দীর্ঘদিন ধরেই বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব জেডিইউ। বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে এখন তারা ক্ষমতায় রয়েছে। গত ৮ জুন নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। জেডিইউ নেতৃত্ব তারপর থেকেই বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে জোরদার সওয়াল শুরু করেন। এমনকি, গত ২৯ জুন দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকেও এই নিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে।


নীতীশের দাবি মানল না কেন্দ্র, খোঁচা দিল আরজেডি

 এনডিএ জোটে রয়েছে তারা। কেন্দ্রে শাসক জোটের অন্যতম শরিক। সেই নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের দাবি খারিজ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল জেডিইউ। তা সম্ভব নয় বলে সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি লিখিত জবাবে জানান, বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্র তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পরই নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করেছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি।

গত ২৯ জুন জেডিইউয়ের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়, মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই কি এই প্রস্তাব পাশ করেছে জেডিইউ? কারণ, কেন্দ্রে এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক জেডিইউ। নীতীশের দল ও চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি-র সমর্থনের উপর মোদী সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।

সোমবার সংসদে জেডিইউ সাংসদ রামপ্রীত মণ্ডল অর্থমন্ত্রকের কাছে জানতে চান, আর্থিক উন্নতি ও শিল্পায়নের জন্য বিহার ও অন্যান্য় পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া নিয়ে সরকার কি কোনও পরিকল্পনা করেছে? লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি জানান, বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours