ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণগঞ্জে। এলাকাটি হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপকূলে। এই উপকূলের মাটির বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। প্রতি কোটালে একাধিক এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই নদী বাঁধের সংস্কারের কাজ চলছিল।
প্রতি বছর বলে এত কোটির কাজ হয়েছে, অত কোটির কাজ হয়েছে জানি না টাকা কোথায় যায়', এবার মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী
বঙ্কিমকে ঘিরলেন মহিলারা
বেহাল অবস্থা নদী বাঁধের। সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ দফতর নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করছে। তবে ভূমি ধসের জেরে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদী বক্ষে চলে গিয়েছে। এবার বাঁধ মেরামতি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিক, নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস,ওসি বিভাস সরকার সহ জনপ্রতিনিধিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণগঞ্জে। এলাকাটি হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপকূলে। এই উপকূলের মাটির বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। প্রতি কোটালে একাধিক এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই নদী বাঁধের সংস্কারের কাজ চলছিল। এই মেরামতির মধ্যেই গত মঙ্গলবার বিকেলে চালক সহ বুলডোজার নদীতে তলিয়ে যায়। এরপর জন মানসে রোষ আরও বাড়তে থাকে। এক মহিলা বলেন, “‘বিঘে-বিঘে জমি জলের তলায় চলে যাচ্ছে। কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।” আরও এক মহিলা বলেন, “আমাদের জায়গা জমি কিছুই নেই। থাকার মধ্যে বসত বাড়িটুকু রয়েছে। সেটাও যদি চলে যায় যাব কোথায়? এখন মন্ত্রী এসেছেন দেখতে। ওঁনাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে এরপর কী করবেন। উত্তর দিচ্ছেন না। প্রবল জোয়ার। শ্রমিকরাও পারছে না বাঁধ বাঁধতে। একটু বাঁধছে। একটু করে ধস নেমে যাচ্ছে। আমরা চাইছি বোল্ডার ফেলে নদী বাঁধ হোক।” গ্রামবাসী মহিলা বলেন, “প্রতি বছর আমরা বলি আপনারা ভাল করে বাঁধ দিন। প্রয়োজনে আমরা জমি দেব। প্রতিবার বলে এত কোটি টাকার কাজ হচ্ছে, অত কোটি টাকার কাজ হচ্ছে, জানি না টাকা কোথায় যায়।”
এরপর আজ বেহাল বাঁধ মেরামতি পরিদর্শনে এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বঙ্কিম। যদিও তাঁর বক্তব্য, “নদী বাঁধের কাজ চলছিল। সেই সময় জেসিবি মেশিন নদীতে চলে যায়। তবে যে চালাচ্ছিলেন তিনি কোনও ভাবে প্রাণে বেঁচে যান। আর নদী বাঁধ ভেঙেছে বিষয়টা জেনেই আমি চলে এসেছি। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এটা। কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে আসেননি। আমিই একমাত্র এসেছি। সেই কারণে এলাকার মানুষ নিজেদের যাবতীয় ক্ষোভ আমাদের উপর উগরে দিয়েছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours