আন্তঃরাজ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগ, বসিরহাটকাণ্ডে নয়া মোড়
৬ মিনিটেই দশ লক্ষ…, বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন হার্দিক পান্ডিয়া!
হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, মমতার বার্তা সিদ্দিকুল্লাকে
সুস্বাস্থ্যের পঞ্চায়েত গড়ার উদ্যোগ নিল ঘোড়ামারা
অধ্যক্ষ বিমানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বিজেপি’, কেন বললেন শুভেন্দু?
সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে।
যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে।
তিলোত্তমার খুনের রাতে রক্ত ধুতে বাথরুমে স্নান করেন এক জুনিয়র ডাক্তার: সিবিআই সূত্র
প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এবার আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের এক জুনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা। ৯ অগস্ট তিলোত্তমার মৃত্যুর দিন ভোরে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ভেঙে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। নার্সকে বলেছিলেন গায়ে রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে এই তথ্য উঠে আসছে। ওই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজে আরজি করের নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সেমিনার রুম চত্বরেই ওই বাথরুম। সেখানে ভোরবেলা স্নান করতে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সূত্রের খবর, সহ চিকিৎসকদেরও তিনি জানিয়েছিলেন, জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। রক্তদাগ রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে।
যদিও সূত্রের দাবি, সেদিন জুনিয়র ডাক্তার বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডে এক জন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লাগে। প্রশ্ন উঠছে, পিআরবিসি দেওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটলে সেখানে কর্তব্যরত কোনও নার্স কি এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন? সিবিআই এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সূত্রের দাবি, সেই জিজ্ঞাসাবাদেই চাঞ্চল্যকর দু’টি তথ্য উঠে আসে। এক, ওই নার্স জানান, তিনি কখনও ওই জুনিয়র চিকিৎসককে আগে দেখেননি। দুই, এই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম জানতে চাইলে নাম বলতে চাননি।
সিবিআইয়ের কাছে যে বয়ান ওই নার্স দিয়েছেন, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেখানে নার্স জানিয়েছেন, রাত ৯টা নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ঢোকেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খুঁজছিলেন। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার জানান, পিআরবিসি খুঁজছেন। এক রোগীকে দেবেন। শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না। তাই ফ্রিজার থেকে বের করে এরপর সাড়ে ১০টা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পিআরবিসি চলে।
সূত্রের খবর, নার্স জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই সময়ের মধ্যে দু’বার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। জুনিয়র ডাক্তারের গ্লাভস ঠিকমতো পরা কি না তা নিয়ে নার্স জিজ্ঞাসা করলেন তিনি বলেন, পরেছেন। তবে তিনি স্নান করবেন, কারণ তাঁর গায়ে রক্তের দাগ লেগেছে। আড়াই হাত দূরে ছিলেন সেই নার্স। তদন্তকারীদের তিনি জানান, কোনও রক্তের দাগ তাঁর নজরে আসেনি। তবে ‘ট্রান্সফিউশন নোট’ দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার।
এরমধ্যে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে এসেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। সাড়ে ১০টার আগের ঘটনা। নার্স জানতে চেয়েছিলেন, কে পিআরবিসি চালাবেন? ওই জুনিয়র জানান, আগের জনই (যাকে নার্স আগে কোনওদিন দেখেননি) চালাবেন। আপাতত ওই জুনিয়র ডাক্তারকে খুঁজছে সিবিআই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours