২০১০ সালে কলকাতা পুরনিগমের সদর দফতরে কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে চিফ ম্যানেজার পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময়ই ফিরহাদ হাকিম কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ওএসডি পদে নিয়ে আসেন।

অভিষেকের নাম করে দেদার টাকা তোলার অভিযোগ, কে এই ফিরহাদের OSD কালীচরণ?
ফিরহাদ হাকিম(বাঁদিকে), কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়(মাঝে), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(ডানদিকে)


কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি( অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি)-কে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল। ফিরহাদের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের এক কর্মী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে কালীচরণের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ দায়ের ঘিরে শাসকদলে চাপানউতোর বেড়েছে। ওএসডি-র পাশে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলছেন, এমন অভিযোগ তিনি শোনেননি। তারপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকত, তাঁকে জানানো যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যাঁকে ঘিরে শাসকদলের অন্দরে এই চাপানউতোর, জেনে নেওয়া যাক সেই কালীচরণের প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে পথচলা…


২০০৩ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় হয়ে ভূমি রাজস্ব দফতরে যোগ দিয়েছিলেন কালীচরণ। এরপর পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস পরীক্ষা দেন। রাজ্য থেকে প্রথম হন তিনি। ২০০৮ রাজ্য পুলিশে যোগ দেন তিনি। কিন্তু ডিএসপি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় শারীরিক এবং পারিবারিক কারণে তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন।

২০০৮ সালেই ফের ভূমি রাজস্ব দফতরে পুরনো পদে তিনি ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি ম্যানেজার পরীক্ষায় প্রথম হন। কলকাতা পুরনিগমের ৯ নম্বর বরো অফিসে সোশ্যাল সেক্টর বিভাগে যোগ দেন। ওই সময় ওই বরোর চেয়ারম্যান ছিলেন খোদ ফিরহাদ হাকিম। তখন থেকেই ফিরহাদ হাকিমের পছন্দের আধিকারিক হয়ে ওঠেন কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours