তিনি বললেন, "আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখনই হবে, তখন ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা লড়াই করার সুযোগ পান, সেটা সুনিশ্চিত করব। ৫০ শতাংশ নয়। হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো।"

 ছাত্র সংসদের নির্বাচনে এবার বড় পরিবর্তন, ঘোষণা অভিষেকের
মেয়ো রোডের সভায় অভিষেক

 ছাত্র সংসদের নির্বাচনেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোড থেকে ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে মেয়েদের জন্য ৫৫ শতাংশ আসন রক্ষিত।

তিনি বললেন, “আগামী দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচন যখনই হবে, তখন ৫৫ শতাংশ আসনে মেয়েরা লড়াই করার সুযোগ পান, সেটা সুনিশ্চিত করব। ৫০ শতাংশ নয়। ৪৫শতাংশ পুরুষের হলে, মেয়েদের ৫৫ শতাংশ।” এরপরই তিনি বলেন, ‘হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে, ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো।’

অভিষেক আরও বললেন, “পঞ্চায়েত, লোকসভা আমরা করে দেখিয়েছি। বিজেপি এনেছিল, উইমেন রিজার্ভেশন বিল, কিচ্ছু হয়নি, লবডঙ্কা। আমরা কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি। সংসদে আমাদের ২৯ জন সাংসদের মধ্যে ১২ জন মহিলা প্রতিনিধি। পঞ্চায়েত স্তরে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করে আমরা দেখিয়েছি। আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৪৫-৫০ নয়, ৫৫ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমি তৃণাঙ্কুরকেও বলব। কলেজগুলোতে মেয়েরা যাতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।”




বরাবরই মহিলাদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছে মমতা সরকার। একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তা সবই মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে সুদৃঢ় করতে। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট যখন পথে নেমেছেন বাংলার মহিলারাই, তখন রাজনীতির কারবারিরাই বলেছেন, মহিলাদের ‘রাত দখল’ সরকারকেও একটা বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। তাই এদিনের সভায় মমতা- অভিষেকের বক্তব্যের অধিকাংশ জুড়েই ছিল ধর্ষণ বিরোধী আইন, নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ। নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর কী অবস্থা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দু’জনেই। পরিসংখ্যানের বিচারে, নারী নিরাপত্তা নিয়ে বাংলা, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর তুলনায় অনেকটা ভাল পজিশনে রয়েছে বলেও সওয়াল করেন তাঁরা।

এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নের কথাও বলেছেন মমতা-অভিষেক। সেক্ষেত্রে অভিষেক নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের কথাও বলেছেন। অভিষেক বলেন, “১৪ তারিখ মেয়েরা রাতদখলের ডাক দিয়েছিল। আমরা সম্মান জানাই। যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ার, যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়ার।আমাদেরও সেই একই দাবি। কিন্তু বিচার তখনই হবে যখন দেশে ধর্ষণ বিরোধী আইন আসবে।” আর সেক্ষেত্রে অভিষেক জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি প্রাইভেট মেম্বর বিল এনে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করবেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours