রাষ্ট্রবাদী মুসলিম চাই না' এই মন্তব্যের বিতর্কের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, "আমাদের এই রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে বিজেপিকে হিন্দুদের পার্টি বলে চিহ্নিত করে দেন । আমার এলাকায় দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণকর কাজের সুবিধা পাওয়ার পরেও বিজেপিকে হিন্দুদের দল বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপির মঞ্চে শুভেন্দু মন্তব্যে বিতর্ক দানা বাঁধতেই তড়িঘড়ি ব্যাখ্যা শিশিুর-পুত্রের
শুভেন্দু অধিকারীর সাফাই
চক্রবর্তী | Updated on: Jul 17, 2024 | 4:43 PM
কলকাতা: ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর বলব না।’ সায়েন্স সিটিতে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ফের সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন শুভেন্দু। তিনি বললেন, “প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের স্লোগান সবসময় সবাইকে নিয়ে চলা এবং সবকা সাথ সবকা বিকাশ, এটাই NDA সরকার এর স্লোগান । এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তৃণমূল স্তরে যেহেতু আমি কাজ করি।”
‘রাষ্ট্রবাদী মুসলিম চাই না’ এই মন্তব্যের বিতর্কের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, “আমাদের এই রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে বিজেপিকে হিন্দুদের পার্টি বলে চিহ্নিত করে দেন । আমার এলাকায় দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণকর কাজের সুবিধা পাওয়ার পরেও বিজেপিকে হিন্দুদের দল বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোট কে কাকে দেবে তার নিজস্ব ব্যাপার। আমরা কখনও বলিনি, যে ভোট দেবে না তাকে পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি বুথে কাজ করা কর্মী হিসেবে এটা ছিল বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে শুধুমাত্র সনাতনি হিন্দুরাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি। আমি আমার রাজনীতি দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছি এর সঙ্গে ভারত সরকারের ডেভলপমেন্ট এর কাজের কোন সম্পর্ক নেই।”
লোকসভা নির্বাচন ও তার বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের কাটাছেড়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই শুভেন্দু বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ বলব না, বন্ধ কর। রাষ্ট্রবাদী মুসলিম বলব না, সংখ্যালঘু মোর্চা চাই না, বলব না। ৫০ লক্ষ হিন্দুকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা।” কিন্তু তা বলা মাত্র বিজেপি অন্দরেই শোরগোল পড়ে যায়। ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের বাইরে কার্যত হাতেহাতি হয়ে যায় দুপক্ষের মধ্যে।
নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে গিয়েই শুভেন্দু বলেন, “আমাদের সরকারের যে স্লোগান সব কা সাথ সাবকা বিকাশ সেটা তেমনি আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল যেহেতু এটা তাই আমি আমার বক্তব্য বলেছি। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর স্লোগানকে মেলাবেন না দয়া করে। শেষ লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এ কথা বলেছি।”
আর ‘রাষ্ট্রবাদী মুসলিম’ শব্দপ্রয়োগের বিতর্ক প্রসঙ্গে শুভেন্দু ব্যাখ্যা, “মাফুজা খাতুন থেকে মোহাম্মদ আলি রাষ্ট্রবাদী মুসলমানরা আমাদের বলে কাজ করবে বিজেপি হিসাবে । আমরা হিন্দুত্বের নামে ভোট চাই না বিকশিত ভারত বিকাশের নামে ভোট চাই। সংখ্যালঘু মোর্চার নামে এটা বা এই মোর্চা খুলে রাখার দরকার আছে কিনা সে নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে ।”
যদিও শুভেন্দুর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির বিরোধী দলনেতা যদি বলে থাকেন. সবকা সাথ সবকা বিকাশ তিনি চান না, সেটা তো সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা! এটা ভুয়ো বলেছিলাম আমরা। নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিজেপির ভেতর থেকে আস্থা উঠে গেছে। মোদীকে দলের ভেতর থেকে শুনতে হচ্ছে তাঁর স্লোগান চলবে না। সূত্র থেকে শুনেছি, যিনি বলেছেন তিনি বকুনি খেয়েছেন। বিজেপির ভেতর থেকেই তীব্র সমালোচিত হয়েছেন। ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন পরে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours