মহিলার অভিযোগ, মেয়েদের রাত দখলের রাত্রিবেলা এক যুবতী গিয়েছিলেন প্রতিবাদ মিছিলে। সেখান থেকে ফিরে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল একযুবক। আতঙ্কিত ওই যুবতী থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে। বাড়ির লোক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবতীর পাড়াতুতো কাকা।

তোকে রেপ করব', রাত দখল থেকে ফেরার পর যুবতীকে হুমকির অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় SUCI নেতাকে 'মারধর'
মহিলাকে হুমকি সোশ্যাল মিডিয়ায়

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলে বেরিয়েছিলেন এক যুবতী। অভিযোগ, তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল এক যুবক। এরপর থানায় প্রতিবাদীর হয়ে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে এসইউসিআই-এর এক নেতাকে ঠিক থানার বাইরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিনহাটা হাসপাতালে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিনহাটা শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশু ধর।

মহিলার অভিযোগ, মেয়েদের রাত দখলের রাত্রিবেলা এক যুবতী গিয়েছিলেন প্রতিবাদ মিছিলে। সেখান থেকে ফিরে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল একযুবক। আতঙ্কিত ওই যুবতী থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে। বাড়ির লোক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবতীর পাড়াতুতো কাকা। তিনি আজিজুল হক। যুবতীর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও তাকে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর তাঁর আধার কার্ডের জেরক্স চাওয়া হয়। যুবতী বলেন, “আমি একজন আন্টি ও আঙ্কেলকে নিয়ে থানায় যাই। থানার লোকজন আমার এফআইআর প্রথমে নিচ্ছিল না। অনেকভাবে বুঝিয়ে এফআইআর লিখল। অনেকভাবে পুলিশকে বুঝিয়ে এফআইআর হয়। তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর আমায় বলল আধার কার্ডের জেরক্স লাগবে। আমি বললাম এই মুহূর্তে রাত হয়ে গিয়েছে আমি একা যেতে পারব না। তাই আমি ফোনে আধার কার্ডের যে ছবি ছিল তাই দিলাম। তবে সেটা নিতেও রাজি হয়নি। বলল জেরক্সই লাগবে।” তখন আজিজুল বাবু বাইরে বের হতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিশু রায় বলেন, “মহিলাদের উপর কোনও অত্যাচার হলে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ব্যবস্থা নেবেন। দিনহাটা সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটে না। কেউ যদি পালিয়ে না যায় তাহলে এখান থেকে কোনও মেয়ে দিনহাটা থেকে হারিয়ে যায় না।”

এরপরেই তিনি কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে এসে দিনহাটা থানায় আসেন। এবং পরবর্তীতে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আজিজুল হক দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজিজুল বলেন, “আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ করতেই শাসক দল হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদী এক মেয়েকে শাসকদলের নেতা ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠায় ধর্ষণ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। আজ মেয়েটি এসেছিলেন জিডি করতে। আমিও যাই। থানা থেকে মেয়েটির আধার কার্ড জেরক্সের জন্য বলে। আমি বাইরে গেলে তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী মনোজ দে-র নেতৃত্বে আমায় মারধর করে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours