ছত্রিশ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর অবশেষে ৮জন মৎসজীবির দেহ উদ্ধার করলেন পুলিশ প্রশাসন ও মৎস্যজীবী সংগঠন।
৩৬ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর বাবা গোবিন্দ নামক ডুবে যাওয়া ট্রলারের কেবিন থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ নয় মৎস্যজীবীর মধ্যে আটজনের নিথর দেহ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক বিজন মাইতিএবং লোকসভার সাংসদ বাপি হালদার এর উপস্থিতিতে ডুবে যাওয়া ট্রলারের কেবিন থেকে এক এক করে আটটি দেহ বেরিয়ে আসে। বঙ্গোপসাগর থেকে ওই টলারটি টেনে আনা হয়েছিল লুথিয়ান দ্বীপের কাছে। সেখান থেকে স্পিডবোর্ড ও ছোট নৌকার মাধ্যমে ওই মৃতদেহ গুলি আনা হয় হরিপুর খেয়া ঘাটে।
মৃতদেহ গুলি হরিপুরে আসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে মৃতদের পরিবারের কান্নার রোল ভেসে ওঠে। এখনো পর্যন্ত একজনের কোন সন্ধান মেলেনি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোবার ক্যাপ্টেনর সাহায্য নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। মৃতদেহ গুলি কাকদ্বীপের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার আগে মৃতদেহগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য পরিবারের লোকজনকে এনে মৃতদেহ চিহ্নিত করার কাজ করেছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। চিহ্নিতকরণের পথ প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি কাগজপত্র। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে কিভাবে আর্থিক সাহায়্যের দাবি রেখেছেন।
ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
Post A Comment:
0 comments so far,add yours