২০১৭ সালে এমবিএস-র হয়ে এক ব্যক্তি ৪৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে সালভাতর মুন্ডি নামের ৫০০ বছরের পুরনো একটি ছবি কেনেন। এটি এখনও পর্যন্ত বিক্রি হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে দামী শিল্পকর্ম। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা এই ছবিতে যিশু খ্রিস্টকে স্বর্গ ও পৃথিবীর কর্তা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।
তেলের দেশ' সৌদিকে কীভাবে পাল্টে ফেলছেন মহিলাদের 'মসিহা' সলমন?
২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবকে বদলে ফেলবেন এমবিএস?
১০ বছর আগেও কল্পনা করা যেত না যে বুর্জ খলিফা বা আল-সুদানে পুরুষ ও মহিলারা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, নাচানাচি করছেন। কিংবা দুবাইয়ের রাস্তায় বিদেশি গাড়ি ছোটাচ্ছেন কোনও মহিলা। এই সবই সত্যি হয়েছে একজনের দৌলতে। যিনি সৌদি আরবকে তেলের খনির বাইরেও নতুন এক পরিচয় দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কথা হচ্ছে মহম্মদ বিন সলমনের (Mohammed Bin Salman)। দুনিয়ার কাছে তিনি এমবিএস (MBS) নামেই পরিচিত। সৌদির বহু মানুষের কাছেই তিনি ঈশ্বরের সমান। কিন্তু পিছনে অনেকেই আবার বলেন, এমবিএস জল্লাদের থেকে কম কিছু নন। ভিশন ২০৩০ নিয়ে সৌদিকে এক স্বপ্নের দেশে পরিণত করছেন যিনি, তাঁকে নিয়ে এত জলঘোলা বা বিতর্ক কেন?
সৌদি আরব, যার শিকড়ে ক্ষমতা ও ঐতিহ্য মিশে, সেখানেই আধুনিক এক দেশ, যা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠবে, তার স্বপ্ন দেখেছিলেন এমবিএস। তাঁর উত্থান সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। একাধারে তিনি যেমন সাহসী পদক্ষেপ করে প্রশংসিত, তেমনই আবার আবেগের বশে ভেসে হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্যও চরম সমালোচিত। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অলিন্দে থাকলেও, তাঁর উত্থান রাতারাতিই হয়েছিল। যে যুবক নিজের দেশের সীমান্তের বাইরে কী রয়েছে, সে সম্পর্কেই বিশেষ জানতেন না, সেই-ই দেশের চিত্রটা পরিবর্তন করে দিতে প্রস্তুত হন।
এমবিএসের উত্থান-
১৯৮৫ সালের ৩১ অগস্ট জন্ম মহম্মদ বিন সালমানের। তাঁর বাবা ছিলেন সৌদি প্রিন্স সলমন বিন আজিজ আল সাউদ। তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান এমবিএস। বয়সের ভারে যখন দুর্বল হচ্ছিলেন, তখনই বাবার সহকারী হয়ে ওঠেন মহম্মদ বিন সলমন। বাবার পিছনে বসে আইপ্যাডে নোট নিতেন সলমন। তিনি যে ভবিষ্যতে ক্রাউন প্রিন্স হবেন, তা কল্পনাতেও আসেনি কারোর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours