কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়। খানিক ক্ষোভ খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, “এটা শিক্ষাক্ষেত্রে থ্রেট কালচারের সমান। শিক্ষককে এভাবে হেনস্থা কোনওভাবেই মানা যায় না।”
আচমকা স্যরকে গাঁদা ফুলের মালা পরাতে ছুটল পড়ুয়া, ‘রেগে লাল’ অধ্যাপক! হচ্ছেটা কী যাদবপুরে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো
‘ওয়েলকাম স্যর! এটা আপনার জন্য।’ হাতে গাঁদা ফুলের মালা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এক ছাত্র। সামনে তখন প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। ছাত্রের রূপ দেখে তো তিনি হতবাক! মুখে বিস্ময়! শুধু একবার বললেন, ‘এ আবার কী!’ এদিন দুপুরে এই ছবিই দেখা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডাল্ট কন্টিনিউয়িং এডুকেশন অ্য়ান্ড এক্সটেনশন বিভাগে। এখানেই চলে দু’বছরের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপনের স্নাতকোত্তরের কোর্স। অভিযোগ, যত গণ্ডগোল নাকি এখানেই। ইতিমধ্যেই ঘটনার ভিডিয়ো শোরগোল ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সিংহভাগ অভিযোগের তির নম্বরের মূল্যায়ন নিয়ে। বাদ যাচ্ছেন না অন্যান্য অধ্যাপকেরাও। উঠেছে নম্বর কারচুপি থেকে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগে অনিয়ম-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ। তা নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে চাপানউতোর চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। আন্দোলনেও নামতে দেখা গিয়েছে বিভাগের অনেক পড়ুয়াকেই। অবস্থান-অনশনের ছবিও দেখা যায়। যদিও ছাত্রদের লাগাতার অভিযোগ নিশানায় যে অধ্যাপক তাঁর পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটাকে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়। খানিক ক্ষোভ খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, “এটা শিক্ষাক্ষেত্রে থ্রেট কালচারের সমান। শিক্ষককে এভাবে হেনস্থা কোনওভাবেই মানা যায় না। এরকম চলতে থাকলে নিজেদের আমরা মূল্যায়ন পদ্ধতি থেকে সরিয়ে নেব।”
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের তরফে বিভাগেরই আন্দোলনকারী শ্রে বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “সান্ত্বন স্য়র তো আমাদের ঠিক মতো ক্লাসই নেন না। এই বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একাধিকবার মিটিং হয়েছে। কখনও আসেননি। আজ অনেকদিন পর এসেছেন। তাই ওনাকে আমরা মালা দিয়ে স্বাগত জানানোর চেষ্টা করেছি। অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে ওনার সঙ্গে তো আমাদের তো আলাদা একটা টার্মস আছে। তাই এই ব্যবস্থা।” যদিও ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সান্ত্বন বাবু। স্পষ্টই বলছেন, “আমার কোনও ব্যক্তি ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। অধ্যাপক হিসাবে এটা রুচি বিরুদ্ধ লেগেছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours