এরপর গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ ওই গৃহবধূ স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে ঘাটালের কোন্নগর এলাকায় মিলনের বাড়িতে আসেন। কিন্ত শ্বশুরবাড়িতে আসলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুর তুষার জানা। এমনটাই দাবি ওই মহিলার।
স্বামীর ঘরে থাকতে চাই', ফুটপাতে ছেলেকে নিয়ে ধরনায় বসলেন মহিলা
ধরনায় মহিলা
ঘাটাল: ছিল প্রেমের সম্পর্ক। তারপর দু’জনের সিদ্ধান্তেই বিয়ে। সন্তানও রয়েছে দম্পতির। তবে গৃহবধূর অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর স্বামী যোগাযোগ রাখছেন না। এমনকী শ্বশুরবাড়ি গেলেও তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বাড়িতে স্বামীর কাছে থাকতে চেয়ে ধরনায় বসলেন গৃহবধূ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা আদালত সংলগ্ন কোন্নগর এলাকার ঘটনায় শোরগোল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ছ’বছর আগে ওই এলাকার বাসিন্দা মিলন জানার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের বাসিন্দা টুম্পা মান্নার বিয়ে হয়। এমনকী, তার কিছুদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজও করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তারা ভাড়া বাড়িতে থাকত। বর্তমানে তাঁদের একটি ছোট সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, কয়েক দিন থেকে হঠাৎ গৃহবধু তার স্বামী মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিলনের মোবাইলে ফোন করলেও তিনি নাকি ফোন ধরছেন না।
এরপর গতকাল সন্ধ্যে নাগাদ ওই গৃহবধূ স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে ঘাটালের কোন্নগর এলাকায় মিলনের বাড়িতে আসেন। কিন্ত শ্বশুরবাড়িতে আসলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুর তুষার জানা। এমনটাই দাবি ওই মহিলার। এরপর শ্বশুর বাড়ির বাইরে পুত্র সন্তানকে নিয়ে ধরনায় বসেন ওই গৃহবধূ। তাঁকে এইভাবে মাটিতে বসে থাকতে দেখে এলাকায় ভিড় জমান পাড়া-প্রতিবেশীরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার ওই গৃহবধূ স্বামীর ঘরে থাকতে চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল এমনটাই জানিয়েন এলাকাবাসী। ঘটনার খবর যায় ঘাটাল থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘাটাল থানার পুলিশ। গৃহবধূর স্বামী মিলন জানার যোগাযোগ করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ মেলে। তবে মিলনের পরিবার অস্বীকার করেছে তাঁদের বিয়ের বিষয়। এ প্রসঙ্গে, টুম্পা বলেন, “আমার স্বামীর খোঁজে এসেছিলাম। ওরা কিছু বলছে না। আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরেই ও বলেছিল কোর্ট ম্যারেজ করতে। আমি করেওছিলাম। এরপর প্রসূতি অবস্থায় ওর মা আমার খোঁজ নিত। অথচ এখন মেনে নিচ্ছে না কোনওভাবেই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours