আরাত্রিকার বাবা অভিষেক চক্রবর্তী মেয়ের সাফল্যে বিরাট খুশি। তিনি বলেন, 'আমরা খুবই খুশি। মেয়ে যে এই রেকর্ড গড়বে আমরা আশা করিনি। মেয়ের ক্যারাটের প্রতি আগ্রহ দেখে, ইচ্ছে দেখে রেকর্ডের জন্য গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আবেদন করি।

সাতেই আশ্চর্য, এশিয়া সেরা হুগলির 'ক্যারাটে কিড' আরাত্রিকা চক্রবর্তী

সাতেই আশ্চর্য, এশিয়া সেরা হুগলির 'ক্যারাটে কিড' আরাত্রিকা চক্রবর্তী

 এ যেন সাতেই আশ্চর্য! হুগলির আরাত্রিকা চক্রবর্তীকে দেখে এ কথা বলতে ইচ্ছে হতেই পারে। আর তা বললে খুব ভুল বলা হবে না। কারণ, মাত্র ৭ বছর বয়সেই ক্যারাটেতে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অব রেকর্ডস গড়েছে আরাত্রিকা। মাত্র ৩ বছর বয়সে তার ক্যারাটেতে হাতে খড়ি। মগড়ার গজঘণ্টা বকুলতলার বাসিন্দা ছোট্ট আরাত্রিকা নাচ, গান, কবিতা, আঁকারশেখার পাশাপাশি ক্যারেটেও পারদর্শী। তার ক্যারাটেতে আগ্রহ দেখে মা-বাবা মৈত্রী ও অভিষেক চক্রবর্তী মেয়েকে উৎসাহ দেন। তাঁরা আরাত্রিকার তিন বছর বয়সে ক্যারাটেতে ভর্তি করান স্থানীয় ক্যারাটে কোচিং ক্যাম্পে।

২০২৩ সালে দুটি প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিল আরাত্রিকা। ছোট্ট আরাত্রিকা কী ভাবে এশিয়া বুক অব রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছে? আরাত্রিকার পরিবার এবং তার কোচ শঙ্কর রাউত ও সঞ্জয় দাসের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এশিয়া বুক অব রেকর্ডের জন্য এক মিনিটে ৩৫০টি চেস্ট লেভেল পাঞ্চ করতে হয়। সেখানে আরাত্রিকা মিনিটে ৬৯০টি পাঞ্চ করে, রেকর্ড করে। তার ভিডিয়ো পাঠানো হয় ইন্ডিয়া ও এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে।

কর্তৃপক্ষের তরফে আরাত্রিকার ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে ৪৮০ টি পাঞ্চ বৈধ বলে ঘোষণা করে। তার ফলেই তৈরি হয়েছে তার নতুন রেকর্ড। এরপরই আরাত্রিকার ঝুলিতে এক সঙ্গে দুই জায়গা থেকে আসে পুরস্কার। গত মঙ্গলবার সেই শংসাপত্র হাতে পায় চক্রবর্তী পরিবার। স্বভাবতই মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা-মা কোচ থেকে পরিবারের সকলে।

আরাত্রিকার বাবা অভিষেক চক্রবর্তী মেয়ের সাফল্যে বিরাট খুশি। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। মেয়ে যে এই রেকর্ড গড়বে আমরা আশা করিনি। মেয়ের ক্যারাটের প্রতি আগ্রহ দেখে, ইচ্ছে দেখে রেকর্ডের জন্য গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আবেদন করি। মেয়েকে জিজ্ঞাসাও করি যে ও কী করতে চাই। মেয়েই বলে চেস্ট লেভেল পাঞ্চ করবে। আবেদনের পর অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গত ২৩ শে জুন ভিডিয়ো পাঠাই।’

হুগলির গর্ব আরাত্রিকার মা মৈত্রী বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি মেয়ে খেলাধূলা করতে চাইলে সেটাই করতে দিই। আমরা ওকে কোনও চাপ দিইনা। আমরা চাই মেয়ে যাতে নিজের আত্মরক্ষা নিজে করতে পারে। তাই ওকে ক্যারাটে শিখিয়েছি। মেয়ে নাচ, আঁকা শেখে, কিন্তু ক্যারাটে ওর কাছে ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে।’


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours