মহেন্দ্র সিং ধোনির পর তিন ফরম্যাটেই নেতা হন বিরাট কোহলি। টেস্ট নেতৃত্ব অনেক আগেই পেয়েছিলেন। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা বলছেন অমিত মিশ্র। বলছেন, 'সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি হয়েছিল, পাঁচ বছর আগে হাঁটুতে চোট পাওয়ায়। ম্যাচের মাঝেই এমনটা হয়েছিল। তার আগের সিরিজেই সেরার পুরস্কার জিতেছিলাম।'

পছন্দের লোকেরাই একাদশে! ধোনি-কোহলিকে নিয়ে নানা তথ্য ফাঁস লেগ স্পিনারের


পারফরম্যান্স কোনও গুরুত্ব পায় না! ভারতের দুই ক্য়াপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিকে নানা তথ্য তুলে ধরলেন লেগ স্পিনার। বেশির ভাগই অবশ্য ‘অভিযোগ’। সরকারি ভাবে এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রাক্তন নন লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র। টিমে যে আর সুযোগ পাবেন না এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও সীমিত সুযোগ মিলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনি, কোহলির নেতৃত্বে খেলেছেন। আর তাঁদের নিয়ে নানা অভিযোগ, অভিমানের ডালি খুললেন ৪১ বছরের লেগস্পিনার অমিত মিশ্র।

দেশের হয়ে ২২টি টেস্ট, ৩৬টি ওয়ান এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অমিত মিশ্র। সব মিলিয়ে নিয়েছেন ১৫৬টি উইকেট। তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার যেন হঠাৎই শেষ। জাতীয় দলের অনেকে তেতো স্মৃতি তুলে ধরেছেন। ভারতীয় দলে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কই কেরিয়ারে এগতে সাহায্য করে, এমনই দাবি অমিত মিশ্রর। তাঁর কেরিয়ারে এটারই অভাব ছিল বলে অভিমানী অমিত মিশ্র।

একটি ইউটিউব শো-তে অমিত মিশ্র বলেন, ‘টিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ বেশি গুরুত্ব পেত। ভালো ক্রিকেট খেলাই যথেষ্ট ছিল না। ক্যাপ্টেনই একাদশ বেছে নেন। ধোনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। ওকে দু-বার জিজ্ঞেস করেছিলাম, একাদশে কেন সুযোগ পাচ্ছি না। ও বলেছিল, কম্বিনেশনে আমি ফিট করছি না।’ বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হত বলেও দাবি অমিত মিশ্রর। তাঁর কথায়, ‘অনেক সময়ই বাদ দিয়ে বলত আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। নিজে কোনওদিন বিশ্রাম চাইনি। আমি তখনও ১০টা টেস্টও খেলিনি। আমি কেন বিশ্রাম চাইতে যাব? সত্যি বলতে, সে সময় ধোনিকে প্রশ্ন করার মতো জায়গাতেও ছিলাম না। কোচকে জিজ্ঞেস করায় বলেছিলেন, ধোনির সঙ্গে কথা বলতে। তারপরও কোচকে জিজ্ঞেস করলে জানাত, বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে।’

মহেন্দ্র সিং ধোনির পর তিন ফরম্যাটেই নেতা হন বিরাট কোহলি। টেস্ট নেতৃত্ব অনেক আগেই পেয়েছিলেন। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা বলছেন অমিত মিশ্র। বলছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি হয়েছিল, পাঁচ বছর আগে হাঁটুতে চোট পাওয়ায়। ম্যাচের মাঝেই এমনটা হয়েছিল। তার আগের সিরিজেই সেরার পুরস্কার জিতেছিলাম। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরাও হই। তখন টিমে নিয়ম ছিল, কেউ যদি চোটের জন্য ছিটকে যায়, ফিট হওয়ার পর সরাসরি একাদশে জায়গা ফিরে পাবে। ঋদ্ধিমান সাহা, অনিল কুম্বলে, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে। আমি সেই সুয়োগ পাইনি।’

বিরাট কোহলিকে নিয়ে বলেন, ‘আইপিএলের সময় সে মরসুমে আমাদের শেষ ম্যাচ ছিল আরসিবির বিরুদ্ধে। সে সময় বিরাট কোহলির কাছে আমার কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষ্কার চিত্রটা জানতে চাই। ও বলেছিল-আমি জিজ্ঞেস করে জানাব। বিরাট কোহলি আমাকে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে ফিরতে সাহায্য করেছিল। ভালো পারফর্ম করছিলাম। টিমে একজন লেগ স্পিনারও প্রয়োজন ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার পর বিরাট বলেছিল, তুমি আমার সঙ্গে ফিটনেস ট্রেনিং করবে। ওকে বলেছিলাম, আমি তোমার মতো ওজন তুলতে পারব না, তবে দৌড় এবং বাকি যা করো সব করব। এরপর আমি চোট পাই, ওকে আবারও ভবিষ্যৎ নিয়ে জিজ্ঞেস করি, জানাবে বলেও কোনও জবাব দেয়নি।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours