এই সবুজ চাদরের কথা প্রথম বলেছিল তিলোত্তমার পরিবার। লালবাজারে বসে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাফ বলেছিলেন, সবুজ চাদরের কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ভিডিয়ো বলছে সবুজ চাদর সেমিনার হলে রাখা। তাহলে কি তিলোত্তমার মা, বাবার আশঙ্কাই সত্যি? চাদর অদল বদল হয়েছে?
নীল চাদরের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে পা, ঘরে সবুজ চাদরও... আরও এক ভিডিয়ো সামনে
সেমিনার রুমের এই টেবিলের নিচেই শোওয়ানো ছিল তিলোত্তমার দেহ।
আরজি করে সেই রাতের আরও একটি ভিডিয়ো টিভিনাইন বাংলার হাতে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা টিভিনাইন বাংলা যাচাই করেনি। কিন্তু সেই ভিডিয়ো উস্কে দিচ্ছে আরও একগুচ্ছ প্রশ্ন। ভিডিয়োটি আরজি করের সেমিনার রুমের। সেখানে দেখা গিয়েছে, ডায়াসে পড়ে তিলোত্তমার দেহ, যা নীল চাদর দিয়ে ঢাকা। চাদরের ফাঁক দিয়ে একটি পা বেরিয়ে। আড়ালে উঁকি দিচ্ছে একটি লাল চাদর। সেমিনার রুমেরই একটি টেবিলে রাখা সবুজ চাদর।
এই সবুজ চাদরের কথা প্রথম বলেছিল তিলোত্তমার পরিবার। লালবাজারে বসে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাফ বলেছিলেন, সবুজ চাদরের কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ভিডিয়ো বলছে সবুজ চাদর সেমিনার হলে রাখা। তাহলে কি তিলোত্তমার মা, বাবার আশঙ্কাই সত্যি? চাদর অদল বদল হয়েছে? এ ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিচ্ছে, দেহ পড়ে থাকাকালীনই ঘরে ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। কে তুললেন সেই ভিডিয়ো, প্রথম প্রশ্ন সেটাই।
এই প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, তখনও সেমিনার রুমে পুলিশ ঢোকেনি, দেখা যায়নি কোনও ভিড়। কর্ডনও করা হয়নি। যিনি ভিডিয়ো করেছেন, দেহ পড়ে থাকাকালীনই তিনি গোটা ঘর ঘুরেছেন ক্যামেরা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, এই ভিডিয়ো কখন তোলা হল? কে তুললেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আরজি করকাণ্ডে নতুন মোড় দিতে পারে। কারণ, এই ভিডিয়োর সময়সীমা বুঝিয়ে দেবে ঘটনাটি আসলে কখন সামনে আসে।
সুপ্রিম কোর্টে এই ঘটনার যে সময়-ঘড়ি তুলে ধরা হয়েছে, তাতে সাড়ে ৯টায় প্রথম বর্ষের পিজিটি প্রথম দেহ দেখতে পান। কোর্টের নথিতে বলা হয়েছে, তিলোত্তমার ইউনিট হেড সুমিত রায় তপাদার এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠকে জানিয়েছিলেন ৯টা ৪৫-এ। পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল বলছেন, ১০টা ১০ মিনিটে খবর পেয়েছেন। অকুস্থলে পৌঁছতে ২ মিনিট সময় লাগে। ১০টা ১২য় পৌঁছে গিয়েছেন। সাড়ে ১০টায় কর্ডন অফ করেছে ঘটনাস্থল। তার মানে ভাইরাল ভিডিয়ো কর্ডন অফ করার আগের বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে।
তাই যদি হয় তাহলে, সাড়ে ৯টা ৪৫ থেকে ১০টা ১২ অবধি কী হল ওই সেমিনার হলে? এই ভাইরাল ভিডিয়ো কি সেই সময়েই তোলা? সেই সময়ে তোলা হলে আবার ঘরে থাকার কথা তিলোত্তমার ইউনিট হেড সুমিত রায় তপাদার, সঞ্জয় বশিষ্ঠদের? তারা কি ছিলেন? যদি না থাকেন, তাহলে প্রশ্ন, এই ভিডিয়ো কি আরও আগের? সেই উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তার মানে ওই ঘরে আগে কেউ ঢুকেছিলেন। কে তিনি? পুলিশকে খবর দিতে এত সময়ই বা লাগল কেন? প্রশ্ন উঠছে, ‘এভিডেন্স ট্যাম্পারিং’-এর সম্ভাবনা নিয়েও। যদিও ডিসি সেন্ট্রাল বলেছেন, তথ্য প্রমাণ লোপাট এ ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours