কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, বিজেপির শাসনকালে, বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কোভিডের তহবিল নিয়ে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। গতকাল মন্ত্রিসভায় বিচারপতি জন মাইকেল ডি'কুনহার নেতৃত্বে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কোভিডকালে তহবিল থেকে 'গায়েব' কয়েকশো কোটি! উধাও নথিও, মারাত্মক অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
ইটের বদলে পাটকেল! দুর্নীতির পাল্টা জবাব দুর্নীতি! মুদা দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে রাজ্যপাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীই দিলেন আরেক দুর্নীতির খোঁজ। পূর্বতন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আনলেন কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। কোভিডকালে রাজ্যে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল বলেই অভিযোগ তুলেছেন ইয়েদুরাপ্পা। একাধিক নথিও উধাও বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, বিজেপির শাসনকালে, বিএস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কোভিডের তহবিল নিয়ে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। গতকাল মন্ত্রিসভায় বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহার নেতৃত্বে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই রিপোর্টে বিচারপতি ভয়ঙ্কর পর্যবেক্ষণ রেখেছেন। কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ হয়েছে। একাধিকবার রিপোর্ট চাওয়া সত্ত্বেও ফাইল জমা পড়েনি। সূত্রের খবর, করোনাকালে রাজ্যে ১৩০০০ কোটি টাকা তহবিল পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে থেকে ১০০ কোটি টাকা ‘গায়েব’ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই বিরোধীদের দাবি, মুদা দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ানোর বদলা নিতেই এই দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও পাল্টা জবাবে আইনমন্ত্রী এইচকে পাটিল বলেছেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে যখনই কোনও গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, তখনই তাকে বদলা বলা হয়। দুই মাস আগে মুদার বিষয়টি সামনে এসেছে। কুনহা কমিটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। কী করে দুটি বিষয়কে এক করা হচ্ছে? এটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছিল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours