বাংলার বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েই বন্যা পরিস্থিতির জন্য DVC-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। DVC-কে দুষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দু'বার চিঠি করেছেন তিনি।

'DVC-র সমন্বয় কমিটির তো কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই', আরও একবার দুষলেন মমতা
বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার ডিভিসি-কেই নিশানা করলেন তিনি। বীরভূমের প্রশাসনিক সভার পর সাংবাদিক বৈঠকেও ম্যানমেড বন্যার তত্ত্বই খাঁড়া করলেন তিনি। অভিযোগ তুললেন, ২০ বছর ধরে ডিভিসি ড্রেজিং করে না।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিভিসি থেকে দুই কর্তা রেজিগনেশন দিয়ে দিয়েছেন। সবই তো নিয়ে গিয়েছে কলকাতা থেকে। বাকি কী রয়েছে। কলকাতায় একটা বিল্ডিং পড়ে থাকবে, আর কলকাতার কথা শুনবে না, আর বাংলায় জল ছাড়বে, লোক মারবে, মানুষ আগে নাকি, বিল্ডিংয়ের কাঠামো আগে। জল ছাড়ে তো জলশক্তি মন্ত্রক। আমার চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিল, ওখান থেকে পদত্যাগ করেছে। আমার পাওয়ার সেক্রেটারি ছিল, শান্তনু বোস, পদত্যাগ করেছে। চাই না অর্গানাইজেশন। ডিভিসি তো তৈরি হয়েছিল মানুষ বাঁচানোর জন্য। ডিভিসি-র সমন্বয় কমিটির তো কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই।”

প্রসঙ্গত, বাংলার বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে গিয়েই বন্যা পরিস্থিতির জন্য DVC-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। DVC-কে দুষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দু’বার চিঠি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে তরফে জানানো হয়েছে যে ডিভিসি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই জল ছেড়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে ডিভিসির যে কমিটি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাদের জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে।

তারপর পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয় চিঠি লেখেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতার দ্বিতীয়বার চিঠি দেওয়ার পরই DVC থেকে পদত্যাগ করেন বাংলার দুই কর্তা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours