সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী দেবিশাই যেন সেই নারী। নানা সময়ে তা বলেছেন সূর্য। বিশ্বকাপ ফাইনালে দুর্দান্ত ক্যাচে ভারতের ট্রফি নিশ্চিত করেছিলেন। তাঁর ক্যাচের প্রশংসা বিশ্বজুড়ে। স্ত্রীর সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করে স্কাই লিখেছিলেন, তাঁর জীবনের সেরা ক্যাচ অনেক আগেই নিয়েছেন। সূর্যকুমার যাদব ও দেবিশার প্রেমকাহিনি যেন 'আমাদের' মতোই!

পিন থেকে প্রেম! সূর্যকুমার যাদবের লাভস্টোরি যেন 'আমাদের' মতোই...


ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয়! অনেক দিক থেকে তাই। গৌতম গম্ভীর কোচ হয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। আগেও জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে এ বারের নেতৃত্ব পাওয়াটা আলাদা বিষয়। রোহিতের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অনেকেই। তাঁর মধ্যে একজন ছিলেন সূর্য। বিশ্বকাপ জয়ের পর এই ফরম্যাটকে দেশের জার্সিতে বিদায় জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। ফলে স্থায়ী অধিনায়ক খোঁজা হচ্ছে। সূর্যকুমার যাদবকে এই সিরিজে দায়িত্ব দিয়ে তারই খোঁজ শুরু হল। সূর্য ক্য়াপ্টেন হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় নানা বিষয়। কথায় বলে, প্রত্যেকটা সফল পুরুষের পিছনে একজন নারী থাকেন। সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী দেবিশাই যেন সেই নারী। নানা সময়ে তা বলেছেন সূর্য। বিশ্বকাপ ফাইনালে দুর্দান্ত ক্যাচে ভারতের ট্রফি নিশ্চিত করেছিলেন। তাঁর ক্যাচের প্রশংসা বিশ্বজুড়ে। স্ত্রীর সঙ্গে একটা ছবি পোস্ট করে স্কাই লিখেছিলেন, তাঁর জীবনের সেরা ক্যাচ অনেক আগেই নিয়েছেন। সূর্যকুমার যাদব ও দেবিশার প্রেমকাহিনি যেন ‘আমাদের’ মতোই!

স্কুল এবং কলেজ নিয়ে যখনই কেউ কথা বলতে শুরু করেন, সঙ্গে জুড়ে দেন ‘লাইফ’ শব্দটা। আসলে সেই দিনগুলো পেরিয়ে গেলে লাইফ বড়ই জটিল। কেরিয়ারের রেস শুরু। কেউ দ্রুত এগিয়ে যান, কেউ পিছিয়ে পড়েন। সূর্যকুমারের কেরিয়ারও অনেক দেরিতে গিয়ার চেঞ্জ করেছে। তাঁর আগেই নতুন লাইফ শুরু হয়েছিল সূর্যকুমার যাদবের। আর সেটাও কলেজ ‘লাইফ’-এই।

ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নে সূর্য জানিয়েছেন, তাঁর জীবন পরিবর্তনের কথা। সূর্যর কথায়, ‘২০১৬-১৭ সালে আমার জীবনে টার্নিং পয়েন্ট আসে। সে বছরই আমার বিয়ে। তবে প্রেম আরও অনেক আগে। বিয়ের অন্তত ৬ বছর আগে থেকে প্রেম পর্ব চলছিল। তাও প্রায় ২০১০-১১ সাল থেকে। কলেজ থেকেই প্রেম।’ কলেজ লাইফে পিন থেকেই প্রেম শুরু। এটিএম কিংবা লোকেশনের পিন নয়। এই পিন অন্য।

সূর্যকুমার যাদব ব্ল্যাকবেরি ফোন ব্যবহার করতেন। যাঁরা ব্ল্যাকবেরি ব্যবহার করেছেন, তাঁরা জানেন, ব্ল্যাকবেরির নিজস্ব একটি মেসেজিং সিস্টেম ছিল। তখনও হোয়াটস অ্যাপের চল শুরু হয়নি। সূর্য বলেছেন, ‘কলেজে এমনি অন্য এক বান্ধবীর সঙ্গে বসে আড্ডা মারছিলাম। দেবিশা পিছন থেকে আসছিল। বন্ধুরা আমাকে আওয়াজ দেয়। এটারই অপেক্ষা করছিলাম। ও আমাকে হাই… করে। আবার বাঁ দিকেও কাকে যেন হাই করল। তখন কনফিউজ ছিলাম, আমাকেই বলল তো! যে বান্ধবীর সঙ্গে বসেছিলাম, তাঁকে বলি, তোর বন্ধু নাকি? কথা তো বলাতেই পারিস। ও দেবিশার কাছে গেল, কী কথা হল জানি না। আসার পর বললাম, তোর দ্বারা কিছু হবে না।’

তারপর? সূর্য যোগ করেন, ‘ওই সময় বিবিএম খুব চলত। বান্ধবীকে বললাম, ওর অন্তত বিবিএম পিনটাই জোগার করে দে। পরদিন বিবিএমে মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করতে থাকি, উল্টোদিক থেকে ডিক্লাইন হয়েই যাচ্ছিল। তারপর ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম। সেখানে অ্যাক্সেপ্ট করার পর মনে হল-সুযোগ রয়েছে। এরপর কথা শুরু। ইমপ্রেস করার জন্য় বলি, আমি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলি এসব। মনে হয়েছিল, এটা দিয়েই কাজ হবে। কিন্তু উল্টোদিক থেকে হাই-হ্যালো টাইপ দায়সারা রিপ্লাই। মনে হল, এ ভাবে কিছু হবে না। দেখাই করতে হবে। এরপর দেখা করা শুরু। ১৫-২০ দিন মেলামেশার পর কথার চেয়ে ঝগড়া হত বেশি। সেই থেকেই জীবন এগিয়ে গেল।’

সেরা ক্যাচের শুরুটা যেন বিবিএম পিন থেকেই শুরু। তারপর ফেসবুক আর মেলামেশা। কলেজ লাইফেই ‘লাইফ’ খুঁজে পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ সেই লাইফ ঘিরেই। আচ্ছা, ওদের প্রেমকাহিনি কেন ‘আমাদের’ মতো! আসলে স্কুল-কলেজ কিংবা কোচিং সেন্টারে একটু দেখা, বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয়, চিঠি আদান-প্রদান, এসএমএস। অরকুট, ফেসবুক এখন হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, এ ভাবেও তো অনেক প্রেমের শুরু!


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours