জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ নন। আমরা শিক্ষানবিশ। আর সরকারি পরিসংখ্যানকে ঠিক ধরলে, অর্থাৎ জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে বলাই যায়, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের অভাব রয়েছে।"
২৩ রোগীর মৃত্যুর কথা বলেছে রাজ্য, পরিসংখ্যান দিয়েই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার 'বেহাল' চিত্র তুলে ধরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
পরিসংখ্যান তুলে ধরেই রাজ্যকে নিশানা জুনিয়র ডাক্তারদের
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, কর্মবিরতির জন্য হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহতের অভিযোগ। একমাসে ২৩ জন রোগীমৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে সওয়াল করেছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ‘বেহাল’ ছবি তুলে ধরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তাঁরা। বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ নন। আমরা শিক্ষানবিশ। আর সরকারি পরিসংখ্যানকে ঠিক ধরলে, অর্থাৎ জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে বলাই যায়, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের অভাব রয়েছে। আর এটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার দিকেই ইঙ্গিত করে।”
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours