অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল। সিবিআই-এর দায়ের করা দিল্লির আবগারি নীতি 'কেলেঙ্কারি' মামলায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই মানল সুপ্রিম কোর্ট।
জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল! ছয় মাস পর আসছেন জেলের বাইরে
অবশেষে জামিন পেলেন কেজরীবাল
অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল। সিবিআই-এর দায়ের করা দিল্লির আবগারি নীতি ‘কেলেঙ্কারি’ মামলায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেছিলেন কেজরীবাল। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই মানল সুপ্রিম কোর্ট। যেহেতু, এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, তাই আপ প্রধানের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। কেজরীবাল জামিনে জেলের বাইরে এলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আশঙ্কাকে গুরুত্বই দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
গত ৫ অগস্ট সিবিআই-এর দায়ের করা এই মামলায়, মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিবাল। ইডির হেফাজতে থাকাকালীনই, ২৬ জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর আগে, ১২ জুলাই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ইডি যে মামলা দায়ের করেছিল, সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন কেজরীবাল। গত ২১ মার্চ, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন সিবিআই-এর মামলাতেও জামিন পাওয়ায় ছয় মাস পর অবশেষে জেল থেকে বের হচ্ছেন আপ প্রধান, অরবিন্দ কেজরীবাল।
২১ মার্চ কেজরীবালকে গ্রেফতার করা হলেও, নির্বাচনের সময় প্রচার করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল কেজরীবালকে। সেই সময় দিল্লি ও হরিয়ানায় লোকসভা ভোটের প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে, ভোট পর্ব মেটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আবার ফিরে যেতে হয়েছিল কারাগারে।
২০২১-২২ সালে দিল্লি সরকারের এক নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করেছিল। এই ক্ষেত্রে কেজরীবাল-সহ আপ নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। নয়া আবগারী নীতিটি পরে বাতিল করা হলেও, তদন্তে একের পর এক আপ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরীবাল ছাড়াও ইডি-সিবিআই-এর নজরে রয়েছে আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। সিবিআই এবং ইডি-র মতে, আবগারি নীতি সংশোধন করার সময় অনিয়ম করা হয়েছিল এবং লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours