ছাপোষা শাড়ি, চেহারাও অতি সাধারণ। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এদের মনের ভিতরে চলছে ভয়ঙ্কর এক ফন্দি। অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাদের ঠান্ডা পানীয় দিত তিন মহিলা। আর সেই পানীয় পান করার পর কিছুক্ষণেই নিস্তেজ হয়ে পড়ত।



দেখে বোঝার জো নেই, এই ৩ মহিলাই 'সিরিয়াল কিলার', কীভাবে হত্যা করত, জানলে হাত-পা বরফ হয়ে যাবে
এই তিন মহিলাই খুন করত।

অচেনা-অজানা মানুষদের সঙ্গে রাস্তাঘাটে গল্প করেন? তবে খুব সাবধান। এক মুহূর্তের ভুলেও শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন। রাস্তাতেই ফাঁদ পেতে বসে সিরিয়াল কিলার। তাও আবার একজন নয়, তিনজন। কীভাবে তারা হত্যালীলা চালাত জানেন? শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাবে।

ছাপোষা শাড়ি, চেহারাও অতি সাধারণ। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এদের মনের ভিতরে চলছে ভয়ঙ্কর এক ফন্দি। অচেনা মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাদের ঠান্ডা পানীয় দিত তিন মহিলা। আর সেই পানীয় পান করার পর কিছুক্ষণেই নিস্তেজ হয়ে পড়ত। অজ্ঞান নয়, মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়ত সবাই। আর তারপরই লুঠপাট চালাত তিন মহিলা। এরাই তেনালীর সিরিয়াল কিলার। তিন মহিলা মিলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন মহিলা সহ চারজনকে খুন করেছে এই সিরিয়াল কিলাররা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানীয়ে সায়ানাইড মিশিয়ে অচেনা মানুষদের দিত অভিযুক্তরা। তারা ওই পানীয় পান করার পরই কিছুক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। তাদের থেকে সোনাদানা, টাকাপয়সা লুঠ করত ওই তিন মহিলা। বৃহস্পতিবার অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ মুনাগাপ্পা রজনী, মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী ও গুলরা রামানাম্মাকে গ্রেফতার করে।




মাদিয়ালা ভেঙ্কটেশ্বরী নামক বছর বত্রিশের মহিলা বিগত চার বছর ধরে তেনালীতে কাজ করতেন। এরপরে কম্বোডিয়ায় যান। সেখানে সাইবার ক্রাইমে জড়িত ছিল। পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে সায়ানাইড উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কিছু জিনিস মিলেছে, যা অপরাধের প্রমাণ। যে ব্যক্তি সায়ানাইড সাপ্লাই করত, তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ফের একবার জলি জোসেফের স্মৃতি ফিরে এসেছে। কেরলে জলি জোসেফ নামক ওই মহিলা ১৪ বছর ধরে ৬ জনকে হত্যা করেছিল সায়ানাইড মেশানো খাবার খাইয়ে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours