তোমার বাবা খুব টর্চার করেছেন, আমাকে হাসতে হাসতে বলেছিলেন বুদ্ধবাবু’, লিখলেন সাংবাদিক অনির্বাণ চৌধুরী


 যেদিন সিঙ্গুরের জমি নিয়ে নোটিফিকেশন বেরোল, রাতের মধ্যে হাজারটা অবজেকশন এসেছিল। অনিচ্ছুকদের সেই চিঠি। এটা অগস্টেই। এরপর তো আরও সময় গিয়েছে। তখন ভেবেছিল, ২৩৫ তো, ম্যানেজ করে দেব। এররিং জাজমেন্ট আর আমলাদের প্রতি অতি নির্ভরশীলতায় এমনটা হয়েছিল। আসলে আমলারা তো আমলাদের মতো করেই দেখবেন। 


অনেকেই বলছেন বুদ্ধদেববাবু ট্র্যাজিক হিরো বা নানারকম সম্মান বা অসম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। আমার কাছে বুদ্ধবাবু একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, যিনি নিজের চোখের সামনে নিজের স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটতে দেখেছেন। সে অর্থে হয়ত তিনি ট্র্যাজিক হিরো। তবে ট্র্যাজিক কি ট্র্যাজিক না, হিরো কি হিরো নন, সেটা তর্কের বিষয়। আজকের দিনে সেটা আলোচনার বিষয় নয়। তবে আমরা যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখি, আমরা তখন তরুণ। তখন বুদ্ধবাবুও মন্ত্রিসভায় এসেছেন, আমরাও এই পেশায় এসেছি। ১৯৮৭ হবে। তখন প্রবল পরাক্রমশালী একটা বামফ্রন্ট সরকার। সেখানে প্রবল প্রতাপশালী মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু।

আমরা তখন নবীন রিপোর্টার। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে খুব একটা যাওয়ার সুযোগ পেতাম না। সেখানে যাওয়া মানে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া। সিনিয়ররা অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে আমরা যেতাম। আমার চোখে বুদ্ধবাবু আর জ্যোতিবাবুকে ‘স্টার্ক কনট্রাস্ট’ বলে মনে হতো। আমার মনে হয়েছে, জ্যোতি বসু একজন ‘ডিটাচড ইন্ডিভিজুয়াল’। কোনও খারাপ অর্থে নয় কিন্তু এটা। আমলা বা পার্টির উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বেশি স্বচ্ছন্দ্য।

খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকলে, জ্যোতি বসুকে রিপোর্টারদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়নি। এসি ঘর থেকে বেরিয়ে নন এসি জ়োনে বেরোনোর পরই পাঞ্জাবির খুটটায় চশমা মুছতে মুছতে লিফ্টে উঠে যেতেন। কোনও প্রশ্ন করলে তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন উনি মনে করতেন না। মুড ভাল থাকলে দিতেন।

অন্যদিকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনেক বেশি ‘অ্যাপ্রচেবল’। তবে রিপোর্টারদের কাঁধে হাত দিয়ে গল্প করতে করতে বেরোতেন এমন না। উনি যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, পুরমন্ত্রী ছিলেন, জ্যোতিবাবুর ঘরের আগের ঘরই ছিল বুদ্ধদেববাবুর। চারটে সাড়ে চারটে নাগাদ তিনজন রিপোর্টার অবশ্যই যেতেন। স্টেটসম্যানের মারকাস দাম, উদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ইউএনআইয়ের রূপমদা। আলোচনা করতেন। ওনারা বেরোলেই আমরা হইহই করতাম, কী খবর দিলেন? ওনারা বলতেন কিচ্ছু না। নির্ভেজাল আড্ডা দিয়ে এলাম। আড্ডার বিষয় হল ক্রিকেট।

তখন আমি একটা চ্যানেলে। আলিমুদ্দিনে ওনাকে ইন্টারভিউ করতে গিয়েছিলাম। উনি যখন বসছেন একটা সিগারেট ধরালেন, সিগারেটটা খেয়ে নিই। কবিতা, রাজনীতির পর তৃতীয় দুর্বলতা যদি কিছু থাকত সেটা বোধহয় সিগারেট। সেই সিগারেটই তাঁর ফুসফুসটাকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল।

উনি আমার বাবাকে চিনতেন। সেদিন ইন্টারভিউটা শুরু করছি, উনি বললেন একটু দাঁড়াও, একটু দাঁড়াও। সেদিন দেখেছিলাম অনবরত উসখুশ করছিলেন স্কোর জানার জন্য। তবে ক্যামেরা অন হতেই কিন্তু অন্যরকম। একেবারে গাম্ভীর্যপূর্ণ চেহারা। এটাই উনি। উনি খুব আড্ডাপ্রিয় মানুষ ছিলেন।

জ্যোতি বসুও আড্ডা দিতেন, তবে আড্ডা মারতেন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সঙ্গে, রুসি মোদীর সঙ্গে। দোষ নয়। লন্ডনে যাঁরা ওনার বন্ধু ছিলেন তাঁদের সঙ্গে আড্ডায় স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন। বুদ্ধদেববাবুর ফিল্মও প্যাশন ছিল। তাই নন্দনে প্রায়ই সন্ধ্যাবেলা যেতেন। আমাদের শহরে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়ত এখন কলেবরে অনেক বড়। কিন্তু শহরে একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হওয়া দরকার যে, সেটার কিন্তু মূল উদ্যোক্তা উনিই ছিলেন। নন্দনে প্রতিটা ছবি দেখতেন, ইতিহাস জানতে চাইতেন। আবার সাহিত্যচর্চা, মায়াকোভস্কির কবিতা পড়া, সবই করতেন।

ওনার মৃত্যুর পরে দেখছি এই যে মানুষের আবেগটা বেরিয়ে আসছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে, সেটা কিন্তু লক্ষ্যনীয়। এই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বললেন। দেখতে গেলে রাজনীতিতে তো চরম শত্রু, কিন্তু আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন সেটায় আমার কেন জানি না মনে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মনের কোণে কোথাও একটা জায়গায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সেই জায়গায় তিনি অটলই থেকে গিয়েছেন।

ভারতবর্ষের একটা ট্রেন্ড আছে, রাজনীতিবিদদের প্রবল প্রতিপক্ষ হলে, খারাপভাবে সেটা শেষ হয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আজ স্মৃতিচারণ করছিলেন, ওনার খারাপ লাগাটা কিন্তু প্রকাশ পেয়েছে। আর এটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অর্জন করেছেন। রাজনীতিবিদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী পর্যালোচনা হবে সেটা আলোচনার দিন আজ নয়।

তবে প্রথমেই যেটা বলছিলাম, উনি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। রিপোর্টার হিসাবে আমরা যেটা দেখেছি, সে সময় মসনদে জ্যোতি বসু। প্রবল প্রতাপশালী বাম সরকার। কিন্তু যতদিন গিয়েছে, বুদ্ধদেববাবুর মতো মানুষকে দেখেছি। উনি ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, বেকারত্ব নিয়ে। ওনার স্লোগান হল ‘ডু ইট নাও’। কারণ উনি বুঝতে পেরেছিলেন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে কাজ হচ্ছে না। উনি বুঝতে পেরেছিলেন বাবুরা আসেন ১২টায়। ক্যরাম খেলে আড্ডা মেরে ৪টেয় বাড়ি চলে যান। ওনার কথাবার্তায় বেরিয়ে আসত, আমরাও বুঝতাম। উনি তো বলেছেনও, এমন একটা দল করি, যারা বনধ্ করে। স্বপ্নের ফেরিওয়ালার স্বপ্নের অপমৃত্যু। ওনার খেদ ছিল, একটা প্রবল পরাক্রমশালী দল হয়েও কেন বেকারত্ব কমানো যাচ্ছে না। কেন চাকরি বাড়ানো যাচ্ছে না।

আজকের দিনে পশ্চিমবাংলার দু’টো জরুরি জিনিস হল ছেলেমেয়েদের চাকরি, শিল্পায়ন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মক্ষমতা বাড়ানো। এগুলি তিনিও অনুভব করেছিলেন। এ নিয়ে কাজও করেছিলেন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামটা যদি ধরি। সিঙ্গুর ২০০৬ সাল। ২৩৫ সিট নিয়ে এলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শপথ নিয়েই রতন টাটার সঙ্গে মিটিং। মে, জুন, সেপ্টেম্বর সিঙ্গুরে অশান্তি শুরু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা। নন্দীগ্রাম শুরু হয়ে গেল।

১৩ মে পুলিশ ফায়ারিং। ২৩৫ জন বিধায়ক নিয়ে একটা সরকার সাত-আটমাসে স্পষ্ট করে দিল তারা চলে যাচ্ছে। বুদ্ধদেববাবু নিজের স্বপ্নকে চেস করার একটা ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছিলেন। আর সময় নেই, আমাকে এগুলো করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুলির মুঠি ধরে তুলে দেওয়া উচিত কি না, তাঁকে ধরনায় বসতে দেওয়া উচিত কি না এটা পরের ব্যাপার। বুদ্ধদেববাবুর ভুল ধরার মতো ধৃষ্টতা আমার নেই। তবে যেটা মনে হয়েছে, সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যু। প্রচুর লোকের সামাজিক, অর্থনৈতিক রুটিরুজির সঙ্গে জড়িত ইস্যু। সেটা উনি প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে গিয়ে সমস্যাটা করে ফেলেছিলেন।

তখন টেলিভিশনের রমরমা। প্রত্যন্ত গ্রামের সিপিএমেরই চাষিরা চোখের সামনে দেখছেন, আমারই মতো কাউকে ফেলে পেটাচ্ছে আমার সরকারের পুলিশ। ছবিটায় ভয় ধরাল তাঁর মানে। সিপিএম কিছু করার আগে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করে। এই অ্যাপ্রোচটা একরকম। তোমার জমির দাম নিয়ে তুমি দেখো, সেগুলো অন্যরকম। রাজনৈতিকভাবে বিষয়টা যদিও বা সামাল দেওয়া যেত। বুদ্ধদেববাবু এসডিও, ডিএমকে দায়িত্ব দিলেন। যাদের এই বিষয়টায় কোনও আবেগের জায়গাই নেই। দায়বদ্ধতা নেই। কাজ দেওয়া হয়েছে জমি খালি করার, সে যাবে জমি খালি করে চলে আসবে।

বুদ্ধদেববাবু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশাসনের উপর বেশি ভরসা রেখেছিলেন। এমনকী পলিটব্যুরোও জানত না, এরকম একটা ঘটনা বড় হচ্ছে। আমি শুনেছি, জ্যোতি বসু একেবারে শেষবেলায় জানতে পেরে নাকি বলেছিলেন, কৃষকসভা জানত? সেটা নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক।

বুদ্ধদেববাবু কিন্তু রোজ আলিমুদ্দিন যেতেন। কিন্তু না বুদ্ধদেববাবু বলেছেন না পার্টির কেউ জানতে চেয়েছেন, কী শুনছি অমুক জায়গায়, কী হয়েছে। গোলমাল যখন চরমে তখন পার্টি নামল। ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

অনিল বিশ্বাসের না থাকাটা অনেকে সে সময় মনে করেছেন। ডেডলি কম্বিনেশন অনিল-বুদ্ধ। হরিহর আত্মা বুদ্ধ-অনিল-বিমান। আমারও মনে হয়, সে সময় বুদ্ধবাবুর একটা আলাদা আত্মবিশ্বাসের জায়গা ছিল। ২৩৫ আসন নিয়ে এসেছেন, টাটাদের সঙ্গে মিটিং করছেন, সিঙ্গাপুর চলে যাচ্ছেন, একেবারে ব্র্যান্ড বুদ্ধ ইমেজ। সেই সময় পার্টিতে কারও আপনি কী করছেন একটু শুনি, প্রশ্নটা করার কারও হিম্মত ছিল না। অনিল বিশ্বাস প্রয়াত, বিমান বসু পার্টি পলিটিক্স নিয়েই ব্যস্ত। বিমান বসু ধরতেই পারেননি। সকলেই হয়ত ভেবেছিলেন, ২৩৫টা এমএলএ, যা খুশি করব আমরা।

সেটায় যে কোনও বাধা আসতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন রাজনীতিক এমন কাজ করতে পারেন সেটা বুদ্ধদেববাবু ধরতে পারেননি। পরে সিপিএম পর্যালোচনায় ধরতে পেরেছিল। চাষির মধ্যে যে ভয়, সেটা উনি ধরতে পারেননি। হঠাৎ করে একজন চাষিকে বলা হলে, কাল থেকে তুমি কারখানার কর্মী। এমনটা হয় নাকি? আমলাতান্ত্রিক ট্র্যাপে পড়ে গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। দলও ধরতে পারেনি।

যেদিন সিঙ্গুরের জমি নিয়ে নোটিফিকেশন বেরোল, রাতের মধ্যে হাজারটা অবজেকশন এসেছিল। অনিচ্ছুকদের সেই চিঠি। এটা অগস্টেই। এরপর তো আরও সময় গিয়েছে। তখন ভেবেছিল, ২৩৫ তো, ম্যানেজ করে দেব। এররিং জাজমেন্ট আর আমলাদের প্রতি অতি নির্ভরশীলতায় এমনটা হয়েছিল। আসলে আমলারা তো আমলাদের মতো করেই দেখবেন। পার্টির মতো তো দেখবেন না।

আমি তিনবার ইন্টারভিউ করেছি বুদ্ধদেববাবুর। খুব ভদ্র, মার্জিত এবং সব থেকে বড় ব্য়াপার কী প্রশ্ন করা হবে তা আগাম জানতে চান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, মাওবাদী নিয়ে। একটু রাগত স্বরে বলেছিলেন, খালি মাওবাদ মাওবাদ করছেন। ৩০০-র বেশি ব্লক, ৮টা ব্লকে হয়ত গোলমাল হয়েছে। কী মাওবাদ মাওবাদ করছেন। উনি কিন্তু খুব ধৈর্য ধরে প্রশ্ন শুনতেন, জবাবও দিতেন গুছিয়ে।

একবার মনে আছে, আমার বাবাদের এক দাদা স্থানীয় ভদ্রলোক ছিলেন মনোজ ভট্টাচার্য। উনিও সাংবাদিক ছিলেন। ওনার বাড়িতেও যেতেন। উনি বুদ্ধদেববাবুর কাকা। বাবার কাছে শুনেছি, মনোজবাবুদের বাড়িতে আড্ডা মারতেন বাবারা। সে সময় ছোট্ট বুদ্ধ খেলাধূলো করতেন। বাবারা সকলে মিলে আলমারির উপরে তুলে দিতেন। ১০-১১ বছর হবে। গীতাঞ্জলি থেকে অনর্গল কবিতা বলতেন। সেটা শুনতেই ওই আলমারির উপরে তুলে দিতেন। এরপরও আরও দু’ একটা বললে তারপর ছুটি। আমাকে বলেছিলেন একবার, তোমার বাবা খুব টর্চার করেছেন আমাকে।

তখন গল্পটা বলেন। ঘুড়ি ওড়াতে ভালবাসতেন খুব। মনোজবাবুর স্ত্রীর কাছে শোনা, মাটনের খুব ভক্ত ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। খাদ্যরসিক না। তবে খেতে ভালবাসতেন। সাহিত্যের প্রতি প্রেম সেই ছোট্ট থেকেই। আমার মতে উনি চেষ্টা করেছিলেন টিপিকাল মডিউলটা বদলাতে। আমি তোমাদেরই লোক না। ওটা তো বলতে ভাল লাগে। কিন্তু কিছু বেসিক ইস্যু উনি ধরার চেষ্টা করেছিলেন। বামফ্রন্টের যে ইস্যু ছিল, আজও সেটাই দেশজুড়ে ইস্যু।

বিপরীতধর্মী মতাদর্শে থাকলেও কেন্দ্র থেকে উনি কিন্তু যথেষ্ট কিছু আদায় করে আনেন। সে সিপিএম, কে কংগ্রেস তা কিন্তু দেখে কিছু করেননি। আমার কাছে বুদ্ধদেববাবু সেই মানুষ যিনি অত্যন্ত সদিচ্ছা-সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেক কিছু পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। ইমোশন দিয়ে এবং ইমোশন না দিয়ে। তবে হতাশ তিনি নিজের দ্বারাই হয়েছিলেন।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours