কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষ বিধানসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর দলের কোনও বিধায়ক, নেতা ছিলেন না, কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর পেনশন সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে তিনি গিয়েছিলেন।


জন্মদিনে শুভেন্দুর ঘরে দিলীপ, হল মিষ্টিমুখ, লোকসভায় হারের পর লড়াকু নেতাকে নিয়ে এবার বড় ভাবনা বিজেপির?
দিলীপকে মিষ্টিমুখ শুভেন্দুর


কলকাতা: আজ তাঁর জন্মদিন। আর জন্মদিনের দিনই বিধানসভায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাও আবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে। জানা যাচ্ছে, জন্মদিনের দিন শুভেন্দুর আমন্ত্রণেই বিধানসভায় গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিরোধী দলনেতার ঘরেই হয় দিলীপের ‘বার্থ ডে সেলিব্রেশন’। দিলীপকে পুষ্প স্তবক দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। এরপর মিষ্টি মুখের পালা। শুভেন্দু দিলীপ দূরত্বের জল্পনার মধ্যেই কি তবে নতুন কোনও সমীকরণ?


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষ বিধানসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর দলের কোনও বিধায়ক, নেতা ছিলেন না, কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁর পেনশন সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে তিনি গিয়েছিলেন। কাটু ২- ১ অগস্ট, দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। আজও বিধানসভায় তিনি, আর তাঁর মিষ্টি মুখ করিয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু। এ ছবি রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে।

দিলীপ ঘোষ- এমন একজন বিজেপি নেতা, লোকসভা নির্বাচনে যাঁর হার নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেতা মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনিও বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের হার সত্যিই দুঃখের। তাঁর হারের কারণ হিসাবে বারবার একটাই তত্ত্ব মুখ্য হয়ে উঠেছিল, নির্বাচনের ঠিক আগেই তাঁর আসন বদল। জেতা আসন মেদিনীপুরের বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুরে তাঁর প্রার্থী হওয়া। প্রথমটায় মন খারাপ থাকলেও, পরে অনুগামীদের নিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে পড়ে থেকে জনসংযোগ করেছিলেন দিলীপ। কিন্তু ফল মেলেনি। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দলের বিরুদ্ধে কাঠিবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ। তাঁর পাশে থাকতে দেখা গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদার- জগন্নাথ সরকার, সৌমিত্র খাঁ-রা। দিলীপের হার নিয়ে কার্যত সমান্তরাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিজেপি অন্দরেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেক্ষেত্রে কোর কমিটির সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই আঙুল উঠেছিল।


দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে, তখন দেখা গেল, শুভেন্দুর আমন্ত্রণেই তাঁর ঘরে বসে দিলীপ। নিঃসন্দেহেই এই বিষয়টি রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

গত লোকসভা ভোটের সময় দিলীপ যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তখন বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে ভাল ফল হয়েছিল। কিন্তু এবার বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। তাই এই সাক্ষাৎ সৌজন্যের সাক্ষাৎই হয়ে থাকে, নাকি সংগঠনের ক্ষেত্রে বড় বাঁক আসতে চলেছে, সেটা সময়েরই অপেক্ষা।

এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “হেরোরা সব এক জায়গায়। ফেসবুকে দুটো পেজ চলছে, আমরা শুভেন্দুদার সৈনিক, আরেকটা আমরা দিলীপদার সৈনিক। একে অপরের বিরুদ্ধে চোখা চোখা কথা বলত, সেই শব্দগুলো কী মিটে যাবে এবার?”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours