কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ আমি প্রতিবাদ করি। অসম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে কোন আপোশ করব না। আমাকে খুন করার চক্রান্ত চলছে। ওরা আমাকে খুন করতে পারে।"
'আমাকে খুন করতে পারে', বিস্ফোরক কল্যাণ, খোলা চ্যালেঞ্জ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মেজাজহারা কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক চলাকালীন তর্কাতর্কির মাঝে তিনি মেজাজ হারিয়ে টেবিলে আছড়ে মেরেছিলেন কাচের জলের বোতল। ওই কাঁচে তাঁর হাত কেটে যায়। এমন আচরণের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁকে কমিটি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। এবার জেপিসি বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ। আর মুখ খুলতেই ফাটালেন বোমা।
গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর সংসদের জেপিসি বৈঠকেই ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছিল। বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তর্ক বাধে তৃণমূল সাংসদের। বিশেষ করে, বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় মারপিট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ছবিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলে পড়ে রয়েছে ভাঙা কাচের বোতল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঙুলে ব্যান্ডেজ। এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসির কাঁধে হাত রেখে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। সেইদিন কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমাকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ আমি প্রতিবাদ করি। অসম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে কোন আপোশ করব না। আমাকে খুন করার চক্রান্ত চলছে। ওরা আমাকে খুন করতে পারে।”
অভিযোগ উঠেছিল জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে বোতল ছোড়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই সৌজন্যের অভাবের অভিযোগ আনলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমি নিজে আগেরদিন রাতে চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের জন্মদিন পালন করেছি। আমার হাতে ছ’টা সেলাই পড়েছে। ন্যূনতম সৌজন্য নেই, বিরোধীরা ছাড়া জেপিসির অন্য সদস্যরা আমায় জিজ্ঞেস করেনি যে কী হয়েছে। কমিটি রুম থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে পড়তে গিয়েছে। শতাব্দী সেই রক্তের ফোঁটা দেখে আমার কাছে পৌঁছেছে।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার। উকিল ছিল নাকি? ওকে চ্যালেঞ্জ করছি। কলেজিয়ামে দুই জন বন্ধুকে ধরে জাজ হয়েছে। একদিন লিগাল পয়েন্টে একটা মামলা লড়ে দেখাক।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours