প্রসঙ্গত, বাম আমলের শেষ লগ্নে সিঙ্গুর আন্দোলন বাংলার পাশাপাশি ঝড় তুলেছিল গোটা রাজ্যে। চলেছিল দীর্ঘ আন্দোলন, হয়েছিল অনশন। জননেত্রী হিসাবে উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ইতি পড়ে বাম শাসনে।

 ‘হাতে-পায়ে ধরে টাটাদের ফেরাব’, সিঙ্গুরে গিয়ে ‘ক্ষমা’ চাইলেন শুভেন্দু
সিঙ্গুরে শোক মিছিল শুভেন্দুর

শিল্পকে অস্ত্র করে সিঙ্গুরে পথে বিজেপি। রতন টাটার ছবি নিয়ে শোক মিছিল করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্যের শিল্প নীতির তুলোধনা করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে আমরা হাতে-পায়ে ধরে টাটা কোম্পানিকে ফেরাব। আজ বাঙালি হয়ে ওনার কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাইতে এসেছি।”


প্রসঙ্গত, এদিন সিঙ্গুরের গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে টাটা কারখানার এক নম্বর গেটের কাছে পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। ৬০০ মিটারের ওই পদযাত্রায় শুভেন্দুর সঙ্গে পা মেলান জেলার শীর্ষস্তরের অনেক পদ্ম নেতাও। তারপর করেন সভা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের হাতে দেখা গেল রতন টাটার ছবি। বিজেপির দাবি সিঙ্গুরে টাটা কারখানা তৈরি করতে আসার পিছনে প্রকৃত নায়ক ছিলেন রতন টাটা। সে কারণেই টাটাদের কারখানার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে শোক সভার আয়োজন।

প্রসঙ্গত, বাম আমলের শেষ লগ্নে সিঙ্গুর আন্দোলন বাংলার পাশাপাশি ঝড় তুলেছিল গোটা রাজ্যে। চলেছিল দীর্ঘ আন্দোলন, হয়েছিল অনশন। জননেত্রী হিসাবে উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ইতি পড়ে বাম শাসনে। মসনদে বসেন মমতা।প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর থেকে টাটারা চলে যাওয়ার পর রাজ্যে যে আর তেমন বড়সড় মাপের কোনও শিল্প আসেনি, সেই কথাও বার বার মনে করায় বিরোধীরা। যদিও টাটা বিদায়ের দায় নিতে নারাজ মমতা। সাম্প্রতিককালেই বলেছিলেন, ‘টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।’ যদিও শুভেন্দু এদিন বলেন, “এই জমির সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বুদ্ধবাবু মেরে তুলে দিলে এই সর্বনাশ হত না।” এদিন আবার তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমের বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “আসলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বুদ্ধবাবুর কথায় চলত না। জ্যোতি বাবুর কথা চলত। সিপিআইএম নির্মূল করতে হবে। আমরাই বিকল্প। আমরাই বেকারত্ব ঘুচিয়ে শিল্পায়নের জোয়ার আনব।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours