টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন, "সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।" সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, "আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।"
তিলোত্তমার হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত? সন্দীপ ঘোষকে কাঠগড়ায় রেখে আদালতে কী জানাল CBI?
ধৃতদের জেল হেফাজত
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তার তদন্ত এখনও চলছে। তবে তাঁরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারক অভিজিৎ মণ্ডলের এজলাসে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, ” আমরা আরও কিছু ডিজিট্যাল তথ্য সংগ্রহ করতে চাই।” ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবদেন জানান তিনি।
সিবিআই-এর তরফে ধৃত দু’জনের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই-এর বক্তব্য, ধৃত দু’জনই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ধৃতরা মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কিনা তার তদন্ত চলছে। কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্যভাবে নারকো টেস্টের জন্য রাজি হন না সন্দীপ ঘোষ, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্যেও রাজি হননি অভিজিৎ মণ্ডল।
টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন, “সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।”
সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, “সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” সিবিআই আদালতে জানায়, এখন দেখা হচ্ছে যে ঘটনার সঙ্গে অর্থাৎ মূল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তাঁদের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours