২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করা হলেও, সুশান্তের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। নাম জড়িয়ে যায় প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের।
সুশান্ত মামলায় অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রিয়া, 'সুপ্রিম' ধমক সিবিআই-কে
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই, তা খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আজ, সুপ্রিম কোর্টও বম্বে হাইকোর্টের রায়কেই বজায় রাখল। একইসঙ্গে সিবিআই-কে কড়া ধমক দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করা হলেও, সুশান্তের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। নাম জড়িয়ে যায় প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের। মাদক মামলাতেও গ্রেফতার করা হয় রিয়াকে। সেই মামলা থেকে স্বস্তি পেলেও, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তদন্তে ক্লিনচিট পাননি অভিনেত্রী। রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি ছিল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিস খারিজের নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও মহারাষ্ট্র সরকার। আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিআর গভাই ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের তরফে সিবিআই, মহারাষ্ট্র সরকার ও ইমিগ্রেশন ব্যুরোর দাখিল করা পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়।
সিবিআইকে কার্যত ভৎর্সনা করে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, লুকআউট নোটিস সম্পূর্ণ ‘ফালতু’। শুধুমাত্র এক অভিযুক্ত হাই প্রোফাইল বলেই এই নোটিস দাখিল করা হয়েছিল। বিচারপতি বিআর গভাই কড়া সুরে বলেন, “আপনাদের সতর্ক করছি। এই ধরনের ফালতু পিটিশন দাখিল করছেন, শুধুমাত্র অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হাই প্রোফাইল বলে। জরিমানা করে এই পিটিশন খারিজ হবে। দুইজনেরই সমাজে অবস্থান রয়েছে।”
এর আগে বম্বে হাইকোর্টও রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিস খারিজ করে দিয়েছিল। সেই সময় তদন্তকারী সংস্থা জানাতে পারেনি যে কেন তারা বারবার রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করছে। শুধুমাত্র এফআইআরে নাম উল্লেখ থাকায় সাড়ে তিন বছর ধরে লুকআউট নোটিস জারির কারণ হতে পারে না বলেই জানিয়েছিল আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালেই সুশান্তের মৃত্যুর পর সিবিআই তদন্ত চলায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই সৌভিক, বাবা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ও মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে। এর জেরে এতদিন দেশ ছেড়ে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours