September 2024

কয়েক দিন আগে পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টলি পাড়ার এক অভিনেত্রী । মহিলা কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয় পরিচালক এবং অভিযোগকারিণীকে। যে বিতর্কের জেরে ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এই বিতর্কে মুখ খুললেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

'শুক্লা দাস যিনি পরিচালকের স্ত্রী নন তাঁর দাবি...' অরিন্দম বিতর্কে ঝাঁঝালো লীনা


কয়েক দিন আগে পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টলি পাড়ার এক অভিনেত্রী । মহিলা কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয় পরিচালক এবং অভিযোগকারিণীকে। যে বিতর্কের জেরে ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে সাসপেন্ড করা হয় পরিচালককে। এই পরিস্থিতিতে তরফে অরিন্দমের দীর্ঘদিনের সঙ্গী শুক্লা দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজের বক্তব্য জানান তিনি। তিনি দাবি করেন অরিন্দম নির্দোষ। মহিলা কমিশনের মাথা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। এবার মুখ খুললেন লেখিকা,পরিচালক তথা মহিলা কমিশনের প্রধান। অরিন্দমের ঘটনা প্রসঙ্গে 
নিজের বক্তব্য জানালেন লীনা।

শুক্লার অভিযোগ প্রসঙ্গে লীনার বয়ান

প্রথমেই বলি, শুক্লা যে সব কথা বলেছেন, তাঁর কোনও কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তবে আপনারা প্রশ্ন করছেন বলে জানাচ্ছি। বলা হচ্ছে, অভিযোগকারিণী এক সময়ে আমার প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক করেছেন। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পরিচালকও ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন আমাদের প্রযোজনায়। আর অভিযোগকারিণী তিন বছর আগে আমাদের ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। তা হলে দু’জনের অবস্থানই এক। তাই পূর্বপরিচিত বলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ টিকবে না।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর সুখবর শুনিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিং। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নায়িকা। এক সপ্তাহ হল হাসপাতালেই রয়েছেন নায়িকা। মেয়ে এবং নতুন মা-কে দেখতে আসছেন সবাই। সব ঠিক থাকলে রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তিনি। ছুটির দিনেই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন রণবীর।


মেয়েকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা দীপিকা রণবীরের! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে কী ভাবনা তারকা জুটির ?


রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর সুখবর শুনিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিং। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নায়িকা। এক সপ্তাহ হল হাসপাতালেই রয়েছেন নায়িকা। মেয়ে এবং নতুন মা-কে দেখতে আসছেন সবাই। সব ঠিক থাকলে রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তিনি। ছুটির দিনেই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন রণবীর। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গিয়েছে রণবীরের মা-বাবাকে। তা দেখে অনেকেই আন্দাজ করেছেন আজই হয়তো নাতনি আর বউমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তাঁরা। হিসাব বলছে এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে এবার নিশ্চয়ই ছাড়া পেয়ে যাবেন দীপিকা।


সকাল বিকাল তাই হাসপাতালের দিকে ক্যামেরা তাক করে রয়েছেন ছবি শিকারিরা। সন্তান জন্মানোর পর নতুন বাবাকেও কয়েক ঝলক দেখা গিয়েছে। তাই মেয়ে কোলে নায়ক-নায়িকাকে দেখার অপেক্ষায় সবাই। তবে শোনা যাচ্ছে, অন্যান্য বলিউড তারকাদের পথেই হাঁটবেন ‍দীপিকা এবং রণবীর। শোনা যাচ্ছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও মেয়েকে সকলের চোখের আড়ালেই নিয়ে বেরোনোর পরিকল্পনা তাঁদের।

চলতি বছরের শুরুতেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কার দুই সন্তাকেই এখনও দেখা যায়নি ক্যামেরার সামনে। এমনকি সোনম কাপুরও ছেলের ছবি পোস্ট করেননি নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায়। শুধু তাই নয় অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্বামী আদিত্য চোপড়াও এই একই পথের পথিক। প্রায় পাঁচ বছরের বেশি বয়স রানি, আদিত্যর মেয়ে আদিরার। কিন্তু এখনও কেউ দেখেনি তাকে। সেই একই পথে নাকি হাঁটবেন দীপিকা-রণবীরও।

বিয়ের আংটি খুলে ফেললেন ঐশ্বর্য! সত্যিই ডিভোর্স হচ্ছে বচ্চন দম্পতির?


বিয়ের আংটি খুলে ফেললেন ঐশ্বর্য় রাই বচ্চন। রবিবার সকাল থেকে চর্চা একটাই । অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যর সম্পর্কের আরও অবনতি হল? ইতিউতি আলোচনা এই একটাই। না এখনও পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। মাঝে অনেকগুলো মাস হয়ে গেল শোনা যাচ্ছে বচ্চন পরিবারে অশান্তির আঁচ।
বিয়ের আংটি খুলে ফেললেন ঐশ্বর্য! সত্যিই ডিভোর্স হচ্ছে বচ্চন দম্পতির?


বিয়ের আংটি খুলে ফেললেন ঐশ্বর্য় রাই বচ্চন। রবিবার সকাল থেকে চর্চা একটাই । অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যর সম্পর্কের আরও অবনতি হল? ইতিউতি আলোচনা এই একটাই। না এখনও পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। মাঝে অনেকগুলো মাস হয়ে গেল শোনা যাচ্ছে বচ্চন পরিবারে অশান্তির আঁচ। দুরত্ব তৈরি হয়েছে জুনিয়র বচ্চন এবং ঐশ্বর্যর মধ্যে।

অনেক দিন হল নাকি অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ‘জলসা’ ছেড়ে নিজের ফ্ল্যাটে মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে থাকছেন রাই সুন্দরী। অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও জোড়াল হয় মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানীর বিয়েতে। বিয়েবাড়িতে আলাদা আলাদা এসে উপস্থিত হন বচ্চন পরিবার এবং ঐশ্বর্য। সেই জল্পনার আগুনেই যেন এবার আরও খানিকটা ঘি পড়ে গেল। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দুবাইয়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। সেখানেই দেখা গেল নায়িকার আঙুলে নেই তাঁর বিয়ের আংটি। নিমেষে ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়োও।

Okফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের মন্তব্যের জের। তাঁকে মানহানির নোটিস পাঠানো হল ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে। কিছু দিন আগে ফেডারেশন সভাপতি মন্তব্য করেন, "টলিউডে ৬০ শতাংশ যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে পরিচালক-প্রযোজকের বিরুদ্ধে।" 


এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিস্তর আলোচনার সৃষ্টি হয়।
ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপের বিরুদ্ধে বড় সিদ্ধান্ত টলি পরিচালকদের! নোটিস গেল মানহানির


ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের মন্তব্যের জের। তাঁকে মানহানির নোটিস পাঠানো হল ডিরেক্টর্স গিল্ডের তরফে। কিছু দিন আগে ফেডারেশন সভাপতি মন্তব্য করেন, “টলিউডে ৬০ শতাংশ যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে পরিচালক-প্রযোজকের বিরুদ্ধে।” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিস্তর আলোচনার সৃষ্টি হয়।

যে নোটিস পাঠানো হয়েছে তাতে নাম রয়েছে হরনাথ চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত,অশোক বিশ্বনাথন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সদস্যদের। ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁদের মানহানি হয়েছে, এই মর্মে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে লেখা আছে, “আমরা সবাই জানি ,সম্প্রতি ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান এন্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র (FCTWEI) সভাপতি শ্রী স্বরূপ বিশ্বাস , বাংলা বিনোদন ও চলচ্চিত্র জগতে যৌন নিগ্রহের কথা বলতে গিয়ে সমগ্র পরিচালক গোষ্ঠীকে কীভাবে অপমান করেছেন| এতে আমরা অত্যন্ত বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিরেক্টরস গিল্ডের তরফে একটি বক্তব্য ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে , যাতে আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বলেছি যে,যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন ,তিনি যে বিভাগের হন না কেন ,তাকে কোনও মতেই আড়াল করা যাবে না। তার প্রমাণও আমরা দিয়েছি। কিন্তু সেটিকে হাতিয়ার করে, একটি গোটা সমষ্টিকে কলুষিত করার চেষ্টা হলে সেটিকে অভিসন্ধিমূলক ধরে নিতে হবে এবং তার প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন|বর্তমানে আমরা পরিচালকরা,শ্রী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি | নিয়ম মেনে,তাঁকে প্রথমে একটি আইনি নোটিস পাঠানো হবে|তাঁর উত্তরের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে |” এই চিঠিতে সই করেছেন টলিপাড়ার অনেক পরিচালকই। এ প্রসঙ্গে পরিচালক সংগঠনের সভাপতি সুব্রত সেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬৩ জন পরিচালক একজোটে স্বরূপের বিরুদ্ধে এই আইনি পদক্ষেপ করেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিচালকদের তরফ থেকে আইনজীবী সৌমাভ মুখোপাধ্যায় আইনি লড়াই লড়বেন।

মানহানির নোটিস প্রসঙ্গে তরফে স্বরূপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি এখন কোনও মন্তব্য করতে চান না। আইনের নোটিস এর উত্তর আইনগত ভাবেই দেবেন। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে স্বরূপের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা তথা পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও।



একটা সময় আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুস্থানীয় ছিল এখন সেটা নেই', আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কণীনিকা বন্দোপাধ্যায়। সৌজন্যে তাঁর নতুন রান্নার শো 'রান্নাঘর'। গত ১৭ বছর ধরে এমনই রান্নার শো-এর সঞ্চালক হিসাবে দর্শক দেখে এসেছেন সুদীপা চট্টোপধ্যায়কে। তবে গত এক বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। শেষ হয়ে গিয়েছে সদীপা সঞ্চালিত রান্নার অনুষ্ঠান'রান্নাঘর'।
'...সুদীপাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করিনি', রান্নাঘর সঞ্চালনা প্রসঙ্গে অকপট কণীনিকা


‘একটা সময় আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুস্থানীয় ছিল এখন সেটা নেই’, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কণীনিকা বন্দোপাধ্যায়। সৌজন্যে তাঁর নতুন রান্নার শো ‘রান্নাঘর’। গত ১৭ বছর ধরে এমনই রান্নার শো-এর সঞ্চালক হিসাবে দর্শক দেখে এসেছেন সুদীপা চট্টোপধ্যায়কে। তবে গত এক বছরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। শেষ হয়ে গিয়েছে সদীপা সঞ্চালিত রান্নার অনুষ্ঠান’রান্নাঘর’। মাঝে আরও একটি রান্নাবান্নার অনুষ্ঠান দেখা যেত। যে শো সঞ্চালনা করছিলেন গৌরব চক্রবর্তী এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ। সেটা বন্ধ হয়েই শুরু হতে চলেছে কণীনিকার রান্নার অনুষ্ঠান। তবে সুদীপা যে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতেন সেটার নামও ছিল ‘রান্নাঘর’।





এত বছর যেহেতু তিনি এমনই একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে এসেছেন তাই নতুন প্রোমো দেখে নিজের অভিমানের কথাই জানিয়েছিলেন সুদীপা।  তিনি বলেছিলেন, “সত্যি কথা বলতে কি, খুব মন খারাপ লেগেছিল। আসলে আমার পরিচয়ই তো ওই রান্নাঘর দিয়েই। প্রথম যখন রন্ধনে বন্ধনের (গৌরব চক্রবর্তী ও রিদ্ধিমা ঘোষ সঞ্চালিত আর এক রন্ধনবিষয়ক নন ফিকশন শো) প্রোমো দেখেছিলাম তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদে ফেলেছিলাম। আর এ ক্ষেত্রেও যখন দেখলাম আমারই বান্ধবী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হোস্ট করছে তখনও খুব দুঃখ লেগেছে। ভেবেছিলাম ও তো আমায় একটু জানাতে পারত।” সুদীপার অভিমানের প্রসঙ্গে কণীনিকাকে প্রশ্ন করা হলে। নিজের মতামত জানালেন অভিনেত্রী। কণীনিকা জানিয়েছেন, এককালে তাঁদের ভাল বন্ধুত্ব থাকলেও এখন আর তেমনটা নয়।



 তরফে কণীনিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”সুদীপা ১৭ বছর ধরে সঞ্চালনা করেছে। ফলে একটা তো ব্র্যান্ডিং তৈরি হয়েই গিয়েছে। কিন্তু এই শো-টা একেবারে নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছে। আমি সঞ্চালনা দিয়েই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। তবে এটা ঠিক সুদীপার পরিচিতিটাই তো তৈরি হয়েছে এই রান্নার অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। আর সুদীপার অভিমান আজকের নয়, ওর অভিমান আমার উপর অনেক দিনের। এই বয়সে এসে আর অভিমান হয় না। নতুন শো লঞ্চ হচ্ছে তাই ওর (সুদীপা) সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করিনি। বরং তখন যেহেতু গৌরব এবং ঋদ্ধিমার শো চলছিল আমি ভেবেছিলাম ওদের সঙ্গে কথা বলব। তখন চ্যানেলের তরফে আমায় জানানো হয় যে ওদের শো বন্ধ হয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটা রান্নার অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। সুদীপার কথা মাথাতেই আসেনি কারণ ওর অনুষ্ঠান তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর সুদীপার সঙ্গে এখন আর তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। এককালে বন্ধুত্ব ছিল। বর্তমানে আর তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। পেশার ক্ষেত্রে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব এ সব আসে না।” ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই রান্নার শো-এর শুটিং শুরু করবেন কণীনিকা।


 অভিনয়টা না জেনেই তিনি এই জগতে পা রেখেছিলেন। তারপর সবটা সেট থেকেই শেখা। সঙ্গীত বাংলা-কে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন এই কথা। ঠিক কী বলেছিলেন মধুমিতা?


আমি অভিনয়ের কিছু জানি না', কেরিয়ার নিয়ে এ কী বললেন মধুমিতা?
মধুমিতা সরকার, সিরিয়াল থেকে শুরু করে ওটিটি, সিনেমা, অভিনয় জগতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তের সংখ্যাও নেহাতই কম নেই। সেই অভিনেত্রী নিজের প্রসঙ্গে এ কী বললেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল সেই ক্লিপিং। নিজে মুখে এ কথা বলেছেন তিনি? অভিনয়টা পারেন না? একেবারেই সত্যি কথা। তবে এখন নয়, মধুমিতা এই মন্তব্য করেছিলেন তাঁর কেরিয়ারের শুরুর প্রসঙ্গে। অভিনয়টা না জেনেই তিনি এই জগতে পা রেখেছিলেন। তারপর সবটা সেট থেকেই শেখা। সঙ্গীত বাংলা-কে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন এই কথা। ঠিক কী বলেছিলেন মধুমিতা?


অভিনেত্রীর কথায়, ‘সিরিয়াল করব কখনও আমি ভাবিনি। আমার প্রথম সিরিয়াল ‘সবিনয়ে নিবেদন’। আমি তার আগে অভিনয়ের কিছুই জানি না। আমি শুধু পোজ দিয়ে দাঁড়াতে জানি। আমার এখনও মনে আছে, যখন আমাদের লুক সেট চলছিল, তার জন্য ছবি তুলছিলাম, তখন সেখানে আমাদের পরিচালক দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন– মডেলদের মত তুমি পোজ দিও না। কারণ মডেলিং একটা আলাদা পেশা। অভিনয়ের ক্ষেত্রে লুক সেট হলে চরিত্রের মতো করে পোজ দাও। আমি এতটাই শূণ্য থেকে শুরু করেছিলাম।’


তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি মধুমিতাকে। একের পর এক ভাল চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে সকলের নজর কেড়েছেন তিনি। হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি কাজের প্রস্তাবও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় মধুমিতা জনপ্রিয়। নিত্যদিন তাঁর পোস্টে থাকে ভক্তদের নজর। অবসরে ঘুরতে বেশ পছন্দ করেন তিনি। যদিও ব্যক্তি জীবন নিয়ে খুব একটা চর্চায় থাকেন না এই সেলেব।

এক দিকে তিনি টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক। অন্য দিকে আবার তিনি ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়কও। তবে তিনি নিজের পেশাদার জীবন আর ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই আলাদা রাখার চেষ্টা করেন রাজ। একই পন্থা মেনে চলেন বিধায়ক তথা পরিচালক পত্নী নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায়।


ঘাড়ের উপর ইউভান, রবিবার রাজের সঙ্গে কী কাণ্ড করল তাঁর দুই সন্তান?

এক দিকে তিনি টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক। অন্য দিকে আবার তিনি ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়কও। তবে তিনি নিজের পেশাদার জীবন আর ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই আলাদা রাখার চেষ্টা করেন রাজ। একই পন্থা মেনে চলেন বিধায়ক তথা পরিচালক পত্নী নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায়। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। সদ্য ধুমধাম করে ছেলে ইউভানের জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। সে দিনই মেয়ে ইয়ালিনিকে প্রথম বার ক্যামেরার সামনে আনেন রাজ-শুভশ্রী।

জীবনে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, পরিবার সবার আগে। এইটা যে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন সেই প্রমাণই পাওয়া গেল শুভশ্রীর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজের ঘাড়ের উপর উঠে বসে আছে ইউভান। অন্য দিকে টেবিলে বসে রয়েছে ইয়ালিনি। আর দুই ছেলে মেয়ের মাঝে বসে রীতিমতো নাস্তানাবুদ অবস্থা রাজের। রবিবার সকালে চক্রবর্তী বাড়ির এমনই একটা ছবি পোস্ট করেছেন শুভশ্রী। ছবি পোস্ট করে নায়িকা লেখেন “সানডে ফানডে।”




উল্লেখ্য, চার বছর পূর্ণ করল রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম সন্তান ইউভান চক্রবর্তী। তিলোত্তমা এখনও বিচার পায়নি, তাই মন ভাল নেই মায়ের। তবে এরই মধ্যে ছেলের জন্মদিন ফিকে হতে দিলেন না তিনি। শহরের এক শপিং মলেই ধুমধাম করে আয়োজন করা হল ইউভানের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। মেয়ে ইয়ালিনিকে কোলে নিয়ে ছেলের সঙ্গে সেলিব্রেশন মোডে শুভশ্রী। না, পোশাকের আতিশয্য নয়, বরং ছিমছাম সাজে জার্সি গায়ে দিয়েই হাজির ছিলেন মা ও ছেলে। হাজির ছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। কেক কাটা থেকে হুল্লোড়– বাদ গেল না কিছুই। হাজির ছিল ইউভানের বন্ধুরাও। মন খারাপের মাঝেই বৃহস্পতিবার গোটা দিন জমিয়ে উপভোগ করল চক্রবর্তী পরিবার।

 চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। পরনে সাদা রঙের জামা। আর মুখে একগাল হাসি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফ্রেমবন্দি দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিং। বাড়ির দুই লক্ষ্মীকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নায়ক। সকাল থেকে হাসপাতালের দিকেই ক্যামেরা তাক করে বসেছিলেন ছবি শিকারিরা।

তারকা দম্পতির গাড়ি বেরোতেই সঙ্গে সঙ্গে ঝলকে উঠল ফ্ল্যাশ লাইট।
সাদা কাঁথায় মোড়ানো দীপিকা-রণবীরের মেয়ে, সামনে এল প্রথম ছবি!


চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। পরনে সাদা রঙের জামা। আর মুখে একগাল হাসি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফ্রেমবন্দি দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিং। বাড়ির দুই লক্ষ্মীকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নায়ক। সকাল থেকে হাসপাতালের দিকেই ক্যামেরা তাক করে বসেছিলেন ছবি শিকারিরা। তারকা দম্পতির গাড়ি বেরোতেই সঙ্গে সঙ্গে ঝলকে উঠল ফ্ল্যাশ লাইট। মেয়ে হওয়ার পর প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দেখা গেল নায়িকা।

আবছা ছবি দেখে স্পষ্ট যে নায়িকার কোলেই ছিল তাঁর সদ্যোজাত। আর এক দৃষ্টে মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন বাবা রণবীর। সন্তান হওয়ার পর সব মায়েরই জীবন পাল্টে যায়। এ কথা সকলের জানা। বলিপাড়ার নায়িকার ক্ষেত্রেও যে বিষয়টা অন্যরকম নয় সেটা আরও বোঝা গেল দীপিকার ইনস্টাগ্রামের পাতায় চোখ পড়তেই। মেয়ে হওয়ার পর তাঁর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠিক কী ভাবে কাটছে কয়েকটা মাত্র শব্দের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। নিজের ইনস্টাগ্রামের বায়োতে লেখেন, “ফিড, বার্প, স্লিপ, রিপিট।” যা বাংলায় করলে মানে দাঁড়ায় খাওয়াও, ঢেঁকুর তোলাও , ঘুম পাড়াও আবার সেই কাজটাই করো।





তবে একেবারেই কি ক্যামেরার সামনে দেখা যাবে না এই তারকা কন্যাকে? তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, জন্মের পর মেয়ে রাহাকেও ক্যামেরার সামনে আনেননি রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট। কিন্তু এখন আর তেমন কোনও বাধা নেই। রবিবার বাড়ি যাওয়ার পথে কি দেখতে পাওয়া যাবে একরত্তিকে? সেটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সন্তানের ক্ষেত্রে কোন বলিউড তারকা জুটির পথে এগোবেন দীপিক-রণবীর? সবটাই ক্রমশ প্রকাশ্য।


 প্রতিবাদ থামবে না। আরজি কর কাণ্ডের পর ৩৬ দিন কেটে গিয়েছে। চিকিত্‍সক দিদির বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন জুনিয়র চিকিত্‍সকেরা। গত পাঁচ দিন ধরে রাস্তায়ই দিন কাটছে তাঁদের। 

পর পর দুদিন মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে না পৌঁছেও বৈঠক হয়নি। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিত্‍সকদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ফিরে রাস্তায়ই কেঁদে ভাসালেন কিঞ্জল, নিমেষে ভাইরাল ভিডিয়ো



প্রতিবাদ থামবে না। আরজি কর কাণ্ডের পর ৩৬ দিন কেটে গিয়েছে। চিকিত্‍সক দিদির বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন জুনিয়র চিকিত্‍সকেরা। গত পাঁচ দিন ধরে রাস্তায়ই দিন কাটছে তাঁদের। পর পর দুদিন মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে না পৌঁছেও বৈঠক হয়নি। শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র চিকিত্‍সকদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দিদি’ হিসাবে সেখানে হাজির হয়ে কাজে ফেরার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই সন্ধ্যাতেই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে কালীঘাটে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে প‍ৌঁছায় জুনিয়র চিকিত্‍সকেরা। তার পর কী ঘটেছে সে কথা সকলেরই জানা। কালীঘাট থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ফিরে এসে কী করেন তাঁরা। সেই ভিডিয়োই হয়েছে ভাইরাল। জুনিয়র চিকিত্‍সক তথা অভিনেতা কিঞ্জল নন্দর একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।

ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে যাচ্ছে পার্টিতে, যাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, কখনও ট্রেলার লঞ্চে, কখনও আবার ঐশ্বর্যের ব্যক্তিগত কাজে সেই সঙ্গী। মাঝে মধ্যেই বিমান বন্দরে মায়ের হাত ধরে হাজির হচ্ছে সে। 

স্কুলে যায় না আরাধ্যা!' হঠাৎ কী কারণে এই প্রশ্নে তোলপাড় নেটপাড়া?


আরাধ্যা বচ্চন, বলিউডের অন্যতম স্টারকিড। বচ্চন পরিবারের উত্তরসূরী বলে কথা। এখানেই শেষ নয়, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের এই কন্যাকে নিয়ে সর্বদাই চর্চা থাকে তুঙ্গে। কী তার মা-বাবার সম্পর্ক? কার সঙ্গে থাকছে আরাধ্যা? কেন তাকে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে দেখা যায় না! সব মিলিয়ে নিত্যদিন আরাধ্যা বচ্চনকে ঘিরে জল্পনা থাকে তুঙ্গে। কখনও তার হেয়ারস্টাইল, কখনও আবার বিমান বন্দর থেকে ভাইরাল তার ছবি। তবে মেয়ে স্কুল যাচ্ছে কখন? সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বক্ষণই দেখা যাচ্ছে তাকে মায়ের হাত ধরে। এরপরই প্রশ্ন তুলল নেটপাড়া। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে যাচ্ছে পার্টিতে, যাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, কখনও ট্রেলার লঞ্চে, কখনও আবার ঐশ্বর্যের ব্যক্তিগত কাজে সেই সঙ্গী। মাঝে মধ্যেই বিমান বন্দরে মায়ের হাত ধরে হাজির হচ্ছে সে।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটপাড়ায় নয়া জল্পনা তুঙ্গে। কেউ লিখলেন, ‘সত্যি এই প্রশ্নটা করতে চাই, আপনারা সকলে ভাবছেন আরাধ্যা কীভাবে স্কুলে যাচ্ছে? অনেক ছাত্রীরই এই সময় পরীক্ষা চলছে। যখনই ঐশ্বর্যকে কোথাও যেতে দেখতে যায়, সঙ্গে থাকে আরাধ্যা।’ আবার কেউ ঐশ্বর্য-আরাধ্যার পক্ষ নিয়ে লিখলেন, ‘লক্ষ্য করে দেখবেন ঐশ্বর্য তখনই ট্রাভেল করেন, যখন আরাধ্যার স্কুল থাকে না। কান-এ ঐশ্বর্য সপ্তাহের ছুটির দিনই গিয়েছিলেন।’


একদিকে যখন ঐশ্বর্য-আরাধ্যাকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে, ঠিক তখনই প্রশ্ন উঠছে অভিষেকের সঙ্গে কেন থাকতে দেখা যায় না আরাধ্যা বচ্চনকে। কিছুদিন আগেই অভিষেক নব্যা নন্দা ও অগস্ত্যকে নিয়ে ডিনারে গিয়েছিলেন। তখনও উঠেছিল প্রশ্ন, তাঁর সঙ্গে কেন নেই মেয়ে আরাধ্যা? যদিও বলিউডে বেশ কিছুদিন ধরেই এই গুঞ্জন তুঙ্গে, অভিষেকের সঙ্গে নাকি থাকছে না আরাধ্যা। সে তার মায়ের সঙ্গেই থাকে বর্তমানে। আর সেই কারণেই কি মেয়েকে কাছ ছাড়া করছেন না অভিনেত্রী? উত্তর খুঁজছে নেটপাড়া।

এক কালে ঋতুস্রাব একটা বড় বিষয় ছিল। অনেক ছুঁত্‍মার্গ ছিল। সেই একই সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওলকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে পুরনো স্মৃতিই ভাগ করে নিলেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন তাঁকে নানা রকম নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হত। তা যে নায়িকার মোটেই পছন্দ ছিল সেটাই বোঝা গেল এষার কথায়।


পিরিয়ডসের কথা মুখে আনাও পাপ! হেমার কড়া নিয়মের কথা ফাঁস এষার


এক কালে ঋতুস্রাব একটা বড় বিষয় ছিল। অনেক ছুঁত্‍মার্গ ছিল। সেই একই সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওলকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে পুরনো স্মৃতিই ভাগ করে নিলেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন তাঁকে নানা রকম নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হত। তা যে নায়িকার মোটেই পছন্দ ছিল সেটাই বোঝা গেল এষার কথায়। পরিবারের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন মহিলারাই সেই সঙ্গে ছিলেন হেমা মালিনীও। এই বিষয় আলোচনাও করাও ছিল পাপ। এষা বলেন, “আমাদের মন্দিরে যাওয়া বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা নিষেধ ছিল ঋতুস্রাবের সময়ে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পরে স্নান করে ও মাথার চুল ধুয়ে আবার পুজো করার অনুমতি মিলত। জানি এটা প্রগতিশীল ভাবনা নয়। কিন্তু যে বাড়িতে আমি থাকছি তার নিয়ম তো আমাকে মানতেই হবে।”


বেশ কড়া ঘেরাটোপের মধ্যে যে তিনি বড় হয়েছেন সে কথা তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে উঠে এসেছে। মাত্র ১৮ বছরেই তাঁর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র। তাঁর কথায়, “বাবা খুবই প্রাচীনপন্থী। বাবা কোনওদিন চায়নি আমি ছবিতে অভিনয় করি। ওর অবশ্য কারণও ছিল। বাবা একজন পাঞ্জাবি বাবা। বাবা চেয়েছিল ১৮ বছর বয়সেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করতে। আসলে উনি যে জায়গা থেকে এসেছেন সেখানে সব মহিলাই এইভাবে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু আমি তো এভাবে বড় হয়ে উঠিনি।” বাবার আপত্তি সত্ত্বেও ছবির দুনিয়ায় বেছে নিয়েছিলেন এষা। অনুসরণ করেছিলেন মায়ের পদাঙ্ক। এসেছিল বাধাও। শুধু বাবা নয়, আপত্তি ছিল ঠাকুমার তরফেও। তাঁর কথায়, “বাড়িতে স্প্যাগেটি ও শর্ট স্কার্ট পরতে দেওয়া হত না। দেরি করে বাড়ি ফেরারও অনুমতি ছিল না। আমি তো মিথ্যে বলে লেট নাইট করতাম।”


মাস খানেক আগেই বিয়ে করেছেন জাহির ইকবাল ও সোনাক্ষী সিনহা। তাঁদের বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। ভিনধর্মে বিয়ে, জাহির সোনাক্ষীর থেকে বয়সেও ছোট--- এ নিয়ে চলেছে চরম কটাক্ষ। বিয়ের দু-তিন দিন পরেই সোনাক্ষীকে হাসপাতালে বাইরে দেখে এও রটে তিনি বিয়ের আগে থেকেই গর্ভবতী।


বিয়ের আগেই গর্ভবতী হওয়ার গুঞ্জন, মা হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সোনাক্ষী


মাস খানেক আগেই বিয়ে করেছেন জাহির ইকবাল ও সোনাক্ষী সিনহা। তাঁদের বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। ভিনধর্মে বিয়ে, জাহির সোনাক্ষীর থেকে বয়সেও ছোট— এ নিয়ে চলেছে চরম কটাক্ষ। বিয়ের দু-তিন দিন পরেই সোনাক্ষীকে হাসপাতালে বাইরে দেখে এও রটে তিনি বিয়ের আগে থেকেই গর্ভবতী। সে খবর যদিও সত্য নয়, তবে এবার মা হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে কী ভাবছেন তিনি ?


সোনাক্ষীর উত্তর, “আমাদের বাবা-মাও এই প্রশ্নটা আমাদের করেন না।” সোনাক্ষী এ নিয়ে সদর্থক কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন তাঁর স্বামী জাহির। জাহিরের কথায়, “আপাতত বিবাহিত জীবন উপভোগ করছি। আমাদেরকে সেটাই করতে দিন প্লিজ। আমরা বাচ্চা ভালবাসি। তাই সন্তান কখন আনব তা নিয়ে আমাদের ধারণাও রয়েছে। তবে সেটা এখন নয়।”

প্রসঙ্গত, এর আগে শোনা গিয়েছিল জাহিরকে বিয়ে করা নিয়ে বিশেষ খুশি হননি শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমাকে সবাই জিজ্ঞাসা করছে আমি কেন জানি না বিয়ের ব্যাপারে! আমি একটাই কথা বলতে পারি আজকালকার বাচ্চারা বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে তো কিছু করে না, শুধু জানায় যে কী করতে চলেছে। আমি এখন দিল্লিতে রয়েছি। ভোটের ফলাফলের পর আমি এখানে এসেছি। তাই সোনাক্ষী কী করবে তা নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। ও এখনও আমাকে কিচ্ছু জানায়নি। যখন জানাবে আমি ও আমার স্ত্রী ওকে নিশ্চয়ই আশীর্বাদ করব। ও ভাল থাকুক এটাই তো বাবা হিসেবে চাই।” যদিও পরবর্তীতে শত্রুঘ্ন নিজেই জানান, মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্তে তিনি বেজায় খুশি। প্রাণভরে করেন আশীর্বাদ।





কাকদ্বীপ ডট কমের খবরের জেরে নামখানা নারায়ণপুর মৎস্য বন্দরে ফিরল আলো খুশি মৎস্যজীবীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকে, বিগত বহুদিন ধরে নামখানা মৎস্য বন্দরে আলো না থাকায় বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। সমুদ্র থেকে ট্রলার ফিরে আসার পরে মাছ ওঠানো নামানো, পুনরায় বরফ তোলা ইত্যাদি কাজে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো মৎস্যজীবীদের। অন্ধকারে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ঘটে যেত বিভিন্ন ঘটনা।
 শেষে গত শুক্রবার  কাকদ্বীপ ডট কমের মাধ্যমে খবরটা দেখানোর পর নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। শনিবার রাতে মৎস্য বন্দরে আলো দেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নামখানা নারায়ণপুরে মৎস্য বন্দরে খুশি মৎস্যজীবীরা এবং শ্রমিকরা সেই ছবি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডট কম এর মাধ্যমে ।


ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 



নদী বাঁধ ধস নেওয়া আতঙ্কে এলাকার মানুষজন।।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নামখানা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজগঞ্জ এলাকায় আনুমানিক ৫০ মিটার নদী বাঁধ ধস নেওয়ায় আতঙ্কের নদী বাঁধ পাহারা দিচ্ছে এলাকার মানুষজন। 
এলাকার মানুষজনের অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই নদী বাঁধ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আর এই বেহাল থাকার কারণে নদী বাঁধ ভাঙতে ভাঙতেই অবশেষে নদী কুলবর্তী এলাকার যে বাড়িঘর রয়েছে সেই বাড়ি ঘরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে নদীর ভাঙ্গন। 
তবে দক্ষিণবঙ্গের যে কয়েক দিন ধরে মুষলধারায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রবিবার দিন মহারাজগঞ্জ এলাকায় আনুমানিক ৫০ মিটার নদী বাঁধ ধ্বস নেয় আর যারা আতঙ্কে নদী বান পাহারা দিচ্ছে এলাকার মানুষজন 
এলাকার মানুষজনের দাবি অস্থায়ী নদী বাঁধ না করে একটি স্থায়ী নদী বাঁধ যাতে করা যায় সরকারের পক্ষ থেকে তারা চাইছে এমনকি নদীবন তারাও দিচ্ছে এলাকার মানুষজন।।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে আজ ফেজারগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় ফ্রেজারগঞ্জ কোষ্ঠাল পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।


এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সব জলযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের তৈরি হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এর পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল থাকবে। যার ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। 

আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের ও সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য চলছে মাইকিং। এর পাশাপাশিের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে।


ষ্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার 

ডুবে যাওয়া বাংলাদেশী ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকার কারণে এফ. বি. পারমিতা ৫ নামক একটি ভারতীয় ট্রলার সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসছিল।




ফিরে আসার সময় ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা বেশ কয়েকজনকে সমুদ্রে ভেসে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ভেসে থাকা ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। এরপরই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা জানতে পারেন, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের মৎস্যজীবী। এ বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে ভেসে থাকতে দেখতে পান। ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমার ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার উদ্ধার হয় মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।





স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার


অভিনব কায়দায় পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের ১২০ কেজি শুকনো নেশার বস্তু গাঁজা, গ্রেপ্তার ২ 




বারুইপুর  আমতলা রোডে টংতলায় নাকা চেকি এর সময় সন্দেহজনকভাবে একটি অশোক লেল্যান্ড কোম্পানির DOS7 মডেলের গুড ভিকেল গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে তল্লাশি চালায়। গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে শুকনো মাদক দ্রব্যের ১১৭ টি প্যাকেট উদ্ধার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। যার ওজন আনুমানিক একশো কুড়ি কিলো, আনুমানিক দাম প্রায় 12 লক্ষ টাকা। ঘটনায় তিনজন জড়িত থাকলেও  দুজনকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির একজন মগরাহাট থানার রায়নগর এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক ঢালি, অপরজন বাংলার মোড় পদ্মের হাটের আরিফ হোসেন মন্ডল। বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের সাফল্যে খুশি সকলে।
 বারইপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নাকা চেকিং চলে বিভিন্ন সময়। তেমনি বারুইপুর থানার অন্তর্গতলা টংতলা এলাকায় আজ সকাল থেকে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল বারুইপুর থানার পুলিশ। নাকা চেকিং চলাকালীন সন্দেহজনক গাড়ি গুলিতে   তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। ছোট হাতি গাড়িতে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কথার অসঙ্গতি দেখা দিলে, গাড়িটির প্রতি সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। গাড়ির পেছনে থাকা এক ব্যক্তি পুলিশ দেখেই চম্পট দেয়। গাড়িটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সন্দেহ জোরালো হয়। একদম অভিনব সিনেমার মতো  কায়দায়  গাড়ির বডিটিকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়ির বডির উপরের অংশ ফাঁকা থাকলেও,নিচে সুন্দরভাবে সাজানো ছিল ১১৭ টি প্যাকেট। যা দেখে সাধারণভাবে কোনরকম সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বারইপুর পুলিশ জেলার দক্ষ পুলিশ অফিসারদের চোখকে ফাঁকি দিতে পারল না। ধরা পড়ে গেল আনুমানিক 12 লক্ষ টাকা মূল্যের শুকনো নেশার  বস্তু, যা গাঁজা বলেই মনে করা হচ্ছে।

টোটো তে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক টোটো চালকের।



ইলেকট্রিকের টোটো তে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের । মৃত যুবকের নাম জগাই হালদার (৩২) ।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপি ব্লকের কুলপি থানার অন্তর্গত অরুণ বেড়িয়া গ্রামে।
প্রতিদিনের ন্যায় আজও টোটো নিয়ে বার হওয়ার আগেই আজ সকালে টোটোর চার্জ করতে যায়, আর সেখানেই বিদ্যুৎ পৃষ্ট  হয় ওই যুবক।  বেলপুকুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে কুলপি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে পাঠাচ্ছে।  কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।


এক্ষেত্রেও কি অপেক্ষা দীর্ঘ হতে চলেছে! সে উত্তর এখনও মেলেনি। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাপারাৎজি ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। তাই বলে কোনও সেলিব্রিটি সেই তালিকা ভুক্ত নয়। 

 কনভয় ছুটিয়ে হাসপাতালে দীপিকার কাছে শাহরুখ, হঠাৎ কী হল!

সদ্য মা হয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সুস্থই আছেন। ৮ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা মাফিক সন্তান আসে দীপিকার। খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তার বন্যা বয়ে যায়। জুটির পরিবারে নতুন সদস্য। যদিও এখনও কন্যা সন্তানের মুখ দেখাননি তিনি। তবে অনুষ্কা শর্মার মতো ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আলিয়া ভাটের কন্যা সন্তানকে যেমন সামনে এনেছিলেন এক বছর পর। এক্ষেত্রেও কি অপেক্ষা দীর্ঘ হতে চলেছে! সে উত্তর এখনও মেলেনি। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল পাপারাৎজি ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। তাই বলে কোনও সেলিব্রিটি সেই তালিকা ভুক্ত নয়।

আর ঠিক সেই কারণেই এবার দীপিকার কাছে পৌঁছে গেলেন শাহরুখ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় পলকে ভাইরাল হল সেই ছবি। যেখানে শাহরুখ খানকে দেখা গেল কনভয় ছুটিয়ে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে। সেখানেই দীপিকার সঙ্গে দেখা করেন কিং। মুখ দেখেন দীপবীরের সন্তানের। রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার কিছুটা সময়ের পর তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবর জানিয়েছিলেন। তবে মেয়ের নাম কি রাখলেন জুটি, সে খবর এখনও সামনে আসেনি।


প্রসঙ্গত, এক সাক্ষাৎকারে রণবীর সিং জানিয়ে ছিলেন তাঁরা সন্তানের পরিকল্পনা করে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। তাঁরা নাকি সন্তানের নামের একটি তালিকাও তৈরি করেছিলেন। রণবীর সিং জানিয়েছিলেন, তিনি স্থির করে ফেলেছিলেন, তাঁর সন্তানের নাম। রণবীর সিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি তো নামের একটা লিস্ট তৈরি করছি। সন্তান হলে নাম রাখব সৌর্যবীর সিং।’ সৌর্যবীর নামে সাহস, যিনি সাহসী। শক্তির রূপ। যদিও রণবীর সিং জানিয়েছিলেন তিনি কন্যা সন্তানই চান। তাঁর কথায় কন্যা সন্তান অনেক বেশি পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। আর রণবীর বরাবরই নারী শক্তিতে বিশ্বাসী।

সচিন তেন্ডুলকর থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগকে ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলতেন এক ক্রিকেটার, যিনি আবার পেয়েছিলেন আইপিএলের অন্যতম জনপ্রিয় টিম আরসিবি (RCB) থেকে কোটি টাকার প্রস্তাব, সেই তিনি ক্রিকেট ছেড়ে এখন করেন এক চাকরি



ক্রিকেটাররা অবসর নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোচিং, ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত হন। কেউ কেউ নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। এবং ক্রিকেট সংক্রান্ত টিপস থেকে শুরু করে নিজের মতামত শেয়ার করেন। কিছু কিছু ক্রিকেটার এর ব্যতিক্রমও থাকেন। সচিন তেন্ডুলকর থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগকে ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলতেন এক ক্রিকেটার, যিনি আবার পেয়েছিলেন আইপিএলের অন্যতম জনপ্রিয় টিম আরসিবি (RCB) থেকে কোটি টাকার প্রস্তাব, সেই তিনি ক্রিকেট ছেড়ে এখন করেন এক চাকরি।


কথা হচ্ছে নাথান ব্র্যাকেনকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি খেলেছেন নাথান। ৫টি টেস্ট, ১১৬টি ওডিআই এবং ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নাথান। টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি এই তিন ফর্ম্যাটে যথাক্রমে তিনি নিয়েছেন ১২টি, ১৭৪টি ও ১৯টি উইকেট। বল দুই দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা ছিল তাঁর। সচিন থেকে শুরু করে সেওয়াগদের মাঝে মাঝেই ২২ গজে চাপে ফেলতেন তিনি। হাঁটুতে মাঝে মাঝেই চোট পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে খুব দ্রুত ক্রিকেট থেকে অবসরও ঘোষণা করেন নাথান।

দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের জন্য ভারতের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে। এ বার টাইগার্সদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চেন্নাইতে প্রস্তুতি শিবির শুরু হবে টিম ইন্ডিয়ার।

খুব শীঘ্রই টিম ইন্ডিয়ার ভরা টেস্ট মরসুম শুরু হতে চলেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের (India vs Bangladesh) প্রথম টেস্ট ম্যাচ। দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের জন্য ভারতের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছে। এ বার টাইগার্সদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চেন্নাইতে প্রস্তুতি শিবির শুরু হবে টিম ইন্ডিয়ার। তাতে কি যোগ দেবেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)? এই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।


এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হবে ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। তার আগে আগামিকাল, ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে শুরু হবে ভারতের প্রস্তুতি শিবির। আজ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের জন্য যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা জড়ো হয়েছেন। দেশের তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে আকাশ দীপ, কুলদীপ যাদব ও যশস্বী জয়সওয়ালদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘ট্র্যাভেল বাডিস।’ যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, তাঁরা চেন্নাই যাওয়ার আগে একজোট হয়েছেন।




 ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক। যদিও সেই টুর্নামেন্টে নজর কাড়তে ব্যর্থ সৌরভ। দল থেকে বাদ পড়েন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ৪ বছর পর। বাকিটা ইতিহাস। কিন্তু টেস্ট অভিষেকের আগে আরও গল্প রয়েছে!

সিধুর রাগেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেস্ট অভিষেক! এই গল্প জানেন?


মহারাজ, প্রিন্স অব ক্যালকাটা, অফসাইডের ভগবান। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্যাপ্টেন। লর্ডসের সেই রাজকীয় অভিষেক না হলে, এত কিছু ঘটত? প্রশ্ন থাকেই। হয়তো হত, কিছুটা অপেক্ষা বাড়ত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল অনেক অনেক আগেই। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজে প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ সৌরভের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক। যদিও সেই টুর্নামেন্টে নজর কাড়তে ব্যর্থ সৌরভ। দল থেকে বাদ পড়েন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ৪ বছর পর। বাকিটা ইতিহাস। কিন্তু টেস্ট অভিষেকের আগে আরও গল্প রয়েছে!


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেস্ট অভিষেকের নেপথ্যে রয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু! তবে সেটা প্রত্যক্ষ ভাবে বলা যায় না। ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলছিলেন সৌরভ। টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়া কঠিন ছিল সৌরভের। দলে একঝাঁক প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার। ফলে সৌরভের মতো বেশ কয়েকজন ওয়েটিং লিস্টেই ছিলেন। এরপরই একটি ঘটনা দরজা খোলে সৌরভের জন্য।

সে সময় ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। অন্য দিকে, দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নভজ্যোৎ সিং সিন্ধু। তবে টিম ম্যানেজেন্ট এবং দলের অন্দরের কিছু ঘটনায় ক্যাপ্টেন আজহারউদ্দিনের সঙ্গে ব্যাপক মনোমালিন্য হয় সিধুর। পরস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর ফল, সফরের মাঝপথেই দল ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। আর এটিই শাপে বর হয়ে দাঁড়ায়।




ক্রিকেট মহলে জল্পনা শুরু, তা হলে কি এ বার হার্দিক টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) ফিরছেন?

 লাল বলে জোরকদমে অনুশীলন হার্দিক পান্ডিয়ার, দ্রুতই টেস্টে ফিরছেন?
লাল বলে জোরকদমে অনুশীলন হার্দিক পান্ডিয়ার, দ্রুতই টেস্টে ফিরছেন?


 যে ভারতীয় ক্রিকেটার সময়ে অসময়ে লাইমলাইটে আসেন, তিনি হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। এখন তিনি ব্যস্ত নিজেকে ফিট রাখায়। কখনও জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন তো কখনও আবার নেটে বোলিং, ব্যাটিং করছেন। বাদ থাকছে না ফিল্ডিং অনুশীলনও। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হার্দিকের এক ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে লাল বল হাতে অনুশীলন করছেন তিনি। যা দেখে ক্রিকেট মহলে জল্পনা শুরু, তা হলে কি এ বার হার্দিক টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) ফিরছেন?

৩০ বছর বয়সী হার্দিক পান্ডিয়া নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে কয়েকটি ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, তাঁর হাতে একটি রেড-চেরি বল। সেই বল দিয়ে বোলিং অনুশীলন করছেন তিনি। এক্সে হার্দিকের বোলিং অনুশীলনের ভিডিয়োর কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘টেস্টে আবার হার্দিক পান্ডিয়াকে দেখতে পাব, কল্পনা করছি।’ অপর একজনের কমেন্ট, ‘ওকে টেস্ট টিমে দরকার।’

শুভবুদ্ধির উদয় হোক….ক্ষমা করে দিয়েছি’, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দায়িত্ব’ মনে করালেন মমতা

কেন লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাও এদিন বারবার বোঝাতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গও। সাফ বলেন, “আমরা তিনটি ক্যামেরা রেখেছিলাম ভিডিয়ো করার জন্য । আমরা পরে শেয়ার করে দিতাম। সুপ্রিম কোর্ট লাইভ দেখাতে পারে। আমরা পারি না।

শুভবুদ্ধির উদয় হোক….ক্ষমা করে দিয়েছি’, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দায়িত্ব’ মনে করালেন মমতা
সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা: বিকাল থেকে টান টান উত্তেজনা। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কোনওমতেই রাজি নয় নবান্ন। অন্যদিকে নো লাইভ, নো ডিসকাশনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। এরইমধ্যে কেন ডাক্তারদের এই দাবি মানা যাচ্ছে না সে পক্ষে কিছু যুক্তিও দিতে দেখা গেল মুখ্যসচিবকে। যুক্তি দিলেন ডিজি রাজীব কুমারও। মুখ্যসচিব বলেন, যেটা মানুষকে সরকার জানাতে চায় সেইটুকুই লাইভ স্টিমিং করা হয়। আলোচনার সবটা নয়। ডিজিকে পাশে নিয়ে মুখ্যসচিব বুঝিয়ে দেন বৈঠক মানুষকে জানাতে সরকার লাইভ করবে না। এটা সম্ভব নয়। সাফ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার জন্য সভাঘরে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় দেড় ঘন্টা। এটারও একটা লিমিট রয়েছে।” সব মিলিয়ে যখন কী হয় কী হয় অবস্থা তখন আসরে নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


খানিক ঝাঁঝাল স্বরেই বললেন, “পৌনে ৫টা থেকে প্রায় ৭ টা বাজে। দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলাম যে আমাদের চিকিৎসক ভাই বোনেদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমরাই চিঠি দিয়েছিলাম। সেই কারণেই বৈঠক ডাকা হয়েছিলাম। কিন্তু ২ ঘণ্টা পরেও দেখলাম তাঁরা আসছেন না। কোনো শর্ত নিয়ে নয়। খোলা মনে। কথা বললে সমস্যার সমাধান হয়। গত দুদিন ধরে আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। আমাদের কাজ ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। আজও তাঁরা চিঠি পাঠান। সিএস জানান, ওপেন মিটিং।”

এমনকী কেন লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাও বারবার বোঝাতে দেখা গেল তাঁকে। বারবার শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গও। সাফ বলেন, “আমরা তিনটি ক্যামেরা রেখেছিলাম ভিডিয়ো করার জন্য। আমরা পরে শেয়ার করে দিতাম। সুপ্রিম কোর্ট লাইভ দেখাতে পারে। আমরা পারি না। এখন এই কেস কোর্টের আওতায় রয়েছে। ফলে তাঁর গণ্ডির মধ্যেই থাকতে হবে। বিচারধীন কেস এটা। সবটা টেলিকাস্ট করলে আমাদের দায়বদ্ধতা থাকবে না? আমরা এমন কিছু করতে চাইনি। একবার আমরা লাইভ সম্প্রচার করেছিলাম। ওরা ঠিকই বলছেন । কিন্তু তথন কেসটা সুপ্রিম কোর্টের আওতায় ছিল না। সিবিআই তদন্ত করছিল না।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে। জাতীয় রাজনীতিতে ওনার মতো বরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের চলে যাওয়া বড় ক্ষতি। ওনার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।'

প্রয়াত ইয়েচুরি, শোকবার্তা মমতা-রাহুল-অভিষেকের


কলকাতা: সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে বাম-ডান নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব শোকবার্তা জানিয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা শোকবার্তা দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে। জাতীয় রাজনীতিতে ওনার মতো বরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের চলে যাওয়া বড় ক্ষতি। ওনার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’


অন্যদিকে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘সীতারাম ইয়েচুরি একজন বন্ধু ছিলেন। তিনি ভারতের চেতনার রক্ষক, দেশ সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী। আমাদের মধ্যে যে দীর্ঘ আলোচনা হত, তা খুবই মিস করব।’ প্রয়াত সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির পরিবার, পরিজন, বন্ধুদের সমবেদনা জানান তিনি।

 'ওয়েটিং, ওয়েটিং অ্যান্ড ওয়েটিং...ভেবেছিলাম আজ সমাধান হয়ে যাবে'
কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আজ তৃতীয় দিনে পড়েছে। দু রাত রাস্তাতেই কাটিয়েছেন তাঁরা। তৃতীয় দিনে নবান্নের তরফ থেকে ফের চিঠি দিয়ে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে বসতে চান। তবে আন্দোলনকারীদের দেওয়া সব শর্ত মেনে নেওয়া হয়নি নবান্নের তরফে।




“পৌনে ৫টা থেকে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি। আমার ভাইবোনেদের শুভবুদ্ধি উদয় হবে, তাঁরা আসবেন, ভেবেছিলাম। আসতে বলে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম প্রথমে। ওঁরা আসবেন বলেছিলেন। আমার সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ছিলেন।”

“একবার ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলাম। তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল না। সিবিআই-এর হাতে কেস ছিল না। আমরা রেকর্ডিং-এর কথা বলেছিলাম, স্বচ্ছতার জন্য। আমরা তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারতাম। সুপ্রিম কোর্ট যা পারে, আমরা তা পারি না। শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলাটা যখন সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”


১৪ তলা ঘুরে আবার সভাঘরে ফিরে গেলেন মমতা
বিকেল ৫টায় আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। কিছুটা দেরি হলেও নবান্নে পৌঁছে যান ডাক্তাররা। কিন্তু নিজেদের শর্তে অনড় চিকিৎসকেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ১৪ তলায় ফিরে যান মমতা। এরপর আবার সভাঘরে যান তিনি।

অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া কোনও আলোচনা হবে না।


অপেক্ষায় মমতা


কেন লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না, ব্যাখ্যা দিলেন রাজীব কুমার
ডিজি রাজীব কুমার বলেন, “কোনও ফর্মাল মিটিং বা আলোচনায় লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না। যে বিষয়টা সাধারণ মানুষকে জানানো প্রয়োজন, সেটা লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। এই ক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং করার কোনও কারণ নেই।”

মুখ্যসচিবও বলেন, “যেটা মানুষকে সরকার জানাতে চায়, সেইটুকুই লাইভ স্টিমিং করা হয়। আলোচনার লাইভ সম্প্রচার সম্ভব নয়।” ডিজিকে পাশে নিয়ে মুখ্যসচিব বুঝিয়ে দিলেন বৈঠক মানুষকে জানাতে সরকার লাইভ করবে না। এটা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার জন্য সভাঘরে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় দেড় ঘন্টা। এটার একটা লিমিট রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যসচিব।


অপেক্ষায় মমতা, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব ও ডিজি
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও ডিজি রাজীব কুমার। মনোজ পন্থ বলেন, “আমরা দুপুরেই মেইল করেছিলাম। তারপর জুনিয়র ডাক্তাররা এসেছে। ওদের ইস্যু হল লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। আমরা বলেছিলাম ভিডিয়ো রেকর্ড করব, যাতে আমরা ওই ভিডিয়ো রেখে দিতে পারি। আমরা ওদের বলেছি, আলোচনায় অংশ নিন। মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের জন্য অপেক্ষা করছেন।”

ডিজি বলছেন, কোনও ফর্মাল বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং হয় না। এর কোনও যুক্তি নেই।




মুখ্যসচিবের পর নবান্নের বাইরে বেরিয়ে এলেন ডিজি রাজীব কুমার
এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যসচিব কথা বলে চলে যাওয়ার পর বেরিয়ে আসেন ডিজি রাজীব কুমার। তাঁরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। টানটান পরিস্থিতি নবান্নে।


নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করলেন মমতা, বাইরে বেরিয়ে এলেন মুখ্যসচিব
নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে, লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি অনড় চিকিৎসকেরা। চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে বাইরে বেরিয়ে এলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি নিজে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন।


আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যসচিব


লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি মানছে না রাজ্য, জিবি চলছে ডাক্তারদের
পুরো বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করার দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সেই দাবি মানছে না রাজ্য। ৩০ জনকে প্রবেশ করতে দিলেও এই দাবি না মানায় ফের আলোচনা শুরু করলেন চিকিৎসকেরা। কারণ তাঁরা কোনও আপোষ করতে রাজি নন। তাই নবান্ন সভাঘরের বাইরেই জিবি চলছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। তাঁরা চান, যে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই যেন আলোচনায় চোখ রাখতে পারেন।


আন্দোলনকারীদের শর্ত মানল নবান্ন, ৩০ জনই ঢুকলেন ভিতরে
আন্দোলনকারীদের শর্ত মানল নবান্ন। ৩০ জনই ঢুকলেন ভিতরে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিতে দিতে এদিন বাস থেকে নেমে নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্নের সামনে এই স্লোগান কার্যত নজিরবিহীন। তবে লাইভ স্ট্রিমিং হবে কি না, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।


৩০ জনই ঢুকবেন নবান্নে: সূত্র
আন্দোলনকারীদের দাবি কার্যত মেনে নিল নবান্ন। সূত্রের খবর, ৩০ জন প্রতিনিধিকেই নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করা হবে। সেই মতো সভাঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে লাইভ স্ট্রিমিং হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী ওপরেই।


নবান্নে প্রস্তুত হচ্ছে বড় সভাঘর
নবান্নের একটি বড় সভাঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে বৈঠকের জন্য। ইতিমধ্যেই বাসে উঠে পড়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সভাঘরে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেখানে ৩০ জনও বসতে পারবেন। তবে ৩০ জনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।




লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবিতে অনড় ডাক্তাররা
নবান্ন বলছে, বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে না, ভিডিয়ো রেকর্ড করা হবে। আন্দোলনকারীরা লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবিতে অনড়। কোনও আপোষ নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলছেন, “লাইভ স্ট্রিমিং-এর পথ মুখ্যমন্ত্রীরই দেখানো। তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক যদি লাইভ স্ট্রিমিং হতে পারে, তাহলে চিকিৎসকদের বৈঠক নয় কেন?”


৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্য়ে নবান্নে পৌঁছবেন ডাক্তাররা
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল ১৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, ৩০ জন প্রতিনিধিকে নিয়েই যাবেন তাঁরা। প্রবেশ করতে না দেওয়া হলে, কী করা হবে, তা নবান্নে পৌঁছে ঠিক করা হবে।

তাঁরা নিজেরাই বাসের ব্যবস্থা করেছেন। তাতে চেপেই ৩০ জন প্রতিনিধি যাচ্ছেন। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।

২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে নবান্ন সভাঘরে অপেক্ষা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবিতে অনড় ছিলেন চিকিৎসকেরা। লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া কোনও বৈঠকে রাজি হননি তাঁরা।


ডাক্তারদের সঙ্গে মিটিং-এর লাইভ স্ট্রিমিং কেন করা যাবে না? ব্যাখ্যা করলেন মমতা
নবান্নে মমতা

 লাইভ স্ট্রিমিং না হলে কোনও আলোচনা নয়। নবান্নে গিয়েও শর্ত ছাড়া বৈঠকে রাজি হলেন না আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও ডিজি রাজীব কুমার বোঝালেও কোনও লাভ হয়নি। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সভাঘরের ভিতরে অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন, কেন লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়।


মমতার দাবি, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “একবার (এনআরএস কাণ্ডে)ওদের নিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলাম। তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল না। সিবিআই-এর হাতেও কেস ছিল না।”

এদিনের বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “আমরা রেকর্ডিং-এর কথা বলেছিলাম, স্বচ্ছতার জন্য। আমরা তিনটি ভিডিয়ো ক্যামেরা রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সেটা প্রকাশ করতে পারতাম। সুপ্রিম কোর্ট যা পারে, আমরা তা পারি না। শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলাটা যখন সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রেকর্ড করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, এদিন নবান্নে ডিজি রাজীব কুমার এই সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এই ধরনের মিটিং-এ লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না, যে বিষয়টা সবাইকে জানানোর, সেটাই শুধু লাইভ স্ট্রিমিং করা যায়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সেই তিনটি টোটোর একটির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে পালায় চোর। বয়াল-২ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নিবেদিতা বর্মন বলেন, "৯ তারিখ রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ১০ তারিখ আমাকে ফোন করে জানানো হয়। বলল ৩টে গাড়ির মধ্যে একটার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশও এসেছিল।"

 গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের ভিতর থেকে টোটোর ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালাল চোর!
টোটোর ব্যাটারি চুরি।


পঞ্চায়েত অফিস থেকে টোটোর ব্যাটারি চুরি। নন্দীগ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাপানউতর। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল-২ গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট তিনটি টোটো রয়েছে। এই টোটোগুলি সাধারণত পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগানো হয়।


গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে সেই তিনটি টোটোর একটির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে পালায় চোর। বয়াল-২ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নিবেদিতা বর্মন বলেন, “৯ তারিখ রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ১০ তারিখ আমাকে ফোন করে জানানো হয়। বলল ৩টে গাড়ির মধ্যে একটার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশও এসেছিল।”

যদিও পঞ্চায়েতের বিরোধী নেতা প্রশান্ত মণ্ডলের বক্তব্য, “খুবই হাস্যকর এটা। একটা অফিসের তালাবন্ধ ঘর থেকে চুরি। একটা বাচ্চাও বুঝবে কে বা কারা করেছে। এগুলো করানো হয়েছে। দুর্নীতি কোন জায়গায় পৌঁছেছে সেটা মানুষ বুঝতে পারছে। কয়েক মাস ধরে এই টোটো পড়ে আছে। আজও বিতরন হয়নি। আমাদের বিরোধীদের তো প্রধান মহাশয়া পাত্তাই দেন না। আজ পর্যন্ত কোনও আলোচনা পর্যন্ত করেননি। হয়ত ওনাদের নিজেদের মধ্যে কিছু হয়েছে, চুরি হয়ে গিয়েছে। এসব বোঝাই যায়। এটা চুরি না, নিজেরাই নিয়ে পালিয়েছে। নিজেরা নিয়ে গিয়ে বলছে চুরি হয়েছে। এভাবে চুরি হয়?”


এত বড় গ্রামপঞ্চায়েতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেই? প্রধান জানান, সিসিক্যামেরা রয়েছে পঞ্চায়েত অফিসে। তবে তা খারাপ। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বয়াল-২ গ্রামপঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। সেখানেই এই ঘটনা।

অভিযুক্ত চিকিৎসক শুধু চিকিৎসকই নয়, ওই বেসরকারি হাসপাতালে প্রশাসনিক পদেও আছে সে। মত্ত অবস্থায় দুই সঙ্গীকে নিয়ে তিনি চড়াও হয়েছিলেন ওই নার্সের উপর, এমনটাই অভিযোগ। হাসপাতালের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভিতর থেকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরাও।

 ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন নার্স! ব্যর্থ গণধর্ষণের চেষ্টা
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)

ব্লেড দিয়ে ডাক্তারের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন নার্স। আর তার জোরেই বেঁচে গেলেন তিনি। ব্যর্থ করে দিলেন গণধর্ষণের চেষ্টা। কলকাতার আরজি কর কাণ্ড যখন দেশব্যাপী ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে, সেই সময় আরও এক ন্যক্কারজনক টনার খবর এল বিহারের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। অভিযুক্ত চিকিৎসক শুধু চিকিৎসকই নয়, ওই বেসরকারি হাসপাতালে প্রশাসনিক পদেও আছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে, সমস্তিপুর জেলার মুসরিঘরারারি থানা এলাকায়। গঙ্গাপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারে নির্যাতিতা নার্স তাঁর সেই দিনের কাজ শেষ করছিলেন। সেই সময়ই তাঁর উপর চড়াও হয় হাসপাতালের অন্যতম প্রশাসক, ডা. সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহযোগী। তিনজনই মত্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় তারা তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।


ডা. সঞ্জয় কুমার এবং তার সঙ্গীদের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করার মরিয়া চেষ্টায়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন আক্রান্ত নার্স। এরপর প্রাণভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি হাসপাতালের বাইরে একটি মাঠে আত্মগোপন করেন। সেখানে লুকিয়ে থেকে তিনি পুলিশকে ফোন করেছিলেন। পুলিশের ডেপুটি সুপার, সঞ্জয় কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, নার্সের ফোন পেয়েই তাঁরা পুলিশের একটি দলকে ওই হাসপাতালে পাঠান। তারা গিয়ে প্রথমেই আক্রান্ত নার্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন। তারপর, অভিযুক্ত ডাক্তার-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডা. সঞ্জয় কুমার ছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত হলেন সুনীল কুমার গুপ্তা ও অবধেশ কুমার।


পুলিশ জানিয়েছে, নার্সকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করার আগে অভিযুক্তরা হাসপাতালের দরজাগুলিতে ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও বন্ধ করে দিয়েছিল। পুলিশের ডেপুটি সুপার বলেছেন, “আক্রান্ত নার্স যে সাহস এবং মনের জোরের পরিচয় দিয়েছেন, তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।” ঘটনাস্থ থেকে পুলিশ আধ বোতল মদ, নার্সের ব্যবহার করা ব্লেড, রক্তমাখা কাপড় ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নার্সের উপর চড়াও হওয়ার আগে, তারা মদ্যপান করেছিল। বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কাজেই যৌন হেনস্থার অভিযোগের পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মদ নিষেধের আইনেও অভিযোগ আনা হবে।

শনিবার পশ্চিমের জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতায়ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, টাইফুন ইয়াগির অবশিষ্টাংশ শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত ভাসাবে এপার বাংলা, ভারী বৃষ্টি জেলায় জেলায়
বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

 টাইফুনের অবশিষ্টাংশে আবারও দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা। বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার জেরে শুক্রবার-শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতা-সহ ৬ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

শনিবার পশ্চিমের জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতায়ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, টাইফুন ইয়াগির অবশিষ্টাংশ শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮০ থেকে ৯৪ শতাংশ। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশিরভাগ জেলাতে।

শনিবারেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।

রবিবারও কয়েক জেলায় ভারী বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে। যার জেরে উপকূলে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের এই টাইফুনই ধ্বংসলীলা চালায় চিন-ভিয়েতনামে।



আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৩৪ দিনে এসে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হওয়া খুব দরকার ছিল। কিন্তু হল না। কেন তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় সে প্রসঙ্গে বলেন, "এই আন্দোলন এখন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের। তাই আমরা মিটিংয়ের লাইভ টেলিকাস্টের দাবি করেছি।" যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলা সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”

চেয়ারটার প্রতি ভরসা রেখেই আমরা এসেছি', পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা
নবান্নের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা।


কলকাতা: আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাতের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও নবান্ন সভাঘরে ২ ঘণ্টার বেশি সময় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাক্ষাৎ হয়নি। কারণ, আন্দোলনকারী ডাক্তাররা চেয়েছিলেন বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং। তার অনুমতি নবান্ন দেয়নি। পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে বলেন। বারবার আন্দোলনকারীদের ‘ছোট ভাইবোন’ বলে সম্বোধন করে মমতা বলেন, “এরা এসেছিল বিচার পেতে নয়। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না।” যদিও মমতার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন না বলেই জানান আন্দোলনকারী ডাক্তাররা।

এদিন নবান্নচত্বরে দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “আমরা খুব বিনীতভাবে জানাতে চাই, ম্যাডাম আমরা চেয়ারের জন্য কোনও আলোচনা করতে আসিনি। আপনি ভাবলে ভুল ভেবেছেন। আমরা ন্যয় বিচারের দাবিতে এসেছিলাম। ৫টি দাবি নিয়ে সুষ্ঠু আলোচনার জন্য এসেছিলাম। উনি যে মন্তব্য করলেন তাতে আমরা খুব হতাশ হয়েছি। আমরা এরকম কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। চেয়ারটার প্রতি ভরসা রেখেই আমরা এসেছি।”

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৩৪ দিনে এসে আলোচনাটা ফলপ্রসূ হওয়া খুব দরকার ছিল। কিন্তু হল না। কেন তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় সে প্রসঙ্গে বলেন, “এই আন্দোলন এখন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের। তাই আমরা মিটিংয়ের লাইভ টেলিকাস্টের দাবি করেছি।” যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীর্ষ আদালতে যখন মামলা বিচারাধীন, মামলা সিবিআই দেখছে, সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না।”

ব্রিকস গোষ্ঠীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক চলছে রাশিয়ায়। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর), তারই ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন অজিত ডোভাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইউক্রেন সফরের আড়াই সপ্তাহ পর রাশিয়া সফরে গিয়েছেন অজিত ডোভাল। শোনা যাচ্ছে, তাঁর পকেটে রয়েছে ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা।

 পকেটে ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক অজিত ডোভালের
ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে হাত মেলালেন অজিত ডোভাল

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ব্রিকস গোষ্ঠীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক চলছে রাশিয়ায়। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর), তারই ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন অজিত ডোভাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইউক্রেন সফরের আড়াই সপ্তাহ পর রাশিয়া সফরে গিয়েছেন অজিত ডোভাল। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই দেশকে একসঙ্গে বসতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ভারত এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। তাহলে কি শান্তি ফেরানোর ফর্মুলা নিয়েই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন অজিত ডোভাল?


ভারতের রুশ দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিতে শেয়ার করেছে। ছবিতে ভ্লাদিমির পুতিন এবং অজিত ডোভালকে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, অজিত ডোভালের এই রুশ সফরের লক্ষ্যই হল রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর শান্তি পরিকল্পনা নিয়েই তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।



আরও জানা গিয়েছে, অজিত ডোভালের সঙ্গে আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী মাসে রাশিয়ার কাজানে বার্ষিক ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি, আগামী ২২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার প্রস্তাবও দিয়েছেন পুতিন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মস্কো সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেগুলি বাস্তবায়নের কাজ কতদূর এগোলো এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করা হবে অক্টোবরের বৈঠকে, এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ান দূতাবাস। পুতিনকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, “আমরা আমাদের ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর জন্য অপেক্ষা করছি এবং তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।”

শুধু পুতিনের সঙ্গেই নয়, গত বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন অজিত ডোভাল। ‘পারস্পরিক স্বার্থের’ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুজনে আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর), ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করে 'প্রশাসনের নিষ্পৃহতা' নিয়ে সরব হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের এই সংগঠন। ভিডিয়ো বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বাংলায় যে জুনিয়র ডাক্তার এবং আবাসিক ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তাহলে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামবে।


সরকার অনড়, দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের
আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা

 কলকাতার চিকিৎসকদের বিক্ষোভ নিয়ে রাজ্য সরকারের অনড় অবস্থান নিয়েছে। এমনটাই দাবি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এবার সরকারের এই অনড় মনোভাবের বিরোধীতা করে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল রেসিডেন্ট এবং জুনিয়র ডাক্তারদের জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর), ভুবনেশ্বর এবং বেঙ্গালুরু থেকে এদিন ভিডিয়ো বিবৃতি জারি করে ‘প্রশাসনের নিষ্পৃহতা’ নিয়ে সরব হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের এই সংগঠন। ভিডিয়ো বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বাংলায় যে জুনিয়র ডাক্তার এবং আবাসিক ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তাহলে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামবে। সেটা হরতাল হতে পারে, কর্মবিরতি হতে পারে, নির্দিষ্ট কোনও কর্মসূচি তারা ঘোষণা করেনি।

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে হতাশ অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট জুনিয়র ডক্টর্স জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন, কিন্তু চিকিৎসকদের দাবি মেনে সেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে অস্বীকার করেছে সরকার – এই প্রতিটি বিষয়েই তীব্র সমালোচনা করেছে জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরাম। সংগঠনের সদস্য, প্রজ্ঞা অনির্বাণ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন বর্তমানে সারা ভারতব্যাপী বিচারের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তাকে বিরোধী কন্ঠ রোধ করার মরিয়া চেষ্টা হিসেবে দেখা হবে এবং দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।”

সূত্রের খবর, শুধু রেসিডেন্ট জুনিয়র ডক্টর্স জয়েন্ট অ্যাকশন ফোরামই নয়, চিকিৎসকদের অন্যান্য সংগঠনও তাদের বিভিন্ন রাজ্য শাখার সঙ্গে আলোচনা করছেন। পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামতে পারেন। ‘প্রোগ্রেসিভ মেডিকোস অ্যান্ড সায়েন্টিস্টস ফোরাম’-ও এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করার যে দাবি পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তারা সেই দাবির পক্ষে আছে। পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসদের এই সংগ্রাম কর্মীদের সংগঠনের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছে তারা।


বর্তমানে ভারতে, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দারুণ জনপ্রিয় 'বুলডোজার বিচার'। কোনও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁর সম্পত্তির উপর চলে বুলডোজার। চলতি মাসের শুরুতেই একবার এই ধরনের বিচারের তীব্র সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কারও সম্পত্তি ধ্বংস করার ভিত্তি হতে পারে না। এই ধরনের পদক্ষেপ, আইনের উপর বুলডোজার চালানোর সামিল।

দেশের আইনের উপর বুলডোজার...', 'যোগীর দাওয়াই' নিয়ে সরব সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট।

‘বুলডোজার বিচার’। বর্তমানে ভারতে, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দারুণ জনপ্রিয় এই বিচার ব্যবস্থা। কোনও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁর সম্পত্তির উপর চলে বুলডোজার। চলতি মাসের শুরুতেই একবার এই ধরনের বিচারের তীব্র সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার ফের একবার এই ধরনের সরকারি পদক্ষেপের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কারও সম্পত্তি ধ্বংস করার ভিত্তি হতে পারে না। এই ধরনের পদক্ষেপ, আইনের উপর বুলডোজার চালানোর সামিল।

জাভেদ আলি মেহবুবামিয়া সইদ নামে গুজরাটের খেড়া জেলার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে একটি জমি দখল করে সেখানে বাড়ি বানানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পৌরসভার আধিকারিকরা এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং বুলডোজার দিয়ে তাঁর পারিবারিক ভিটে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। সইদের আইনজীবী আদালতে জানান, বিতর্কিত বাড়িটি কাঠলাল গ্রামের। সেখানকার রাজস্ব রেকর্ড অনুযায়ী, তাঁর মক্কেল ওই জমির সহ-মালিক। ২০০৪ সালের অগস্টে গ্রাম পঞ্চায়েত ওই জমিতে একটি বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছিল। তাঁর মক্কেলের পরিবারের তিন প্রজন্ম গত দুই দশক ধরে সেখানেই থাকে।

গত ২ সেপ্টেম্বর, অন্য এক মামলার শুনানিতে 2শে সেপ্টেম্বর, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের এক বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল, কীভাবে শুধুমাত্র একজন অভিযুক্ত বা অপরাধী হলে কারও বাড়ি ভেঙে ফেলা যায়? সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এইভাবে বাড়ি ভাঙার আগে, কিছু নির্দেশিকাগুলির অনুসরণ করতে হবে। একটি নির্দেশাবলীর প্রস্তাবও দিয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সেই আদেশও উদ্ধৃত করেন সইদের আইনজীবী।


দুই পক্ষের শুনানির পর, বেঞ্চ জানায়, যে দেশে আইনের শাসন রয়েছে, সেখানে কোনও পরিবারের একজন সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে, পরিবারের অন্য সদস্যদের বা তাদের আইনত নির্মিত বাসস্থানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। বেঞ্চ জানিয়েছে, সইদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা আদালতে প্রমাণ করতে হবে। বেঞ্চ বলেছে, “এই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের হুমকির বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না আদালত। আইনের শাসন রয়েছে এমন কোনও দেশে এটা অকল্পনীয়।” এই বিষয়ে গুজরাট সরকারকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সইদের বাড়ি ভাঙা যাবে না।

প্রসঙ্গত, বুলডোজার চালানোর এই প্রথা চালু করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যার দৌলতে তাঁর নাম হয়ে গিয়েছে বুলডোজার বাবা। এরপর, বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যগুলিও তাঁর দেখানো পথই অনুসরণ করেছে।

 অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল। সিবিআই-এর দায়ের করা দিল্লির আবগারি নীতি 'কেলেঙ্কারি' মামলায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই মানল সুপ্রিম কোর্ট।

জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল! ছয় মাস পর আসছেন জেলের বাইরে
অবশেষে জামিন পেলেন কেজরীবাল


অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিবাল। সিবিআই-এর দায়ের করা দিল্লির আবগারি নীতি ‘কেলেঙ্কারি’ মামলায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেছিলেন কেজরীবাল। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই মানল সুপ্রিম কোর্ট। যেহেতু, এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, তাই আপ প্রধানের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। কেজরীবাল জামিনে জেলের বাইরে এলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আশঙ্কাকে গুরুত্বই দিল না সুপ্রিম কোর্ট।

গত ৫ অগস্ট সিবিআই-এর দায়ের করা এই মামলায়, মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিবাল। ইডির হেফাজতে থাকাকালীনই, ২৬ জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর আগে, ১২ জুলাই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ইডি যে মামলা দায়ের করেছিল, সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন কেজরীবাল। গত ২১ মার্চ, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন সিবিআই-এর মামলাতেও জামিন পাওয়ায় ছয় মাস পর অবশেষে জেল থেকে বের হচ্ছেন আপ প্রধান, অরবিন্দ কেজরীবাল।

২১ মার্চ কেজরীবালকে গ্রেফতার করা হলেও, নির্বাচনের সময় প্রচার করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল কেজরীবালকে। সেই সময় দিল্লি ও হরিয়ানায় লোকসভা ভোটের প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে, ভোট পর্ব মেটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আবার ফিরে যেতে হয়েছিল কারাগারে।


২০২১-২২ সালে দিল্লি সরকারের এক নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করেছিল। এই ক্ষেত্রে কেজরীবাল-সহ আপ নেতারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। নয়া আবগারী নীতিটি পরে বাতিল করা হলেও, তদন্তে একের পর এক আপ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরীবাল ছাড়াও ইডি-সিবিআই-এর নজরে রয়েছে আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। সিবিআই এবং ইডি-র মতে, আবগারি নীতি সংশোধন করার সময় অনিয়ম করা হয়েছিল এবং লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।

 প্রায় ২০০ পাতার উত্তরপত্র উদ্ধার বলে খবর। এই উত্তরপত্রের কপি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে টেন্ডারের কপি, দলিল, সম্পত্তির কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে ইডি, দাবি সূত্রের।


সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল উত্তরপত্র! খবর ইডি সূত্রে
সন্দীপের শ্যালিকার বাড়ি থেকে নথি উদ্ধার।



আরজি কর দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়ে ইডির হাতে এবার নয়া তথ্য। সূত্রের খবর, পরীক্ষার উত্তরপত্রের কপি হাতে পেয়েছে ইডি। উদ্ধারস্থল সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার ফ্ল্যাট। সূত্রের খবর, বিপুল পরিমাণে উত্তরপত্রের কপি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ২০০ পাতার উত্তরপত্র উদ্ধার বলে খবর। এই উত্তরপত্রের কপি নিয়ে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ইডি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে টেন্ডারের কপি, দলিল, সম্পত্তির কাগজপত্রও উদ্ধার করেছে ইডি, দাবি সূত্রের।

আরজি করের দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। সন্দীপ গ্রেফতার হতেই একের পর এক তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে। শুধু সন্দীপ নন, এই দুর্নীতি মামলায় তাঁর একাধিক আত্মীয় তদন্তকারীদের স্ক্য়ানারে। একাধিকবার সন্দীপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।

সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ এবং শ্যালিকা অর্পিতা বেরাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তার আগে শ্যালিকার বাড়িতে প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশি করেছে। উদ্ধার হওয়া একাধিক নথি নিয়ে শ্যালিকাকে এজেন্সির আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি সন্দীপের শ্যালিকার। সেখান থেকেই বিপুল উত্তরপত্র মেলে বলে খবর।


এর আগে শ্যালিকার বাড়ির পাশেই যেখানে সন্দীপের শ্বশুর শাশুড়ি থাকেন, সেখান থেকে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত সন্দীপের শ্যালিকাও ইএসএআই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ডাক্তার। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার স্বামী এসএসকেএমের একজন ডাক্তার। প্রশ্ন উঠছে, এত উত্তরপত্র সেখানে কেন?

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “কত বড় জালিয়াতি, দুর্নীতি, একে একে সব বেরোচ্ছে। সন্দীপ ঘোষ একা নয়, গোটা পরিবার যুক্ত। প্রথম থেকেই বলছি, এটা একটা সিন্ডিকেট। সন্দীপরা মাঝের অংশ। নিচে কিছু স্যাঙাত আছে, উপরে আছে মাথারা। এই শ্যালিকা আবার দেশছাড়া না হয়ে যান।”

ভারতীয় নৌবাহিনী পেল আরও দুটি অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটারক্রাফট 

কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি দুটি অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটারক্রাফট পেল ভারতীয় নৌবাহিনী। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনী হাতে রয়েছে পাঁচটি উন্নত মানের ডুবোজাহাজ। তৈরি হচ্ছে আরও ৩ টি।

 আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুটি উন্নত মানের যুদ্ধ ডুবোজাহাজ উদ্বোধন করেন বিজয়া শ্রীনিবাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান ভি শ্রীনিবাস । উপস্থিত ছিলেন কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান সহ নৌবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। 
২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ৮টি উন্নতমানের যুদ্ধ ডুবোজাহাজ বানানোর চুক্তি হয়।

৯০০ টনের এই ডুবোজাহাজগুলির দৈর্ঘ্য ৭৮ মিটার লম্বা প্রস্থ ১১. ৩৬ এবং ড্রাফট ২.৭ মিটার। কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি দুটি অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটারক্রাফটগুলি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সর্বাধিক গতি ২৫ নট এবং সহনশীলতা ১৮০০ নটিক্যাল মাইল। 'আইএনএস মালপ' এবং 'আইএনএস মুলকি' নাম দেওয়া হয়েছে এই দুই জাহাজের।

আবারও ইয়োলো বেলিড সাপ দেখাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ালো নামখানার মৌসুনীতে

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নামখানা ব্লকে বকখালীর পরে এই বার মৌসুনীতে এই বিষাক্ত সাপের দেখাতে পাওয়া গেলো। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বকখালি সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলে ছিল সাপটির তারপর গতকাল মৌসুনী বটতলা নদীর চরে সাপটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল এলাকার ছেলেরা বটতলা নদীর চরে ফুটবল খেলার সময় সাপটি দেখতে পায় এবং মোবাইলে ছবিও তোলে সাপটির। 
স্থানীয়দের দাবি এই সাপটি এর আগে কখনও দেখেনি তারা, এই প্রথম মৌসুনী এলাকায় দেখা মিলেছে এই সাপটির। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষ জন থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।


স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার