মৃত আট মৎস্যজীবী পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হলো
কাকদ্বীপ বি ডি ও অফিসে ৮ জন ট্রলারডুবি মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক সাহায্য রূপে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য গত শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে এফবি গোবিন্দ নামে একটি ট্রলার এবং গভীর সমুদ্রে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে মোট ১৭জন মৎস্যজীবী ছিল। এই দুর্ঘটনায় ৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি নয় জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর ট্রলারটিকে উপকূলে নিয়ে এসে তল্লাশি চালিয়ে ট্রলারটির কেবিন থেকে আরও ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে মৎস্যজীবী সংগঠন ও পুলিশ প্রশাসন। এর পরেও এই দুর্ঘটনায় পাদুরি দাস নামে আরও এক মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বজন হারানো মৎস্যজীবী পরিবারদের পাশে দাড়ালো রাজ্য সরকার। ৮ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো দুই লক্ষ টাকার চেক। মঙ্গলবার দুপুরে কাকদ্বীপ বিডিও অফিসে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুমিত গুপ্তা, জেলা সভাধিপতি নিলিমা বিশ্বাস মিস্ত্রি, সহ সভাধিপতির শ্রীমন্ত মালি, কাকদ্বীপ এর বিধায়ক মন্টরম পাখিরা, সহকারী মৎস্য আধিকর্তা সুরজিৎ বাগ ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন মারফত জানাযায়, রাজ্য সরকারের "মৎস্য বন্ধু" প্রকল্পের মাধ্যমে এই সহায়তা করা হয়। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা মৃত মৎস্যজীবী কানাই দাস, বাসুদেব দাস, নিরঞ্জন দাস, জগবন্ধু দাস, নিখিল দাস, শংকর দাস, মুকুন্দ বৈরাগী ও সৌরভ দাসের পরিবারের হাতে এই দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকজন। তাছাড়া রবিবার রাতেই প্রতিটি পরিবারের হাতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও তিন লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা তুলে দেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, জয়দেব হালদার, জেলা পরিষদের সরকারি সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি, উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। আগামী দিনেও এই মৎজীবী পরিবার গুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেয় প্রশাসনের লোকজন। এ বিষয় মন্টুরাম পাখিরা জানান "আমরা পরিবার গুলির পাশে আছি এবং পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হবে"।
স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
Post A Comment:
0 comments so far,add yours