গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা স্বস্তিক চিকারা সময় নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। সমীর রিজভির নেতৃত্বাধীন কানপুরের বোলিং লাইন আপ ভালো হলেও রিঙ্কুদের ব্যাটিংও ততটাই শক্তিশালী। তার উপর এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন রিঙ্কুরা। স্বস্তিক ১৩ বলে ২৩ রানে ফিরতেই অস্বস্তি বাড়ে।
উবেশকে নিয়ে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি জুটি, রিঙ্কু সিং যেন 'ক্যাপ্টেন কুল'
কেউ বলেন, মিস্টার নট আউট, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো ফিনিশারের তকমা জুটেই গিয়েছে। এ বার কি ক্যাপ্টেন কুলের তকমাও জুড়বে রিঙ্কু সিংয়ের নামের পাশে? কানপুর সুপারস্টারের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল মিরাট ম্যাভেরিক্স। ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়লেন মিরাটের ক্যাপ্টেন। শুধু খেললেন বললে ভুল হবে, তরুণ ব্যাটার উমেশ আহমেদকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেখালেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী কী ভাবে খেলতে হয়। শেষ ১৫ বলে ৩ রান প্রয়োজন ছিল মিরাট ম্যাভেরিক্সের। উবেশের ব্যাটে উইনিং শট। রিঙ্কু খেললেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে ম্যাচ ফিনিশ করলেন রিঙ্কু সিং ও উবেশ আহমেদ। ৩৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত রিঙ্কু, উবেশ ৩৪ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত।
টানা দ্বিতীয় জয়। বাড়তি প্রশংসা প্রাপ্য মিরাট ম্যাভেরিক্সের লেগস্পিনার জিশান আনসারির। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন ম্যাভেরিক্সের লেগস্পিনার জিশান আনসারি। নিয়েছিলেন তিন উইকেট। এই ম্যাচে নেন পাঁচ উইকেট। তাঁকে ইনিংসের দ্বিতীয় পার্টে ব্যবহার করেন ক্যাপ্টেন রিঙ্কু সিং। দু-ম্যাচে আট উইকেট জিশানের ঝুলিতে। একটা সময় মনে হয়েছিল বোর্ডে হয়তো ১৭০-১৮০ রানের টার্গেট থাকবে। জিশানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কানপুর সুপারস্টার্সের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৫৩।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে মিরাট ম্যাভেরিক্স। তবে গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা স্বস্তিক চিকারা সময় নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। সমীর রিজভির নেতৃত্বাধীন কানপুরের বোলিং লাইন আপ ভালো হলেও রিঙ্কুদের ব্যাটিংও ততটাই শক্তিশালী। তার উপর এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন রিঙ্কুরা। স্বস্তিক ১৩ বলে ২৩ রানে ফিরতেই অস্বস্তি বাড়ে। কৌশিকও দ্রুতই ফেরেন। পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান করলেও ৩ উইকেট হারায় ম্যাভেরিক্স।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours