জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রিবেলা যখন মদ্যপ অবস্থায় ওই সিভিক ভলান্টিয়র প্রতিবাদীদের মিছিলে ঢুকে পড়েন, সেই সময় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রতিবাদীদের কথায় কান না দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়রের বাইকটিকে কার্যত চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।

সিভিক বলে কি সাত খুন মাফ! গাড়ির ইন্সুরেন্স শেষ, মদ্যপ হয়েও হল না শ্বাস-পরীক্ষা
মহিলাদের ব্যারিকেডে সিভিক ভলান্টিয়র


আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তার মধ্যেই ফের প্রশ্নের মুখে উঠল পুলিশের ভূমিকা। শুক্রবার রাতের প্রতিবাদ মঞ্চে ব্যারিকেডের মধ্যে ঢুকে পড়েন একজন সিভিক ভলান্টিয়র। পুলিশ লেখা বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। প্রতিবাদীদের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। অথচ কর্তব্যরত পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। পরে গ্রেফতার করলেও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ওই সিভিক পুলিশের বাইকের নথি ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, বেনিয়ম বহুবার হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রিবেলা যখন মদ্যপ অবস্থায় ওই সিভিক ভলান্টিয়র প্রতিবাদীদের মিছিলে ঢুকে পড়েন, সেই সময় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে পৌঁছন। প্রতিবাদীদের কথায় কান না দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়রের বাইকটিকে কার্যত চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপরই উঠতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন। সিভিক ‘মদ্যপ’! এমন অভিযোগ পেয়েও কেন ব্রিদ অ্যানালাইজার দিয়ে টেস্ট করা হল না? সাধারণ মানুষ হলে এভাবে ছেড়ে দিতেন?

এখানেই শেষ নয়,সিভিক ভলান্টিয়র কি আদৌ পুলিশ লেখা বাইক নিয়ে ঘুরতে পারেন? ওই দিন রাত্রিবেলা অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র যে বাইকটি চালাচ্ছিলেন WB 07 8406। বাইকের রেজিস্ট্রেশন সিঁথির বাসিন্দা দীননাথ পণ্ডিতের নামে। বাইকের ইন্সুরেন্সের মেয়াদ ২০০৮ সালেই শেষ। ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল ২০২২ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত। এমন বাইক রাস্তায় চলছে কীভাবে? নাকি নিয়ম শুধু সাধারণের জন্য? উঠছে প্রশ্ন।

ঘটনার দিন সোচ্চার প্রতিবাদীরা থানা ঘেরাও করেন। সিভিককে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সার্জেন্টকে ঘিরে চলে প্রতিবাদ মিছিল। ওঠে ‘ধিক্কার’ স্লোগান। এক প্রতিবাদী মহিলা বলেন, “ওই লোকটা ওনাদেরই লাগানো গার্ডরেলে ধাক্কা মেরেছে। তারপর আমরা ওনাকে ধরেছি। আর ওই সার্জেন্ট সিভিক ভলান্টিয়রকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করলেন আমাদের চোখের সামনে।” গ্রেফতার হওয়ার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের দাবি, “আপনারা তো পুলিশকে নিয়ে অনেক কথা বলছেন, সমস্যায় পড়লে পুলিশের কাছে আসতে হবে।আমি মদ খাইনি।” পরে যদিও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর কি আদৌ মদ্যপ প্রমাণ করতে পারবে পুলিশ? প্রশ্ন অনেক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours