প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমে গ্রেফতার হন গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। তারপর জেরা করে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর সেই সূত্রেই উঠে আসে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম। তাঁর অফিস বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।

কোভিডকালে এক নোটিসে রাতারাতি ২৯ জনের চাকরি', পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে CBI চার্জশিটে পাঁচুর নাম
কলকাতা হাইকোর্ট



কলকাতা: অতিমারি পরিস্থিতিতে একটা নোটিসেই রাতারাতি ২৯ জনের চাকরি হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ দমদম পৌরসভায়। পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা করল সিবিআই। তাতে প্রথমেই নাম রয়েছে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায় ও ‘মিডলম্যান’ অয়ন শীল। চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে, অতিমারি পরিস্থিতিতে দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় হঠাৎ করেই ২৯ জনের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। সিবিআই-এর বক্তব্য, এই নিয়োগে দুর্নীতি রয়েছে। নিয়ম মেনে এই নিয়োগ হয়নি। তবে এই চাকরি টাকার বিনিময়ে হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমে গ্রেফতার হন গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। তারপর জেরা করে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর সেই সূত্রেই উঠে আসে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম। তাঁর অফিস বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে দিস্তা দিস্তা ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা।

সিবিআই-এর দাবি, ওই নথিতে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থীতালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও ছিল ওই নথিতে। তখনই নাম উঠে আসে পাঁচু রায়ের।


সিবিআই-এর চার্জশিটে নাম থাকার প্রেক্ষিতে পাঁচু রায় বলেন, “ওই নিয়োগের সময় আমি চেয়ারম্যান পদে ছিলাম। তাই অন্য কাউকে তো দোষী করতে পারব না। আমার সই রয়েছে। তবে ওই সময় কিছু গরমিল হয়েছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours