কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হলে বিতর্ক তৈরি হতে পারে সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে ভিডিয়োগ্রাফি সহযোগে দেহের ময়নাতদন্তের পর বধূর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।


মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ, সাপের কামড়ে মৃত্যু তত্ত্ব খাঁড়া করে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা?
মহিলার দেহ ঘিরে চাপানউতোর


 বাঁকুড়া: আরজি কর কাণ্ডে যখন গোটা দেশ তোলপাড় সেই আবহে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে বধূর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক এড়াতে গতকালই মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে না করিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে করায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান খুন নয়, জঙ্গলের মধ্যে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বিষধর সাপের কামড়ে।

জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়ে গত শনিবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বছর পঁয়তাল্লিশের এক গৃহবধূ। রবিবার গ্রাম লাগোয়া গভীর জঙ্গলে বধূর অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাধারণত বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় কোনও ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত করা হয়।

কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হলে বিতর্ক তৈরি হতে পারে সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে ভিডিয়োগ্রাফি সহযোগে দেহের ময়নাতদন্তের পর বধূর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সূত্রের খবর ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা ওই বধূর মৃত্যুর কারণ হিসাবে প্রাথমিকভাবে বিষধর সাপের কামড়কেই দায়ী করেছেন। যদিও ওই বধূকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেই এখনও মনে করছে মৃতার পরিবার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours