যে সমস্ত পুরসভার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দমদম, রয়েছে কামারহাটি পুরসভাও। দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখোমুখি হয়েছেন।

'বেআইনি হলেও চাকরি তো হয়েছে, ছেলেরা দু'টো খেতে পাচ্ছে', বলছেন মদন মিত্র
বিধায়ক মদন মিত্র।


কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে। এ রাজ্যে শুধু শিক্ষক নিয়োগই প্রশ্নের মুখে নয়, একইসঙ্গে রাজ্যের একাধিক পুরসভার নিয়োগও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের আতসকাচের নিচে। এরমধ্যে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “বেআইনি করে হলেও চাকরি তো হয়েছে। ছেলেরা খেতে পাচ্ছে দু’টো।”

যে সমস্ত পুরসভার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দমদম, রয়েছে কামারহাটি পুরসভাও। দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদেরও মুখোমুখি হয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ নিয়েও। এই কামারহাটি পুরসভা পড়ে কামারহাটি বিধানসভার মধ্যে। যার বিধায়ক মদন মিত্র। এই দুর্নীতি নিয়ে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমি এমন একজন বিধায়ক জীবনে পুরসভার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনি। নাকও গলায়নি। এটা আমার বিষয় নয়।”

মদনের দাবি, তিনি খুব বেশি হলে ময়লা জমে থাকা বা রাস্তাঘাট নোংরা, জল জমা নিয়ে বলেন। এর বাইরে তিনি পুরসভাকে কোনও বিষয়ে কিছু বলেন না। মদন মিত্র বলেন, “পুরনিয়োগ নিয়ে আমি কিছু বলতেই পারব না। যদি কোনও বেআইনি হয়ে থাকে তা অন্যায়। তবে বেআইনি করে হলেও চাকরি তো হয়েছে। ছেলেরা দু’টো খেতে পাচ্ছে। বেকারত্বের জ্বালা থেকে আমি একটা ফিল করছি। তবে অন্যায়টা অন্যায়ই। আমি একজন বিধায়ক, আমি তো অন্যায়টা ন্যায় বলতে পারি না। তবে আমার কামারহাটি নিয়ে এটুকু বলতে পারি, আমার কাছে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours