সাত মাস আগেই প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসিনা। আবার কবে ফিরবেন দেশের রাজনৈতিক ময়দানে? সদ্য প্রাক্তন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের আর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। গভীর হতাশা গ্রাস করেছেন তাঁকে।


মায়ের ফেরার আর সম্ভাবনা নেই...', বড় বিবৃতি হাসিনার ছেলের
সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ হাসিনা

বিক্ষোভ-প্রতিবাদের চাপে, সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর, নিরাপত্তার খাতিয়ে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডে আশ্রয় নিতে চাইছেন তিনি। তবে, সূত্রের খবর হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় লন্ডন। এই পরিস্থিতিতে আপাতত কয়েকটা দিন তিনি ভারতেই থাকবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে বাংলাদেশি সেনা। কিন্তু তারপর? সাত মাস আগেই প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসিনা। আবার কবে ফিরবেন দেশের রাজনৈতিক ময়দানে? সদ্য প্রাক্তন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের আর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। গভীর হতাশা গ্রাস করেছেন তাঁকে। কারণ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও একাংশের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “তিনি বাংলাদেশের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। যখন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচনা করা হত। বাংলাদেশ ছিল একটা দরিদ্র দেশ। আজ বাংলাদেশকে এশিয়ার উদীয়মান বাঘ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি (শেখ হাসিনা) খুবই হতাশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পরও এই উন্নয়নে তিনি অত্যন্ত হতাশ।” বিবিসিকে জয় আরও জানিয়েছেন, রবিবার থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা ঘুরছিল শেখ হাসিনার মাথায়।

হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বলপ্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। জয় অবশ্য বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করেছেন। তিনি বলেছেন, “আপনারা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে মেরেছেন। শুধুমাত্র গতকালই ১৪ জন পুলিশকর্মী মৃত্যু হয়েছে। যখন জনতা পুলিশকে পিটিয়ে মারছে, তখন পুলিশ কী করবে বলে আপনারা আশা করেন?


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির। তবে, এই ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও, তাঁর বিরুদ্ধে স্বৈরাচারি সরকার চালানোর অভিযোগ অনেকদিনের। কঠোর দমন-পীড়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ ছিল। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে গত মাসে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। যা থেকে নজিরবিহীন হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। ক্রমে তা হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে পরিণত হয়। অথচ, গত জানুয়ারি মাসেই একটানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিলেন হাসিনা। যদিও, সেই নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি-সহ বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours