আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৩৪ দিনে এসে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হওয়া খুব দরকার ছিল। কিন্তু হল না। কেন তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় সে প্রসঙ্গে বলেন, "এই আন্দোলন এখন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের। তাই আমরা মিটিংয়ের লাইভ টেলিকাস্টের দাবি করেছি।" যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলা সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”

চেয়ারটার প্রতি ভরসা রেখেই আমরা এসেছি', পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা
নবান্নের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা।


কলকাতা: আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাতের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও নবান্ন সভাঘরে ২ ঘণ্টার বেশি সময় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাক্ষাৎ হয়নি। কারণ, আন্দোলনকারী ডাক্তাররা চেয়েছিলেন বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং। তার অনুমতি নবান্ন দেয়নি। পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে বলেন। বারবার আন্দোলনকারীদের ‘ছোট ভাইবোন’ বলে সম্বোধন করে মমতা বলেন, “এরা এসেছিল বিচার পেতে নয়। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না।” যদিও মমতার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন না বলেই জানান আন্দোলনকারী ডাক্তাররা।

এদিন নবান্নচত্বরে দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “আমরা খুব বিনীতভাবে জানাতে চাই, ম্যাডাম আমরা চেয়ারের জন্য কোনও আলোচনা করতে আসিনি। আপনি ভাবলে ভুল ভেবেছেন। আমরা ন্যয় বিচারের দাবিতে এসেছিলাম। ৫টি দাবি নিয়ে সুষ্ঠু আলোচনার জন্য এসেছিলাম। উনি যে মন্তব্য করলেন তাতে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। আমরা এরকম কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। চেয়ারটার প্রতি ভরসা রেখেই আমরা এসেছি।”

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৩৪ দিনে এসে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হওয়া খুব দরকার ছিল। কিন্তু হল না। কেন তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় সে প্রসঙ্গে বলেন, “এই আন্দোলন এখন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের। তাই আমরা মিটিংয়ের লাইভ টেলিকাস্টের দাবি করেছি।” যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলা সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours