মমতাবালার প্রথম থেকেই দাবি ছিল, ওই ঘরে তাঁর সমস্ত কিছু। অথচ সেই ঘর জবরদস্তি করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মধুপর্ণা অনশনেও বসেছিলেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পাল্টা শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য ছিল, এই ঘর তাঁর ঠাকুরদা, ঠাকুমার ঘর। এই ঘরে তাঁদেরও অধিকার রয়েছে।

 মধুপর্ণা জিততেই বড়মার ঘরে তালা খুলে ঢুকলেন মমতাবালারা
বড়মার ঘরে মমতাবালা ঠাকুর।


উত্তর ২৪ পরগনা: বাগদা উপনির্বাচনে জিতেই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে বড়মার ঘরে মমতাবালা ঠাকুর ও মধুপর্ণা ঠাকুর। মতুয়া ধর্মের বড়মা বীণাপানি ঠাকুরের তালা বন্ধ ঘরে ঢুকলেন তাঁরা। বাগদা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন তৃণমূল মধুপর্ণা ঠাকুর। জয়ের পর বাড়ি ফিরেই এদিন বড়মার বন্ধ ঘরের তালা খোলেন তাঁরা। মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, আদালতের নির্দেশে তাঁরা তাঁদের ঘর ফিরে পেয়েছেন।


গত এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ বড়মার ঘরের ‘দখল’ নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয় ঠাকুরবাড়িতে। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে মতুয়া ভক্তদের একাংশ তালা ঝুলিয়ে দেন।

এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মমতাবালা ঠাকুর। হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মমতাবালার প্রথম থেকেই দাবি ছিল, ওই ঘরে তাঁর সমস্ত কিছু। অথচ সেই ঘর জবরদস্তি করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মধুপর্ণা অনশনেও বসেছিলেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পাল্টা শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য ছিল, এই ঘর তাঁর ঠাকুরদা, ঠাকুমার ঘর। এই ঘরে তাঁদেরও অধিকার রয়েছে।

বড়মার বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। তাঁদেরই মেয়ে মধুপর্ণা। অন্যদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের দুই সন্তান শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুর।

এদিন মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “১৫-২০ দিন আগেই আমরা কোর্ট থেকে অনুমতি পাই। কিন্তু ভক্তরাই বলেছিলেন, আইনি জয় যখন পেয়ে গিয়েছি, যেদিন ভোটের ফল ঘোষণা হবে, সেদিন প্রথম আমরা তালা খুলে বড়মাকে প্রণাম করব। ভক্তরাই এটা করেছেন। এটাই সমগ্র মতুয়া সমাজের জয়।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours