প্রবল বৃষ্টির জন্যই নেমেছে এই ধস। শুধুমাত্র ধস নয়, আরও একাধিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খলা হয়েছে।
বোল্ডার সরালেই বেরিয়ে আসছে দেহ, মৃত অন্তত ৪০, ছবির মতো উপত্যকা ওয়েনাড যেন শ্মশানপুরী
দক্ষিণ ভারতে ভয়াবহ বিপর্যয়। পাহাড়ে ধস নেমে মৃত্যু হল অন্তত ৪০ জনের। আটকে আছে শতাধিক মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেরলের ওয়েনাডের ঘটনা। পাহাড়ে ঘেরা এই উপত্যকা যেন ছবির মতোই সুন্দর। বিশেষ বর্ষাকালে ওই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টানে অনেক পর্যটককে। মধ্যরাতের প্রবল বৃষ্টিতে সেখানেই ঘটে গেল এই বিপর্যয়। বৃষ্টির মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে একে একে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে আটকে পড়া মানুষজনকে। উদ্ধারকারী দল বের করে আনছে একের পর এক দেহ। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গড়িয়ে পড়া বোল্ডার।
জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সব সরকারি সংস্থা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রশাসনের তরফে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে আটকে থাক লোকজনকে দ্রুত বের করে আনা সম্ভব হয়। রাজ্যের মন্ত্রীরাও একে একে পৌঁছচ্ছেন ওই পাহাড়ি এলাকায়।
প্রবল বৃষ্টির জন্যই নেমেছে এই ধস। শুধুমাত্র ধস নয়, আরও একাধিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খলা হয়েছে। দুটি নম্বর চালু করা হয়েছে, যেগুলিতে যোগাযোগ করে খোঁজ নেওয়া যাবে। নম্বর দুটি হল- ৯৬৫৬৯৩৮৬৮৯ ও ৮০৮৬০১০৮৩৩।
কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও এনডিআরএফের টিম পৌঁছে গিয়েছে ধসে বিপর্যস্ত এলাকায়। আরও বেশি এনডিআরএফ টিম পাঠানো হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। বৃষ্টি বন্ধ হয়নি, ফলে উদ্ধারকাজ চালানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। কতজন ভিতরে আটকে আছেন, তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে শতাধিক মানুষ আটকে আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে চালিয়ার নদী। মালাপ্পুরমের নীলাম্বুরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেই নদী। খরস্রোতা নদীতে অনেকে ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। ধসে চাপা পড়ে গিয়েছে একাধিক দোকান, কারও গাড়ি, কারও বাইক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours