সুন্দরবনে নদী অবরোধ করে বিক্ষোভ মৎস্যজীবীদের। 
  

 সুন্দরবন : বনদপ্তর বেআইনিভাবে মৎস্যজীবীদের হয়রানি করছে। নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের বেআইনি ভাবে  বন্য জীবজন্তু আটক রাখার কেস দিয়ে তাদের নৌকা বাজেয়াপ্ত করছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দেশি-বিদেশি কর্পোরেট হাউস গুলো উন্নত মানের যন্ত্র চালিত নৌযান নিয়ে বনদপ্তরের সাহায্যে তারা সারা বছর সমুদ্রে মাছ ধরে চলছে। বনদপ্তরই তাদের সহযোগীতা করছেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভ কারি মৎস্যজীবীদের।
কর্পোরেট হাউসদের উন্নত প্রযুক্তির কাছে মার খাচ্ছে গ্রামীণ মৎস্যজীবীরা। পুরুষানুকক্রমে আজ ও যারা এ পেশার সাথে জড়িত তারা আজ বিপন্ন, এমনই দাবি সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ও মৎস্য কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে।
একাধিক দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের বনদপ্তরের চুলকাটি ক্যাম্পের সামনে নদী অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মৎস্যজীবীরা। 
 মৎস্যজীবী ইউনিয়নের ডাকে এদিন কয়েকশ নৌযান নিয়ে মৎস্যজীবীরা নদী অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। 

সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ও মৎস্য কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন ময়রা জানান, ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমস্যার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনদপ্তর আধিকারিক কে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। এবং চুলকাটি বিট অফিসারের সাথে আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম আজকে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী। কয়েকশ  পুরুষ ও মহিলা মৎস্যজীবীও হাজির হয়েছিল দূরদূরান্ত থেকে। তারা চায় আলোচনা সাপেক্ষে সুস্থভাবে জীবন জীবিকা করতে।কিন্তু অফিসার গেটে তালা লাগিয়ে ভিতরে ছিলেন। আমাদের সাথে সামনাসামনি কথা বলতে চায়নি। মৎস্যজীবীদের দাবি নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ও মৎস্য কর্মচারী ইউনিয়ন।

এদিন নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি সহ বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবীরা উপস্থিত হয়। তারা জানায়, এই বনদপ্তরের স্যার আমাদের উপরে জুলুম করে। অযথা টাকার দাবি করেন। আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে কোনরকমে সংসার চালাই। এটা যদি না করতে পারি তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে, নইলে ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে ছুটতে হবে।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours