এক কালে ঋতুস্রাব একটা বড় বিষয় ছিল। অনেক ছুঁত্‍মার্গ ছিল। সেই একই সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওলকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে পুরনো স্মৃতিই ভাগ করে নিলেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন তাঁকে নানা রকম নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হত। তা যে নায়িকার মোটেই পছন্দ ছিল সেটাই বোঝা গেল এষার কথায়।


পিরিয়ডসের কথা মুখে আনাও পাপ! হেমার কড়া নিয়মের কথা ফাঁস এষার


এক কালে ঋতুস্রাব একটা বড় বিষয় ছিল। অনেক ছুঁত্‍মার্গ ছিল। সেই একই সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওলকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে পুরনো স্মৃতিই ভাগ করে নিলেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন তাঁকে নানা রকম নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হত। তা যে নায়িকার মোটেই পছন্দ ছিল সেটাই বোঝা গেল এষার কথায়। পরিবারের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন মহিলারাই সেই সঙ্গে ছিলেন হেমা মালিনীও। এই বিষয় আলোচনাও করাও ছিল পাপ। এষা বলেন, “আমাদের মন্দিরে যাওয়া বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা নিষেধ ছিল ঋতুস্রাবের সময়ে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পরে স্নান করে ও মাথার চুল ধুয়ে আবার পুজো করার অনুমতি মিলত। জানি এটা প্রগতিশীল ভাবনা নয়। কিন্তু যে বাড়িতে আমি থাকছি তার নিয়ম তো আমাকে মানতেই হবে।”


বেশ কড়া ঘেরাটোপের মধ্যে যে তিনি বড় হয়েছেন সে কথা তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে উঠে এসেছে। মাত্র ১৮ বছরেই তাঁর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র। তাঁর কথায়, “বাবা খুবই প্রাচীনপন্থী। বাবা কোনওদিন চায়নি আমি ছবিতে অভিনয় করি। ওর অবশ্য কারণও ছিল। বাবা একজন পাঞ্জাবি বাবা। বাবা চেয়েছিল ১৮ বছর বয়সেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করতে। আসলে উনি যে জায়গা থেকে এসেছেন সেখানে সব মহিলাই এইভাবে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু আমি তো এভাবে বড় হয়ে উঠিনি।” বাবার আপত্তি সত্ত্বেও ছবির দুনিয়ায় বেছে নিয়েছিলেন এষা। অনুসরণ করেছিলেন মায়ের পদাঙ্ক। এসেছিল বাধাও। শুধু বাবা নয়, আপত্তি ছিল ঠাকুমার তরফেও। তাঁর কথায়, “বাড়িতে স্প্যাগেটি ও শর্ট স্কার্ট পরতে দেওয়া হত না। দেরি করে বাড়ি ফেরারও অনুমতি ছিল না। আমি তো মিথ্যে বলে লেট নাইট করতাম।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours