যে জায়গা ভাঙা নিয়ে এত বিতর্ক সেই ভাঙার অর্ডার কপিতে সই রয়েছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণের জন্য এই ভাঙাভাঙির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সেই নথিতেই সই রয়েছে সন্দীপের।
সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার শরিক জুনিয়ার ডাক্তাররাও? টিভি ৯ এর হাতে চাঞ্চল্যকর নথি
বাড়ছে চাপানউতোর
দিন যত যাচ্ছে জট খোলার থেকে জট যেন আরও পাকাচ্ছে। এবার সামনে আসছে আরও মোড় ঘোরানো তথ্য। সেমিনার রুম চত্বর ভাঙার সিদ্ধান্তে শরিক চেস্ট মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকেরা! বেশ কিছু পিজিটি সই করেছেন নথিতে। সেই নথির প্রতিলিপি এসেছে টিভি-৯ বাংলার হাতে। সূত্রের খবর, ঘটনার পর দিনই সেমিনার রুমের সন্নিহিত এলাকা ভাঙার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়। অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনকে অন্ধকারে রেখেই সেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। এদিকে এই সেমিনার রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার দেহ। সেই জায়গার নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উঠেছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকাও।
যে জায়গা ভাঙা নিয়ে এত বিতর্ক সেই ভাঙার অর্ডার কপিতে সই রয়েছে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম এবং শৌচাগার নির্মাণের জন্য এই ভাঙাভাঙির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সেই নথিতেই সই রয়েছে সন্দীপের। অন্যদিকে আরও একটি হাতে লেখা নথি সামনে আসছে। সেই নথিতে ১৮ জন পিজিটির সই রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেমিনার রুম চত্বর ভাঙতে দিতে রাজি হলেন? সেই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। কেন কেউ প্রতিবাদ করল না সেই প্রশ্ন উঠছে। কী বলছেন পিজিটিরা?
সংস্কারের সিদ্ধান্তে শরিক হলেও কবে ভাঙা হবে তা জানতেন না। কোথায় ভাঙা হবে জানতেন। কিন্তু তবে ভাঙা হবে সেই খবর ছিল না। দাবি করছেন নথিতে সই থাকা পিজিটি আলাপন সরকারের। তবে কী সই করা পিজিটিদের অন্ধকারে রেখেই সেমিনার রুম চত্বরে কাজ চলছে? এই প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সিবিআইকে জানানো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আলাপন। তিনি বলছেন, “১২ তারিখ ঘটনা ঘটলেও ১৩ তারিখে ঘটনার কথা জানতে পারি। আমরা তো একটানা আন্দোলনে ছিলাম। সেই সময় আলাদা করে আর প্রশ্ন করা হয়নি বিষয়টি নিয়ে। কবে সেখানে কাজ হবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু, যখন কাজ হচ্ছিল সেখানে তো পুলিশ পোস্টিং ছিল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours