বৃহস্পতিবার (০৮.০৮.২০২৪) সকাল ৮টা বেজে ২০ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুকে শোকস্তব্ধ বাংলার মানুষ। তাঁকে নিয়ে কিছু অজানা কথা বললেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিচালক গৌতম ঘোষ।
'উপহার গ্রহণ করতেন না বুদ্ধবাবু, কিন্তু একবার...', কীসের কথা বললেন পরিচালক গৌতম ঘোষ?
গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
উপহার নিতেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাজার অনুরোধেও সটান ‘না’ বলে দিতেন। কিন্তু একবার একটি ব্যতিক্রম ঘটেছিল। অনুরোধ কিছুতেই ফেরাতে পারেননি নির্লোভ মানুষটা। তাঁকে যে গ্রহণ করতেই হত পদ্মা নদীর দুটি ইলিশ। পাঠিয়েছিলেন ওপারের এক প্রযোজক। টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে জানালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিচালক গৌতম ঘোষ।
গৌতম ঘোষের ছবি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ পেয়েছিল একাধিক জাতীয় পুরস্কার। পেয়েছিল বিদেশের প্রশংসা। গৌতম বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না থাকলে এই ছবি কিছুতেই তৈরি হত না। তিনি ঋণী স্বীকার করে বলেছেন যে, অনেক বাংলা ছবিই তৈরি হত না যদি বুদ্ধদেব না থাকতেন। সাহিত্য ও সিনেমাপ্রেমী বুদ্ধদেবের মধ্যে শিশুর মতো উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করেছিলেন। “‘পদ্মা নদীর মাঝি’ তোমাকে করতেই হবে, যা সাহায্য লাগে আমাকে বলবে,” গৌতমকে আশ্বাস দিতেন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ছবিটা।
গৌতম বলেন, “ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যের পর বাংলাদেশের প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান পদ্মার দুটি ইলিশ পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুকে। আমি নিজেই দিতে গিয়েছিলাম। তিনি শুনেই ‘না’ বলে দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, উনি তো আপনার পার্টনার। যৌথ প্রযোজক পাঠিয়েছেন। অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, সকলের সঙ্গে মিলে খাবেন। কিন্তু তিনি আর সময় করে উঠতে পারেননি। ইলিশ তাঁর ভাগে পড়েনি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours