ এক্সাইড মোড়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ‘দ্রোহের আলো’ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর রাসবিহারী থেকে এক্সাইড মোড়ের দিকে ফিরছিলেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। অভিযোগ, ভাসান দিতে যাচ্ছিলেন, এমন কয়েকজন লোক আচমকা আন্দোলনকারীদের গাড়ি রাসবিহারী থেকে ‘ফলো’ করতে শুরু করেন। তাঁদের পিছন পিছন যেতে থাকেন। শেষে এক্সাইড মোড়ে গিয়ে গাড়ি আটকানো হয় বলে অভিযোগ।

আন্দোলনকারীদের দুটি গাড়ি ছিল। তার মধ্যে একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের নিশানা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আন্দোলনে সামিল হওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের টার্গেট করে আটকানো হয়। প্রথমে গাড়ি খোলার চেষ্টা করা হয়। ভিতরে তিনজন মহিলা ছিলেন। গাড়ির দরজা লক থাকায় খুলতে না পেরে কাচ ভাঙা হয়। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষ গায়ে হাত তোলা হয়।”



সিবিআই-এর চার্জশিট নিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ, তিলোত্তমার বাবা-মাকে কেন অপেক্ষা করতে হল, সেই তথ্য চার্জশিটে উল্লেখ করা নেই বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।

'সাদা, গাঢ়, চটচটে তরলের DNA পরীক্ষার রিপোর্ট কই?', আরজি কর কাণ্ডে নতুন করে উঠল একগুচ্ছ প্রশ্ন
ফাইল ছবি

চার্জ গঠনের পর আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত যা বলেছেন, তা বিস্ফোরক। সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে দাবি করেছেন যে, তিনি নির্দোষ, ডিপার্টমেন্ট তাঁকে চুপ করে থাকতে বলেছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সেই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তদন্ত নিয়েও। এই বক্তব্য শোনার পর এবার নতুন করে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম (WBJDF)-এর সদস্যরা।

প্রশ্ন ১: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ আছে, নিহতের এন্ডোসারভাইকাল ক্যানালে সাদা, গাঢ়, চটচটে তরলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই তরলের ডিএন‌এ পরীক্ষা হয়েছে কি? হলে রিপোর্ট কোথায়?

প্রশ্ন ২: চার্জশিটে বলা হয়েছে, ডিএন‌এ (DNA) পরীক্ষায় তিলোত্তমার শরীরের উপরিভাগে ধৃত ব্যক্তির লালারস থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রশ্ন হল, লালারসের ডিএন‌এ পরীক্ষার কতা উল্লেখ থাকলে সাদা, গাঢ় তরলের ডিএন‌এ পরীক্ষার উল্লেখ নেই কেন?

নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, কালী পূজার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। রাত ন'টা নাগাদ জোরপূর্বক তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়র। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশী, বাবা-মা ছুটে এলে পালিয়ে যান ওই সিভিক ভলেন্টিয়র।



কালীপুজোর রাতে একাই ছিলাম, তখনই ও...', সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত অভিযোগের পরও অধরা অভিযুক্ত। নির্যাতিতার দাবি, অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুরে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মালদহ জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ নির্যাতিতা ওই মহিলা।

নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, কালী পূজার রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। রাত ন’টা নাগাদ জোরপূর্বক তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়র। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশী, বাবা-মা ছুটে এলে পালিয়ে যান ওই সিভিক ভলেন্টিয়র।

পরের দিন থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে নির্যাতিতাকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। শেষমেশ অভিযোগ নিলেও অভিযুক্ত ওই সিভিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। এমনই দাবি নির্যাতিতার। এই ঘটনায় হবিবপুর থানায় একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধর এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হবিবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ওই নির্যাতিতা সোমবার মালদহ পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়রকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।



রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়া নবগ্রাম ঝিল রোডের পাশেই বাড়ি সিদ্ধার্থ অধিকারীর। সিদ্ধার্থ বাবুর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাতে কালীপুজোর বিসর্জনের একটি শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, হঠাৎই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি, সঙ্গে বিকট শব্দ।

কালীপুজোর বিসর্জনের মাঝে বীভৎস আওয়াজ, চুরচুর করে ভেঙে পড়ল জানালার কাচ, ত্রস্ত বাসিন্দারা
ভেঙে গিয়েছে কাচ

কালীপূজায় বাজি ফাটানো বরাবরের রীতি। বিসর্জনেও থাকে সেই বাজির রমরমা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে নরেন্দ্রপুরে কালী বিসর্জনের সময় যে ঘটনা ঘটল, তাতে ভয়ে কাঁপছে এলাকার বাসিন্দারা। ঘড়িতে তখন রাত ১০টা ৫০মিনিট। বাড়িতে নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন সবাই। আচমকা বীভৎস শব্দ। কেঁপে ওঠেন বাড়ির বাসিন্দারা। বাইরে বেরিয়ে দেখেন, শব্দের ধাক্কায় ভেঙে পড়ছে জানালার কাচ।

এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের অধিকারী পরিবার। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি, কোনও সাধারণ বাজি নয়, বোমা ফাটানো হয়েছে, নাহলে এই ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে।

রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়া নবগ্রাম ঝিল রোডের পাশেই বাড়ি সিদ্ধার্থ অধিকারীর। সিদ্ধার্থ বাবুর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাতে কালীপুজোর বিসর্জনের একটি শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, হঠাৎই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি, সঙ্গে বিকট শব্দ। মঙ্গলবার সকালেও দেখা যায় কাচের টুকরো ছড়িয়ে আছে বারান্দা ও ঠাকুর ঘরে। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার সুতুলি। রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অধিকারী পরিবার।



গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, লক্ষ্মীপুজোর দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই কারণে মায়ের সঙ্গে তারাপীঠ চলে যান ওই গৃহবধূ। সেই মনোমালিন্যের সমাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন গৃহবধুর স্বামীর তিন সহকর্মী।


লক্ষ্মীপুজোর দিন স্বামীর সঙ্গে মনোমানিল্য হয়েছিল, তা মেটাতে গিয়েই সহকর্মীর স্ত্রীকে 'গণধর্ষণ' তিন যুবকের
সহকর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

 স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর মনোমালিন্য। আর সে সমস্যা সমধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বামীরই তিন সহকর্মী। সেই আশ্বাসে তাঁদের কাছে গিয়েছিলেন। এবার তারাপীঠে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্বামীর তিন সহকর্মী বন্ধুর বিরুদ্ধে। এমনকি ধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে নির্যাতিতা গৃহবধূর দাবি। ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ। সোমবার রাতে তারাপীঠ থানায় ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ।

গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, লক্ষ্মীপুজোর দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই কারণে মায়ের সঙ্গে তারাপীঠ চলে যান ওই গৃহবধূ। সেই মনোমালিন্যের সমাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন গৃহবধুর স্বামীর তিন সহকর্মী। সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বুধবার তারাপীঠ এলাকার একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ওই তিনজন যুবক বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার আরও দাবি, গণধর্ষণের ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্তরা। মুখ বন্ধ রাখতে সেই ভিডিয়ো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রথমে মল্লারপুর থানায় মৌখিক ভাবে ঘটনাটি জানান গৃহবধুর স্বামী। কিন্তু ঘটনাস্থল তারাপীঠ হওয়ায় মল্লারপুর থানা থেকে তারাপীঠ থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর সোমবার রাতে তারাপীঠ থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ।





মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় এই মামলার শুনানি রয়েছে। আর কয়েকদিন পরই মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। তার আগে এই মামলায় শীর্ষ আদালত কী বলে, কোন দিকে গুরুত্ব দেয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে সব মহল।

সুপ্রিম শুনানিতে আজ প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে

আজ ফের আরজি কর মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে হবে শুনানি। আগের শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার কথা সেই সব উত্তর। এরই মধ্যে আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে। তাই এদিনের শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইনে নিয়োগ হয়, মোট কত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে রাজ্যে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়, এই সব প্রশ্নের উত্তর হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় এই মামলার শুনানি রয়েছে। আর কয়েকদিন পরই মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। তার আগে এই মামলায় শীর্ষ আদালত কী বলে, কোন দিকে গুরুত্ব দেয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে সব মহল।



আদালত থেকে বেরনোর পর প্রিজন ভ্যানে বসে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে বলতে শোনা যায়, সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। তিনি ধর্ষণ খুন করেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। সিভিক ভলান্টিয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।




যাঁরা এতদিন CBIপন্থী ছিলেন, তাঁরা কীভাবে এখন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র-পন্থী হলেন? প্রশ্ন কুণালের
কুণাল ঘোষের ফেসবুক বার্তা

সোমবার শিয়ালদহ আদালত আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়েছে। আদালত থেকে বেরনোর পর প্রিজন ভ্যানে বসে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে বলতে শোনা যায়, সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। তিনি ধর্ষণ খুন করেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। সিভিক ভলান্টিয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এত বড় গভীর চক্রান্ত করতে সময় লাগতে পারে। আশা করব সিবিআই সমাধান করবে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র আজ মুখ খুলেছে। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি এই ঘটনায় একা ও জড়িত নেই। সিবিআইকে সত্য সামনে আনতে হবেই।” কিন্তু তা বিঁধেই নিজের সামাজিক মাধ্য়মে পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখলেন, “যাঁরা বলছিলেন কলকাতা পুলিশ নয়, CBI চাই; হাইকোর্ট CBI দিতে যাঁরা তুমুল লম্ফঝম্ফ করে আগুনঝরা বিবৃতি দিয়েছিলেন;এখন তাঁরাই সেই CBIএর বদলে সঞ্জয় রাইপন্থী হয়ে উঠলেন কোন্ উদ্দেশ্যে? আপনারা CBI চেয়েছিলেন, CBI যাবতীয় তদন্ত করে দেখেছে ধর্ষণ ও খুনে কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তারি সঠিক ছিল। আপনারা বহু পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট CBI তদন্ত মনিটর করছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “তারপরেও আপনারা CBI তদন্তে আস্থা না রেখে নিজেদের ইচ্ছেমত কল্পকাহিনি দিয়ে বাজার গরম করছেন। তাহলে CBI তদন্ত চেয়েছিলেন কেন? কারা আবার বলছেন, বিপুল তহবিলের দখল রাখতে জটিলতা, প্রতিবাদ, আন্দোলনের জলঘোলা চালাতে হবে। ঠিক?? জানি না। বিচার, শাস্তি আমরা সবাই চাই। কিন্তু CBI ডেকে এনে তারপর তাদের তদন্তও আপনাদের না মানার কারণ কী?”


প্রসঙ্গত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু প্রথম থেকেই আন্দোলনকারী তথা চিকিৎসকদের তরফে দাবি উঠছিল, এই ঘটনায় একজন নয়, একাধিক জন জড়িত। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকেই চার্জশিট অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়। চার্জশিট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের দাবি ও আন্দোলনকে কটাক্ষ করছিলেন কুণাল ঘোষ। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ধৃতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে সিবিআই ধর্ষণ ও খুনের চার্জ গঠন করে। কিন্তু ধৃত দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর এর পিছনেও ষড়যন্ত্র দেখছেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই কটাক্ষ করেন কুণাল

জন বার্লা আরও বলেছেন, "সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন আমার বাড়িতে, আমি বলেছি এই লিডারশিপ থাকলে কাজ করা যাবে না। সব ভেঙে দিয়েছে।" তবে দল বদলের কোনও চিন্তা তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন।

বোন আগেই যোগ দিয়েছেন, উপনির্বাচনের আগে কি জন বার্লা তৃণমূলে? রাজনৈতিক জল্পনা
জন বার্লা (ফাইল ছবি)

 মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের মুখে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা। তৃণমূলের যোগ দিতে পারেন জন বার্লা। ডুয়ার্সের রাজনৈতিক মহলে এমনই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মাদারিহাট উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন-বার্লাকে।

এই পরিস্থিতিতে জন বার্লার ডুয়ার্সের বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে হঠাৎই উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জন বার্লা কি তৃণমূলে যেতে চলেছেন?

এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আগামী ১৩ নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের দুটো গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সাকোয়াঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েত।

জন বার্লা নাম না করে মনোজ টিজ্ঞার উদ্দেশে বলেন, “এখানে ওয়ান আর্মি হিসাবে সব কিছু চলছে। কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলে। মাদারিহাটের উপ-নির্বাচনে আমার দুদিকে দুই ভাই, একদিকে গোর্খা একদিকে আদিবাসী। আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসী রাগ করবে।”

জন বার্লার বক্তব্য, “‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসাবে কেউ যদি জেলা চালায় তাহলে কি চলবে? তাই ওয়ান ম্যান এর জন্য কোনও লিডারশিপ নামছে না এইভাবে তো চলবে না, আপনারা বুঝবেন কাকে বলছি, এখন আমাকে ছাড়া জিতলে ভালো, চা বাগানের মানুষকে নিয়ে না চললে কেন বিশ্বাস করবে?”

জন বার্লা আরও বলেছেন, “সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন আমার বাড়িতে, আমি বলেছি এই লিডারশিপ থাকলে কাজ করা যাবে না। সব ভেঙে দিয়েছে।” তবে দল বদলের কোনও চিন্তা তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জন বার্লার বোন মেরিনা কুজু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন মেরিনা। ভাল ব্যবধানেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। তারপরই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।

গাছকে ফোঁটা দিয়ে আপন করে নিল ছাত্রীরা।


ভাই ফোটার দিনে এমনই এক দৃশ্য ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়। রবিবার সকালে কাকদ্বীপের বটতলায় নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা ম্যানগ্রোভ ও আরও অন্যান্য গাছকে ছাত্রীরা ফোঁটা দিয়ে পালন করলো ভাই ফোটার এই দিন। উপস্থিত আরও ছাত্রীরা শঙ্খ বাজিয়ে আজকের দিনের এই উৎসবটিকে আরও শুভ করে তোলেন।
এক ছাত্রী জানায় "দাদারা বোনদের বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করে। ঠিক তেমনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে এবং প্রতিনিয়ত গাছ আমাদের কে অক্সিজেন প্রদান করে। তাই গাছকেও আমাদের রক্ষা করা উচিত। এদিন গাছকে ফোঁটা দিয়ে সমাজের কাছে আমরা সেই বার্তাই পৌঁছে দিলাম।"


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

গঙ্গাসাগরের তপোবন এলাকার নদীবাঁধ পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী

রবিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন তপোবন এলাকায় বেহাল নদীবাঁধ পরিদর্শন করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা,সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সজল কান্তি বারিক সহ অন্যান্যরা


এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার জনগণ, এদিন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ওই বেহাল নদী বাঁধের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন যাতে এই এলাকার বেহাল নদী বাঁধের দ্রুত পাকাপোক্ত ব্যবস্থা হয়,


স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

সেটা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে ক্লিনসুইপ আটকাতে মরিয়া ভারত। বোলাররা দুর্দান্ত জায়গায়ও রেখেছেন। ব্যাটাররা অবশ্য ফের হতাশ করছেন। নতুন দিন কেমন যাবে, তার উপরও ম্যাচ এবং সিরিজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এর মধ্যেই মজার ঘটনা।

একাদশে নেই, ওয়াংখেড়েতে উইকেট নিলেন অক্ষর প্যাটেলও!
Image Credit source: ScreenGrab


অক্ষর প্যাটেল খেলছেন না। কিন্তু উইকেট নিলেন! এটা কী ভাবে হয়? হয়নি। তবে মজা করে বলাই যায়। ওয়াংখেড়েতে চলছে ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্ট। সিরিজে ২-০ এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে। তাদের লক্ষ্য ভারতকে ক্লিনসুইপ করা। ২ ম্যাচের অধিক টেস্ট সিরিজে আগে কোনও দেশই এমনটা পারেনি। এমনকি ২ ম্যাচের সিরিজেও ঘরের মাঠে ভারত মাত্র একবারই ক্লিনসুইপ হয়েছিল। সেটা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে ক্লিনসুইপ আটকাতে মরিয়া ভারত। বোলাররা দুর্দান্ত জায়গায়ও রেখেছেন। ব্যাটাররা অবশ্য ফের হতাশ করছেন। নতুন দিন কেমন যাবে, তার উপরও ম্যাচ এবং সিরিজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। এর মধ্যেই মজার ঘটনা।


মুম্বইতে প্রচণ্ড গরম। তার উপর ভারতকে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হয়েছে। পেসারদের ক্ষেত্রে কাজটা আরও কঠিন। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও তাই। বোলিং না হয় শর্ট রান আপ। ফিল্ডিংয়ে একশো শতাংশ দিতে হবে। ওয়াশিংটন সুন্দর তামিলনাডুর প্লেয়ার। চেন্নাইয়ের প্রচণ্ড গরমে খেলা তাঁর কাছে নতুন নয়। সেই ওয়াশিংটন সুন্দরকেও গরমে কাহিল দেখিয়েছে। বল হাতে গত ম্যাচের মতোই অনবদ্য পারফরম্যান্স।
দিল্লির বায়ু দূষণ যদি উদ্বেগ বাড়ায়, খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম।

দীপাবলির 'উপহার', বায়ু দূষণে দিল্লিকে কড়া টক্কর কলকাতার
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতার বায়ুদূষণ

এ বলে আমায় দেখ। আর ও বলে আমায় দেখ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এ লড়াইয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। বায়ু দূষণে জোর টক্কর পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির। কিছু এলাকায় দিল্লিকেও টেক্কা দিল কলকাতা। দীপাবলির পর বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণে কলকাতা ও দিল্লির মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে।

দীপাবলিতে বায়ু দূষণ নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। বাস্তবে সেই ছবিই ধরা পড়ল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যথেষ্ট উদ্বেগের ছিল। আনন্দ বিহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায়ও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। রোহিণীতে যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৮৪ মাইক্রোগ্রাম। আর লোদী রোড এলাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম।

দিল্লির বায়ু দূষণ যদি উদ্বেগ বাড়ায়, খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিধাননগর ও যাদবপুরেও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। হাওড়ার ঘুষুড়িও শুক্রবার রাতে ৫০০-র গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে। সেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম।

সিবিআই-এর চার্জশিটেও নাম ছিল শমীকের। চার্জশিটের ২১ নম্বর পাতায় শমীক চৌধুরীর উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, পুর নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি পেয়েছিলেন।


পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা ED-CBI-এর! হঠাৎ মৃত্যু অন্যতম সাক্ষীর
অয়ন শীল (ফাইল ছবি)


পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম প্রধান সাক্ষীর মৃত্যু। মৃত্যু হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ প্রমোটার শমীক চৌধুরীর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে শমীকের। শমীক অয়ন শীলের ব্যবসার অংশীদারও ছিলেন। ইডি ও সিবিআই-এর কাছে শমীক ছিলেন অন্যতম প্রধান সাক্ষী।

সিবিআই-এর চার্জশিটেও নাম ছিল শমীকের। চার্জশিটের ২১ নম্বর পাতায় শমীক চৌধুরীর উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, পুর নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের দুই এজেন্টের মাধ্যমে বেশ কয়েক জন চাকরি পেয়েছিলেন। অয়নের বন্ধু এবং এজেন্ট ছিলেন শমীক। ১০-১২ জনকে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিয়েছেন। শমীক ‘মিডলম্যান’ হিসাবেও কাজ করতেন বলে

গত বছরের ২০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন। প্রসঙ্গত, অয়নের গ্রেফতারের পর থেকেই ‘গায়েব’ হয়ে যান শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা। ‘এবিএস ইনফ্রাজোন’ নামে অয়নের একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম ছিল শমীকের। ইডি-র দাবি, চাকরির নামে টাকা তোলার যে অভিযোগ উঠেছে অয়নের বিরুদ্ধে, এই কারবারে তাঁর সঙ্গী ছিলেন শমীক।

কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফল ভোগ করছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তাদের এই রাজনীতির শিকার হচ্ছেন গরিব মানুষ, যুব সমাজ, কৃষক ও মহিলারা। এই প্রতিশ্রুতির সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না যেমন, তেমনই যেসব প্রকল্প ছিল, সেগুলিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।


নির্বাচনের সময় নানা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতিগুলি কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব? এই নিয়েই এবার কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিতে যেগুলো আর্থিকভাবে সম্ভব। তারপরই শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে যে অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ। কিন্তু সেগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা কঠিন কিংবা অসম্ভব। একের পর এক প্রচারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও তারা জানে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।” এখন কংগ্রেস মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে বলে আক্রমণ করেন মোদী।


প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “যেসব রাজ্যে এখন কংগ্রেস রয়েছে, সেগুলো দেখুন। হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। সেখানে সেখানকার উন্নয়ন ও আর্থিক স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে।”




 সম্মানীত হচ্ছেন সাব ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল কুমার নস্কর, যিনি নন্দকুমার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, SOC সেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, সাব ইন্সপেক্টর সৌরভ মিত্র, সাব ইন্সপেক্টর দেবনাথ রাজ , যিনি বর্তমানে অ্য়ান্টি ক্রাইম সেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, 


 অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর শান্তনু নন্দন রাউত, বর্তমানে দিঘা থানায় কর্মরত, SOG সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর কিংশুক পাইন ও কনস্টেবল অনিমেশ গিরি।

বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণে মূল চক্রীকে পাকড়াও, কেন্দ্র সম্মনীত দিঘার ৬ পুলিশ কর্তা-কর্মীকে
সম্মানীত পুলিশ কর্তা-কর্মীরা

 বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই জঙ্গিকে গ্রেফতারে সাফল্যের পালক জেলা পুলিশের মুকুটে। ‘কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী দক্ষতা পুরস্কার ২০২৪’ পেল ৬ জন পুলিশ কর্মী।

২০২৪ সালের ১১ই এপ্রিল মধ্যরাতে NIA এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযানে সৈকত শহর নিউ দিঘা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বেঙ্গালুরু শহরের রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে। দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন ৬ পুলিশ আধিকারিক। আর তারই স্বীকৃতি হিসাবে দেওয়া হল ‘কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী দক্ষতা পদক ২০২৪’।

সম্মানীত হচ্ছেন সাব ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল কুমার নস্কর, যিনি নন্দকুমার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, SOC সেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, সাব ইন্সপেক্টর সৌরভ মিত্র, সাব ইন্সপেক্টর দেবনাথ রাজ , যিনি বর্তমানে অ্য়ান্টি ক্রাইম সেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর শান্তনু নন্দন রাউত, বর্তমানে দিঘা থানায় কর্মরত, SOG সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর কিংশুক পাইন ও কনস্টেবল অনিমেশ গিরি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্র সরকারের এই স্বীকৃতিতে আমরা গর্বিত। সূত্র মারফত খবর পাওয়ার পর পুরো অপারেশন করা হয়েছে। আর পুরো অপারেশনের সামনে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এই দক্ষ অফিসার ও কর্মীরা।”




 ট্রেনে নোংরা শৌচাগার, যাত্রীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রেলকে

যাত্রী দেখেন, ট্রেনের শৌচাগারে জল নেই। কল কাজ করছে না। এসিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। গোটা কামরাই অপরিচ্ছন্ন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে অভিযোগ করেন। সেই মতো এসে ট্রেনের শৌচাগারের কল সারাইও করেন রেলকর্মীরা। কিন্তু এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায়, বিরক্ত হয়েই গন্তব্যে পৌঁছে রেলের অফিসে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি।

দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যাই হল অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার। দীর্ঘক্ষণ শৌচাগারে না গিয়ে থাকা যায় না। এদিকে, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগারে যাওয়াও দায়! ট্রেনে এমনই খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনের তরফে ভারতীয় রেলওয়ে-কে জরিমানা করা হল। যাত্রীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হল শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার জন্য।

জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে পরিবার-কে নিয়ে তিরুপতি থেকে দুভাদা ভ্রমণ করেছিলেন বছর পঞ্চান্নের ভি মূর্তি। প্রথমে তাদের বি-৭ কোচে বার্থ দেওয়া হয়। ট্রেন ছাড়ার পর যাত্রীর ফোনে মেসেজ আসে যে তাঁদের সিট বদল করে ৩ই-তে পাঠানো হচ্ছে।

৩-এসির ওই কামরায় যাওয়ার পরই যাত্রী দেখেন, ট্রেনের শৌচাগারে জল নেই। কল কাজ করছে না। এসিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। গোটা কামরাই অপরিচ্ছন্ন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে অভিযোগ করেন। সেই মতো এসে ট্রেনের শৌচাগারের কল সারাইও করেন রেলকর্মীরা। কিন্তু এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায়, বিরক্ত হয়েই গন্তব্যে পৌঁছে রেলের অফিসে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি।

সেখানে রেল আধিকারিকরা তাঁর অভিযোগ শোনা তো দূর, উল্টে বলেন যে মিথ্যা অভিযোগ জানিয়ে রেলওয়ের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন অভিযোগকারী। এই কথা শুনেই ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যক্তি।

বিশাখাপত্তনমের ডিস্ট্রিক কনজিউমার ডিসপুটস রি-অ্যাড্রেসাল কমিশনের বেঞ্চের তরফে সম্প্রতি ওই মামলার শুনানি করা হয়। সেখানে যাত্রীর অভিযোগ ও রেলের যুক্তি শোনার পর দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়েকেই জরিমানা করা হয়। ট্রেনে প্রয়োজনীয় সাধারণ পরিষেবাটুকু না থাকার জন্য যাত্রীকে যে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তার জন্য ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ৫০০০ টাকাও দিতে বলা হয়েছে।

কমিশনের তরফে বলা হয়, ব্যবহার উপযুক্ত শৌচাগার, সচল এসির মতো সাধারণ পরিষেবা দিতে বাধ্য রেলওয়ে, কারণ টিকিটের মূল্যের মধ্যে এই সমস্ত পরিষেবার জন্য খরচ ধরা থাকে। রেলওয়ের তরফে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনের বাথরুমে জল আসছিল না। অভিযোগ জানানোর পরে কর্মীরা গিয়ে তা সারাই করে। এই সাধারণ জিনিসগুলি পরীক্ষা না করেই কীভাবে ট্রেন চলছিল, তা নিয়েও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় রেলওয়েকে।

বিহারের উপনির্বাচন দিয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছে জন সূরজ পার্টি। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর লক্ষ্য একটাই, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়েই পিকে জানান, ভোটকুশলী হিসাবে তিনি কত টাকা নিতেন।


শুধু একটা ভোটে জেতাতেই কত টাকা নেন প্রশান্ত কিশোর?
প্রশান্ত কিশোর।



আর ভোটকুশলী নন, এবার পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের ভূমিকায় তিনি। আগামী বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবে প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ। তবে কি আর ভোট কুশলীর ভূমিকায় ফিরবেন না পিকে? কতই বা ফি নিতেন ভোটের ময়দানে রাজনৈতিক দলের দল নিশ্চিত করার স্ট্রাটেজি তৈরি করতে? প্রশান্ত কিশোর নিজেই জানালেন সে সব কথা।

বিহারের উপনির্বাচন দিয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছে জন সূরজ পার্টি। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর লক্ষ্য একটাই, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়েই পিকে জানান, ভোটকুশলী হিসাবে তিনি ১০০ কোটি টাকা নিতেন।

প্রশান্ত কিশোর বলেন, “বহু মানুষই তাঁকে প্রশ্ন করেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য টাকা জোগাচ্ছে কে? বিভিন্ন রাজ্যের ১০টি সরকার আমার বানানো পরিকল্পনাতেই চলছে। আপনারা কি ভাবেন যে আমার কাছে তাঁবু-মঞ্চ তৈরি করার মতো টাকা নেই? আমায় ওতটাই দুর্বল ভাবেন? বিহারে আমার মতো ফি কেউ শোনেনি, দেখেনি। আমি যদি কাউকে একটা নির্বাচনের জন্যও পরামর্শ দিই, তার ফি ১০০ কোটি বা তার বেশি হয়। এইরকম একটা ভোট পরামর্শ দিয়েই আমি আগামী দুই বছর আমার দলের প্রচারের জন্য টাকা জোগাড় করতে পারি।”

প্রসঙ্গত, একাধিক রাজ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটকুশলীর কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ডিএমকে-র হয়ে ভোটকুশলীর কাজ করেছেন। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী ছিলেন পিকে। প্রতিশ্রুতি মতোই তিনি তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন।