যুবকের মৃতুকে ঘিরে উত্তেজনা ঢোলাহাট থানা চত্বরে ।চোর সন্দেহে থানায় তুলে এনে এক যুবককে মারধরের ফলে মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের। 

মৃত যুবক ২২ বছরের আবু সিদ্দিক হালদার। মৃত যুবক ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। এখন অভিযোগের তির সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। এই ঘটনায় দিনভর দফায় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি তৈরি হয় ঢোলাহাট থানা সংলগ্ন এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে ঢোলাহাট থানা চত্বরে সুন্দরবন পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গাডরেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় থানা চত্বর। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা ধিরে ধিরে জমায়েত করতে শুরু করে থানা চত্বরে। 
বেলা ১২টা নাগাদ শুরু হয় মৃতের পরিবার পরিজনের সাথে বচসা, এরপরেই পুলিশের সাথে শুরু ধস্তাধস্তি। এমনকি গাডরেলের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে মৃত যুবকের পরিবার পরিজনরা। পরিস্থিতি ক্রমশ উতপ্ত হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ঘটনা স্থলে আসে পাশে থানা থেকে আরও পুলিশ বাহিনী। দুপুর একটা নাগাদ আবার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় ঢোলাহাট থানা চত্বরে। আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি পুলিশ কে লক্ষ করে ইট ছোঁড়া হয়। পাল্টা পুলিশ পক্ষ থেকে উত্তেজিত জনতা কে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। মঙ্গলবার সারাদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। সূত্রের খবর এই ঘটনায় ইট লেগে দুইজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলে সুত্রের খবর। 
জানাযায় ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০শে জুন। ওইদিন মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয়৷ এরপর পয়লা জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ মহসিন হালদার ও তাঁর ভাইপো আবু সিদ্দিককে থানায় তুলে আনে বলে অভিযোগ। মহসিনকে দিয়ে ভাইপোর নামে জোর করে চুরির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর আবু সিদ্দিককে থানার মধ্যে দফায় দফায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ৪ জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে। ওইদিন জামিন দেয় আদালত। গুরুতর অসুস্থ আবু সিদ্দিককে মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার ও চিত্তরঞ্জন হাসপাতলে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল পার্কসার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাত দশটা নাগাদ যুবকের মৃত্যু হয়। 

সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, আদালতে পেশ করার সময় মেডিক্যালে কোন  সমস্যা ছিল না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours